শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বজ্রকণ্ঠ "সময়ের সাহসী অনলাইন পত্রিকা", সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকা,রাজশাহী,নিউ ইয়র্ক,লন্ডন থেকে প্রকাশিত। লিখতে পারেন আপনিও। বজ্রকণ্ঠ:” সময়ের সাহসী অনলাইন পত্রিকা ” আপনাকে স্বাগতম। বজ্রকণ্ঠ:: জ্ঞানের ঘর:: সংবাদপত্র কে বলা হয় জ্ঞানের ঘর। প্রিয় পাঠক, আপনিও ” বজ্রকণ্ঠ ” অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ” বজ্রকণ্ঠ:” সময়ের সাহসী অনলাইন পত্রিকা ” কে জানাতে ই-মেইল করুন-ই-মেইল:: [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

Bojrokontho
রবিবার ● ২৭ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মৌলভীবাজারে দখলদারিত্বের কারণে দিন দিন ছোট হয়ে আসছে ”বেরি লেক”
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মৌলভীবাজারে দখলদারিত্বের কারণে দিন দিন ছোট হয়ে আসছে ”বেরি লেক”
৪৯১ বার পঠিত
রবিবার ● ২৭ অক্টোবর ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মৌলভীবাজারে দখলদারিত্বের কারণে দিন দিন ছোট হয়ে আসছে ”বেরি লেক”

