শিরোনাম:
ঢাকা, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
---

Bojrokontho
বৃহস্পতিবার ● ১০ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » বিশ্ব » বাণিজ্যযুদ্ধে চীন কেন ট্রাম্পের নিশানায়?
প্রথম পাতা » বিশ্ব » বাণিজ্যযুদ্ধে চীন কেন ট্রাম্পের নিশানায়?
৩৮ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ১০ এপ্রিল ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাণিজ্যযুদ্ধে চীন কেন ট্রাম্পের নিশানায়?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক::

বাণিজ্যযুদ্ধে চীন কেন ট্রাম্পের নিশানায়?

হঠাৎ করেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিশ্বব্যাপী সবার বিরুদ্ধে লড়াই করার পরিবর্তে এখন তা অনেকটাই পরিণত হয়েছে পরিচিত রণাঙ্গনে অর্থাৎ আমেরিকা বনাম চীনে। ডজন খানেক দেশের ওপর আরোপিত ‘প্রতিশোধমূলক’ শুল্কে ৯০ দিনের জন্য বিরতি দেওয়া হলেও তাতে এখনও ১০ শতাংশ সার্বজনীন শুল্ক বহাল রাখা হয়েছে।

কিন্তু যে চীন আইফোন থেকে শুরু করে শিশুদের খেলনা পর্যন্ত সবকিছু আমেরিকায় রপ্তানি করে এবং মার্কিন আমদানির প্রায় ১৪ শতাংশ সরবরাহ করে তার জন্য আরও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই হার ১২৫ শতাংশ- যা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো।

ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকান পণ্যের ওপর বেইজিংয়ের ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলাই এই শাস্তির কারণ। এটা তিনি ‘অসম্মানের প্রকাশ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

তবে চীন-বিরোধী বার্তা দিয়ে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়া একজন রাজনীতিবিদের জন্য এটি কেবল প্রতিশোধের চেয়েও অনেক বেশি কিছু। ট্রাম্পের মতে, এটি তার প্রথম মেয়াদের অসমাপ্ত কাজের অংশ।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তখন আমরা ঠিক কাজটা করার জন্য যথেষ্ট সময় পাইনি, যা এখন আমরা করছি। এই উদ্যোগের লক্ষ্য কেবল চীনের নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে উল্টে দেওয়া নয়, যা দীর্ঘদিন ধরে চীনকে বিশ্বের কারখানা হিসেবে কেন্দ্রীয় অবস্থানে রেখেছিল। বরং এটি সেই প্রচলিত বিশ্বাসকেও চ্যালেঞ্জ করছে, যেখানে মনে করা হয় যে বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান বিস্তার নিজেই একটি ইতিবাচক বিষয়।

এই চিন্তাভাবনা ট্রাম্পের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সেই সময়ে যখন বিজয়ী হওয়া তো দূরের কথা- কেউ ভাবেওনি যে ট্রাম্প কখনও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হবেন।

২০১২ সালে যখন চীনের সঙ্গে বর্ধিত বাণিজ্যকে বৈশ্বিক ব্যবসায়িক নেতা, চীনা কর্মকর্তা, বিদেশি সরকার ও বাণিজ্য প্রতিনিধি, বিদেশি সংবাদদাতা এবং নামী অর্থনীতিবিদদের প্রায় সবাই নিঃসন্দেহে একটি ভালো বিষয় হিসেবে দেখতেন।

এটি বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিকে বাড়াচ্ছিল, সস্তা পণ্যের অফুরন্ত সরবরাহ নিশ্চিত করছিল, বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের অংশ হয়ে ওঠা চীনের নতুন কারখানা শ্রমিকদের সমৃদ্ধ করছিল। বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলোও তাদের তৈরি পণ্য নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছে বিক্রির মাধ্যমে লাভজনক বাজার তৈরি করছিল।

