শনিবার ● ১২ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » বিশেষ » উৎসবে যেমন হওয়া উচিত শিশুর পোশাক
উৎসবে যেমন হওয়া উচিত শিশুর পোশাক
বজ্রকণ্ঠ ডেস্ক::
![]()
উৎসবের দিনে ছোট ছোট শিশুরা যখন শাড়ি-পাঞ্জাবি পরে গুটি গুটি পায়ে হেঁটে বেড়ায়, তাদের দেখে বড়দের মুখে নিজের অজান্তেই হাসি ফুটে ওঠে। সন্তানকে সাজিয়ে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া অভিভাবকদের নির্মল আনন্দ দেয়। তবে উৎসবের পোশাকে বাচ্চাকে দেখতে যত সুন্দরই দেখাক না কেন তারা যেন আরামদায়ক পোশাকে থাকে, এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আজ চৈত্র মাসের ২৯ তারিখ, একদিন বাদেই পহেলা বৈশাখ। বাংলা সংস্কৃতির এই প্রাণবন্ত উৎসবের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে সকাল বেলায় অনেক অভিভাবক তাদের শিশুদের নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। তাই গরম, রোদ ও ভিড়ের কথা মাথায় রেখে শিশুদের পোশাক নির্বাচন করুন। এ দিনে শিশুদের সুস্থ ও সুরক্ষিত রাখতে পোশাকের ধরন, রং এবং উপকরণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। জেনে নিন কীভাবে পহেলা বৈশাখের উৎসবে শিশুদের জন্য আরামদায়ক, আকর্ষণীয় এবং নিরাপদ পোশাক বেছে নেবেন-
১. কাপড়ের ধরন
শিশুদের কাপড়ের জন্য সবসময় প্রাকৃতিক উপাদান বেছে নিন। পহেলা বৈশাখের গরমে শিশুদের জন্য এমন কাপড় নির্বাচন করুন যার মধ্য দিয়ে সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে। সুতি কাপড় সবচেয়ে উপযুক্ত, কারণ এটি ঘাম শোষণ করে এবং ত্বক শীতল রাখে। লিনেন বা খাদি কাপড়ও হালকা ও আরামদায়ক।
তবে পলিয়েস্টার, নাইলন বা সিনথেটিক কাপড়, যা ঘাম জমিয়ে অস্বস্তি ও ঘামাচি সৃষ্টি করতে পারে, এমন কাপড় অবশ্যই এড়িয়ে চলুন।
২. রং ও ডিজাইন
উৎসবের পোশাক অবশ্যই বৈশাখী আবহে মানানসই হওয়া দরকার, যেন শিশু নিজেকে উৎসবের অংশ মনে করতে পারে। উজ্জ্বল লাল, সাদা, নীল, হলুদ বা সবুজ রঙের কাপড়ে বৈশাখী আমেজ আসবে। পরিবারের সবাই একই ধরনের রঙের কাপড়ও পরতে পারেন। এক কথায়, বৈশাখের রঙে সাজুন পহেলা বৈশাখে।
রঙিন হলেও পোশাকের ডিজাইন হওয়া উচিত হালকা। জটিল কাজ বা ভারী অলংকার এড়িয়ে সাধারণ কিন্তু আকর্ষণীয় ডিজাইন বেছে নিন। ফুল, পাখি বা ঐতিহ্যবাহী মোটিফ থাকতে পারে। মেয়েদের ফ্রক বা ফ্লোরাল ড্রেস, ছেলেদের পাঞ্জাবি-পায়জামা বা কুর্তা-পাজামা ভালো পছন্দ। তবে ছোট শিশুরাও কেউ কেউ খুব আগ্রহ নিয়ে শাড়ি পরতে চায়। আপনার কন্যাশিশুটিকে শাড়ি পরাতে চাইলে অবশ্যই খেয়াল করুন শাড়ির কাপড়টি আরামদায়ক কি না এবং শাড়িটি পরে আপনার শিশু সহজভাবে চলাফেরা করতে পারছে কি না।
৩. ঢিলেঢালা ও চলাফেরার উপযোগী
শিশুদের পোশাক অবশ্যই মুক্ত গতির উপযোগী হওয়া চাই। অল্প ঢিলেঢালা পোশাক এজন্য আদর্শ। টাইট জিন্স বা জড়ানো পোশাক এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে হাঁটাচলা ও খেলাধুলায় অসুবিধা হয়। জিপার বা বোতামের বদলে ইলাস্টিক বা ফিতা ব্যবহার করা ভালো, যাতে শিশুরা নিজেরাই সহজে পোশাক পরতে পারে। পায়ের জুতা বা স্যান্ডেলটিও যেন আরামদায়ক হয়, কারণ খোলা জায়গায় শিশু দৌড়াদৌড়ি করবে এটাই স্বাভাবিক। তাই আরামদায়ক জুতা বা ফিতাওয়ালা স্যান্ডেল নির্বাচন করুন।