জিতু তালুকদার,মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজারে দখলদারিত্বের কারণে দিন দিন ছোট হয়ে আসছে ”বেরি লেক”
অনেক দিন ধরেই মৌলভীবাজার শহরের বুকে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া ‘বেরি লেক’ নিয়ে নানা প্রকল্প-পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সময় গড়িয়ে যাচ্ছেই শুধু। প্রাকৃতিক এই লেক এর সুরক্ষা, সৌন্দর্যবর্ধন ও উন্নয়নে কোনো কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়নি।
ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে মৌলভীবাজার শহরে ঢুকতে গেলেই এই লেক চোখে পড়ে। মহাসড়কের পূর্ব পাশে এবং শহরের ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া শাহ মোস্তফা সড়কের উত্তর পাশে পড়েছে লেকটি। লেকটির উত্তর পাশে বেরির চর নামে একটি পাড়াই গড়ে উঠেছে। অনেকগুলো উঁচু দালান সেখানে উঁকি দিয়ে আকাশ ছুঁতে চাইছে। লেকটির পাড়ে নানা ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকম পানীয়ের বোতল, খাবারের প্লাস্টিকের বাক্স ও প্যাকেট, টুকরা চটের বস্তা, চিপস-চানাচুরের প্যাকেট ইত্যাদি। কোথাও আছে ইটের টুকরা-টাকরা অংশ। পাড় ঘেঁষে গজিয়েছে বিভিন্ন জাতের জলজ ঘাস, কচুরিপানা ও আগাছা। লেকের দক্ষিণ পাড়ে অনেকগুলো ট্রাক দাঁড়ানো থাকে। সকালে দেখা যায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বেশ কিছু গাড়ি লেকের পানি দিয়ে ধোয়ামোছা করা হচ্ছে।
মৌলভীবাজার শহরের উত্তর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মনু নদের সঙ্গে যুক্ত ছিল এই লেক, তখন ছিল মনু নদ। অনেকের মতে, কোনো একসময় বড় রকমের ভূমিকম্প হলে বর্তমান বেরি লেকের অংশটি মনু নদ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিচ্ছিন্ন এই অংশই এখানে লেক আকার নিয়েছে, যা মৌলভীবাজারবাসীর কাছে ‘বেরি লেক’ নামেই পরিচিতি পেয়ে আসছে।
মৌলভীবাজার পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, বেরি লেকটি অতীতে উপজেলা পরিষদের (প্রাক্তন থানা পরিষদ) অধীনস্থ ছিল। বদ্ধ জলাশয় আইন (২০ একর পর্যন্ত পৌরসভার অধীনে থাকবে) অনুযায়ী ১৯৮৭ সাল থেকে বেরি লেক মৌলভীবাজার পৌরসভার আওতায় চলে আসে। বেরি লেকের আয়তন হচ্ছে ১৪ একর ৬৫ শতক। পৌরসভার আওতায় আসার পর থেকেই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মৎস্য চাষের জন্য বেরি লেকটিকে ইজারা প্রদান করা হচ্ছে। এদিকে নব্বইয়ের দশকের শুরুতে বেরি লেকের দুই পাড়ে মার্বেল পাথর দিয়ে পায়ে চলার পথ তৈরির একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, যাতে শহরের মানুষ এখানে এসে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে হাঁটাহাঁটি করতে পারে। কিন্তু সেই উদ্যোগ আর বাস্তবায়িত হয়নি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মৌলভীবাজার জেলার সমন্বয়ক আ স ম ছালেহ সোহেল বলেন, সবার আগে এখন যেটা দরকার, বেরি লেকের দূষণ ও দখল রোধ করা। একসময় বেরি লেকের পাড়ে একটি শিশু পার্ক ছিল, সেটা জবরদখলের কারণে উচ্ছেদ হয়েছে। এখন সেখানে ট্রাকস্ট্যান্ড, ছাগলের হাট বসছে। এটা কোনোভাবেই লেকের সঙ্গে যায় না। লেক নিয়ে সব সময় হেলাফেলা হয়েছে। কখনোই পরিবেশ ও সৌন্দর্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে লেকের অভিভাবক যাঁরা, তাঁদের দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে। বেরি লেক নিয়ে সুদূরপ্রসারী প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন।
এদিকে মৌলভীবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রায় দুবছর আগে বেরি লেক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে প্রকল্প কী পর্যায়ে আছে, তা কেউ বলতে পারছে না। প্রকল্পের মধ্যে ছিল বেরি লেকের দুই পাশে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ, গাইড ওয়াল স্থাপন, লেকের পানি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা, অবৈধ দখল উচ্ছেদ, চতুর্দিকে নালা নির্মাণ করা, দুই পাড়ে পায়ে হাঁটার পথ তৈরি করা, ‘ঢাকার হাতিরঝিলের মতো দৃষ্টিনন্দন করে বেরি লেকের উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রায় দু বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি প্রকল্প প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছিল পৌরসভার মেয়রের মাধ্যমে। সেটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়। সচিব স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলীর কাছে পাঠিয়ে দেন বেরি লেক নিয়ে আর কোনো অগ্রগতি নেই। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ায় এটি কোন পর্যায়ে আছে তা বলা যাচ্ছে না।
পৌরসভার সাবেক মেয়র ফয়জুল করীম ময়ুন বলেন, ‘আমি দায়িত্ব ছাড়ার আগে লেকের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য একশ’ কোটি টাকার একটা ফান্ড তৈরি হয়েছিল। ওই খাতে পরবর্তীতে কত টাকা আসছে আমার জানা নেই। ওই লেক নিয়ে একটা মামলাও রয়েছে।’ মৌলভীবাজার পৌরসভা প্রশাসক মলিস্নকা দে বলেন, লেকের জবরদখলের বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।



বিষয়: #  #  #  #  #  #


আর্কাইভ

সিলেট শহরের সকল হবিগঞ্জী --- --- --- --- --- --- --- ---
রাজশাহীতে শ্রমিক লীগ নেতাসহ গ্রেফতার আরও ১৪
ঘন কুয়াশায় সদরঘাট থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
সিলেটে ৩ হাজার বিঘা জমিতে হচ্ছে প্রবাসী পল্লী
ঢাকা-১৭ আসন থেকে তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
আসছে শৈত্যপ্রবাহ ‘কনকন’
এনসিপির নীতি নাই, বিতর্ক জন্ম দিয়ে নাম দিয়েছে বিপ্লব
এনসিপি থেকে পদত্যাগ করলেন তাসনিম জারা
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এনআইডি পাবেন তারেক রহমান
ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান
সারাদেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা