শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২
বজ্রকণ্ঠ "সময়ের সাহসী অনলাইন পত্রিকা", সিলেট ঢাকা লন্ডন নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত। ই-মেইল: ঠিকানা:: news@bojrokontho.com অনুগ্রহ করে সংবাদ প্রতিবেদন, ছবি এবং ছোট ভিডিও পাঠান। লগইন করুন: www.bojrokontho.com

Bojrokontho
শনিবার ● ১০ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » লাইফস্টাইল » কেক বানানো শিখে আয়ের মুখ দেখছে ফারহানা
প্রথম পাতা » লাইফস্টাইল » কেক বানানো শিখে আয়ের মুখ দেখছে ফারহানা
৬২২ বার পঠিত
শনিবার ● ১০ আগস্ট ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কেক বানানো শিখে আয়ের মুখ দেখছে ফারহানা

::রাকিবুল ইসলাম, তেরখাদা::

কেক বানানো শিখে আয়ের মুখ দেখছে ফারহানাকেক বানানো শিখে আয়ের মুখ দেখছে ফারহানাখুলনার তেরখাদা উপজেলার স্বচ্ছল পরিবারের মেয়ে ফারহানা রহমান শাবনুর (২৫)। শখের বসে শিখেন কেক বানানো। তবে করোনার সময় ঘরবন্দি অবস্থাকে কাজে লাগাতে কেক বানিয়ে অন-লাইনে বিক্রি করেন তিনি। এতে ভালো সাড়াও পাচ্ছেন তিনি। এখন ঘরে বসে কেক বিক্রি করে প্রতিমাসে ভালো আয়ও করছেন। ফারহানা রহমান শাবনুরের বাড়ি উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়া এলাকায়। তার পিতা মো. মিজানুর রহমান (অব:বিজিবি)। এক ছেলে ফাহমিদ ইমাদ তাসিন তেরখাদা কিন্ডারগার্ডেনে নার্সারিতে পড়াশোনা করেন। বয়স ৬ বছর। সরকারি খুলনা পাইওনিয়ার মহিলা কলেজে ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে অনার্স চতুর্থ বর্ষ শেষ করা শাবনুরের স্বপ্ন কাস্টমসে কর্মরত হওয়ার। বর্তমানে তার কেকের ব্যবসা অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে তিন বছরের মত এই পেশাযয় স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। তবে উদ্যোক্তা হবেন এমনটাও ভাবনায় ছিলনা। কিভাবে হলেন সেই গল্পটা শোনা গেল তার মুখ থেকেই।
শাবনুর বলেন, কেক ও সুস্বাদু খাবারের প্রতি ছোটবেলা থেকেই আকর্ষণ ছিল। এজন্য কোন প্রশিক্ষণ নেইনি। বই পড়ে ও ইউটিউব ঘেটে পরিবারের জন্য টুকটাক কেক বানাতাম। করোনাকালীন সময় একদিন শখ থেকেই কেক তৈরি করে ফেসবুকে ছবি দেই। সাড়া পেয়ে পরিবারের অনুপ্রেরণায় এই পেশায় আসা। এর পর ফেসবুক পেজ খুলে কেক বিক্রি শুরু করেন শাবনুর। ফেসবুকে শাবনুরের পেজের নাম-“তেরখাদা কেক শপ”। এখানে ভ্যানিলা, চকলেট, লেমন, অরেঞ্জ, ম্যাংগো, রেডসহ বিভিন্ন প্রকার কেক পাওয়া যায়। পেজে অর্ডার আসা কেকগুলোর বেশিরভাগ অনুষ্ঠান কেন্দ্রিক। তাই কেকের জন্য ক্রেতা অনলাইনে যোগাযোগ করলে কেকের নকশা দেখানো হয় আবার ক্রেতা যেকোনো নকশা দিলে সেটি হুবহু কেকে ফুটিয়ে তুলতে পারেন শাবনুর। আর দামও নির্ভর করে আকার ও কাষ্টমাইজেশনের ওপর। তবে কেক পেতে হলে দু-একদিন আগে অর্ডার করতে হয়।
ঢাকা ও খুলনা থেকে অনলাইনে কেক তৈরীর উপকরণ সংগ্রহ করেন শাবনুর। প্রতিমাসে ২০ হাজারের বেশি টাকা আয় করেন তিনি। শাবনুর বলেন, শুধু টাকা আয়ের জন্য কেক বানায় না। কেক বানানো আমার কাছে একটা শিল্প। মানুষ কেক পেয়ে খুশি হলে আমি খুশি। ভবিষ্যতে ব্যবসার পরিধি বাড়ানো ও একটি বেকারি খোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।



বিষয়: #  #


আর্কাইভ