৪. রোদ ও ভিড় থেকে বাঁচান
গরম ও ভিড়ে শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে কিছু বাড়তি সতর্কতা নিন। বেশি রোদে থাকার পরিকল্পনা থাকলে টুপি বা ক্যাপ ব্যবহার করুন যেন মাথায় রোদ সরাসরি না পরে। সেই সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে শিশুর ত্বকে সানস্ক্রিন লাগিয়ে দিন, যেন রোদে কষ্টকর সানবার্ন থেকে শিশু সুরক্ষিত থাকে।
৫. অ্যাকসেসরিজ
অতিরিক্ত সাজসজ্জা শিশুদের জন্য ঝামেলার কারণ হতে পারে। তাই নিরাপদ ও হালকা অ্যাকসেসরিজ দিতে পারেন। প্লাস্টিক বা কাঠের হালকা মালা ব্যবহার করুন, ধারালো বা ভারী গয়না এড়িয়ে চলুন। ছোট বোতাম, পুঁতি বা ঝালরযুক্ত পোশাক না পরানোই ভালো, কারণ শিশুরা এগুলো মুখে দিতে পারে। বড়দের দেখে শিশুরা অনেক সময় মেকআপ করতে চাইতে পারে। তাদের কোমল ত্বকে এসব কেমিক্যাল খুব খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে, তাছাড়া নির্দিষ্ট বয়সের আগে মেকআপ মানানসই নয়। তাই শিশুদের মেকআপের বিষয়ে নিরুৎসাহীত করুন।
সেইসঙ্গে দামি কোনো বস্তু দিয়ে শিশুকে সাজাবেন না, এটি তাদের দুষ্কৃতকারীর নজরে আনতে পারে।
পহেলা বৈশাখের উৎসবে শিশুদের পোশাক নির্বাচন করতে আরাম, নিরাপত্তা এবং উৎসবের আবহ– এই তিনটি বিষয় মাথায় রাখুন। হালকা সুতির কাপড়, উজ্জ্বল রং এবং ঢিলেঢালা ফিটের পোশাক শিশুদের উৎসবে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে, পাশাপাশি গরম ও ভিড়ের মধ্যে তাদের আরামে রাখবে। সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন।
বিষয়: #উচিত #উৎসবে #পোশাক #যেমন #শিশুর #হওয়া




এক বিরল সাক্ষাৎকারে, প্রাক্তন স্বৈরাচারী নেত্রী শেখ হাসিনা দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলেছেন যে তার ক্ষমতাচ্যুতির সময় রক্তপাতের জন্য তিনি দায়ী নন, এবং অনুপস্থিতিতে তার বিচারকে ‘প্রতারণা’ বলে অভিহিত করেছেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে উচ্চপর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠক!
ছুটির দিনেও ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস
সিলেট-২: নিখোঁজ নেতার ত্যাগের প্রতীক, তাহসিনা রুশদীর লুনা সেই ত্যাগের উত্তরসূরি
যুক্তরাজ্যে জননেতা সুলতান মাহমুদ শরীফের স্মরণে নাগরিক শোকসভা অনুষ্ঠিত
ভোরের দর্পণের সাহিত্য পাতায় আমার একটি বই আলোচনা প্রকাশ পায়, আপন্রাা দেখতে পারেন ’রূপসী ওয়েলসের কোলে ছোট্ট এক বাংলাদেশ”।
শিক্ষাসংস্কারে চাই সুস্পষ্ট লক্ষ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা
সঙ্গীত চৰ্চা ও ধর্ম শিক্ষা: তর্ক-বিতর্কের জায়গাটি কোথায়?
স্থানীয় থেকে জাতীয় সর্বত্র অস্থিতিশীলতা বহুমুখী সংকটে ব্রিটিশ লেবার পার্টি
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ ও পাঠাগার আন্দোলনের পথিকৃত ভাষা সৈনিক মুহম্মদ নুরুল হক
