সুনামগঞ্জে ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তারা : ৪ সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে একমঞ্চে বসে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করে যাচ্ছি

বজ্রকণ্ঠ প্রতিবেদক ::

চাঁদাবাজ সন্ত্রাস ও সিন্ডিকেট মুক্ত করে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করার দাবিতে জেলা বিএনপির তৃণমুল ত্যাগী নেতা কর্মীদের উদ্যোগে ঈদ পূণর্মিলনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১টায় জেলা শহরের কাজিরপয়েন্টস্থিত লতিফা কমিউনিটি সেন্টারে এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ মোঃ খালিদের সভাপতিত্বে এবং এডভোকেট স্বপন ও জুনেদ আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন,জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক হুইপ এডভোকেট ফজলুল হক আছপিয়ার পুত্র ব্যারিস্টার মোঃ আবিদুল হক, বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল মনসুর মোঃ শওকত,পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আব্দুলাহ আল নোমান,বিএনপির পৌর আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক স্পেশ্যাল পিপি এডভোকেট শামীম আহমদ,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রায়হান উদ্দিন, পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোশাররফ হোসেন,সদর উপজেলা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি মইনুল হক,উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ইসহাক আলী,রঙ্গারচর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোঃ আব্দুল হক,পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল গাফফার,৭নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি শামীম আহমদ,সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক আব্দুল করিম পাটান,সুরমা ইউপি বিএনপি নেতা ফিরোজ মিয়া মেম্বার,পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ,সদর উপজেলা যুবদলের প্রথম যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল লতিফ,মোহনপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হেলাল আহমদ জুয়েল,বিএনপি নেতা কাজী জসিম কামাল,হোসেন আমীর,মোঃ জামাল উদ্দিন,জাকিরুল ইসলাম তপু,হাবিবুর রহমান,আকিকুল ইসলাম লিটন,আব্দুল আউয়াল,এবাদুর রহমান,আলিম উদ্দিন,আশরাফুজ্জামান ভূইয়া,আশ্রাব উদ্দিন চৌধুরী,হুমায়ূন কবীর,যুবদল নেতা আব্দুল কাইয়ূম ও পৌর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

সভায় বক্তারা বলেন, গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ হাসিনা মুক্ত হলেও স্বৈরাচারের দোসরমুক্ত হয়নি সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি। বিগত রক্ত ঝড়া আন্দোলন সংগ্রামে চার শত গজের ভিতরে মিছিল মিটিং করা কমিটি ছিল সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এই ব্যর্থ সিন্ডিকেট কমিটির কর্মকান্ড ছিল বিভেদ বিভক্ত,ও বিভাজনের। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪ নভেম্বর জেলা বিএনপির নেতা কর্মীদের বোকা বানিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কে ভুল তথ্য দিয়ে ৩২ সদস্যের জেলা আহবায়ক কমিটি হাসিল করেন এই সিন্ডিকেট লিমিটেড কোম্পানি। পরবর্তীতে বিএন পির ত্যাগী নেতা কর্মীরা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গৌছ কে সিন্ডিকেট কমিটির বিষয়ে অবগত করলেও তিনি দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা কর্মীদের নিয়ে ইউনিট কমিটি গঠন করার পুর্ণ আশ্বাস দেন। কিন্তু তার আশ্বাস আর বাস্তবায়নের মুখ দেখনি। বরং সিন্ডিকেটের আশ্রয়স্থল জামতলায় বসেই সিন্ডিকেট কমিটির অনুকুলে প্রতিটি ইউনিট কমিটি ঘোষণা দেন তিনি। দলের দায়িত্বশীলদের এহেন আচরণে সাড়া জেলায় দলের কাঠামো আজ যেমন ভেঙ্গে পড়েছে তেমনি তৃণমূলের প্রকৃত ত্যাগী বঞ্চিত নেতাকর্মীরা উপেক্ষিত হয়েছেন। অন্যদিকে চিহ্নিত চাঁদাবাজ,দলছুট,বিগত দিনে আওয়ামী লীগের কর্মকান্ডে জড়িতরা দলে প্রবেশ করে পদ পদবী ভাগিয়ে নিয়ে বালি পাথর লুটতরাজের পাশাপাশি বাণিজ্যের রাজনীতি শুরু করেছে। এ অবস্থায় ঐক্যবদ্ধ বিএনপির নেতৃত্বে দলের মজবুত ভিত্তি সুপ্রতিষ্ঠত করে সদর আসনে বিএনপির সম্ভাব্য ৪ জন প্রার্থীকে নিয়ে নির্বাচনী মাঠ প্রস্তুতের লক্ষ্যে আমরা সক্রিয়ভাবে সাংগঠনিক প্রচারাভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। তৃণমূলের সম্ভাব্য ঘোষিত দলীয় প্রার্থীরা হলেন,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন,আব্দুল লতিফ জেপি,আবুল মনসুর মোঃ শওকত ও ব্যারিস্টার আবিদুল হক।

পরে ইসরাইলী আগ্রাসনকারী নেতানিয়াহুর জলুম নির্যাতন থেকে ফিলিস্তিনী নারী শিশুদেরকে সুরক্ষা,দলীয় চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল অসুস্থ নেতাকর্মীদের শারীরিক সুস্থতা ও বোরো ফসল গড়ে তোলার জন্য প্রকৃতির আনুকূল্য লাভের জন্য ¯্রষ্টার দরবারে বিশেষ মুনাযাত পরিচালনা করেন হাজী আব্দুল্লাহ আল নোমান।