কয়েক বছরের মধ্যেই চীন যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে রোলস রয়েস, জেনারেল মোটরস এবং ভক্সওয়াগনের সবচেয়ে বড় বাজারে পরিণত হয়। এর পেছনে আরও গভীর এক যুক্তি ছিল। তত্ত্বটি ছিল এমন যে, চীন যত ধনী হবে, সেখানকার জনগণ তত বেশি রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি তুলবে।

তাদের খরচের প্রবণতাও চীনকে একটি ভোক্তানির্ভর সমাজে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করবে। কিন্তু সেই দুটি প্রত্যাশার মধ্যে প্রথমটি কখনওই বাস্তবায়িত হয়নি বরং চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতার ওপর তাদের দখলদারিত্ব আরও শক্তশালী করেছে।

আর দ্বিতীয় লক্ষ্যটিও যথেষ্ট দ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন হয়নি। চীন এখনও রপ্তানিনির্ভর, আর তার চেয়েও বড় কথা তারা প্রকাশ্যেই আরও প্রভাবশালী হয়ে ওঠার পরিকল্পনা নিয়েছে।

২০১৫ সালে প্রকাশিত চীনের কুখ্যাত শিল্পনীতি ‘মেইড ইন চায়না ২০২৫’–এ তারা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছে যে, রাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন নিয়েই বিমান শিল্প থেকে শুরু করে জাহাজ নির্মাণ এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি পর্যন্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খাতে তারা বৈশ্বিক নেতৃত্ব নিতে চায়।

এই প্রেক্ষাপটেই পরের বছর রাজনীতিতে নবাগত ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার লক্ষ্যে এক ব্যতিক্রমী প্রচারণা শুরু করেন। তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় বারবার বলেন যে, চীনের উত্থান আমেরিকান অর্থনীতিকে ফাঁপা করে দিয়েছে, রাস্টবেল্ট (শিল্পনির্ভর এলাকা) অঞ্চলের পতন ঘটিয়েছে এবং খেটে খাওয়া শ্রমিকদের জীবিকা ও সম্মান কেড়ে নিয়েছে।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের বাণিজ্য যুদ্ধ প্রচলিত ধারা ভেঙে দেয় এবং দীর্ঘদিনের নীতিগত ঐকমত্যে ফাটল সৃষ্টি করে। তার উত্তরসূরি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও চীনের ওপর উচ্চমাত্রার শুল্ক বহাল রাখেন। এসব শুল্ক চীনের কিছুটা ক্ষতি করলেও তাদের অর্থনৈতিক মডেলে বড় কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি।

বর্তমানে বিশ্বের ৬০ শতাংশ বৈদ্যুতিক গাড়ি চীনে উৎপাদিত হয়, যার বড় একটি অংশ তাদের নিজস্ব দেশীয় ব্র্যান্ডের। আর এগুলোর ৮০ শতাংশ ব্যাটারিও তৈরি হয় চীনে।

এখন পাল্টাপাল্টি শুল্কের নতুন ধাপ নিয়ে ট্রাম্প আবারও ফিরে এসেছেন। বলা যায় এটি বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার জন্য একটি বড় ধাক্কা হতে পারত- যদি না সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসিডেন্টের আরও কিছু অনিয়মিত শুল্ক পদক্ষেপ এর প্রভাবকে ছাপিয়ে যেত।

এই বাণিজ্যযুদ্ধে এরপর কী হবে তা নির্ভর করছে দুটো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের ওপর। প্রথমত- চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাবটি গ্রহণ করবে কি না। আর দ্বিতীয়ত, যদি তা করেও রপ্তানিমুখী অর্থনৈতিক মডেলের সম্পূর্ণ সংস্কারসহ আমেরিকার মনমতো বড় ধরনের ছাড় দিতে চীন ইচ্ছুক হবে কি না।

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে গিয়ে প্রথমেই বলা দরকার, আমরা এখন একেবারেই অজানা ও অনিশ্চিত অবস্থানে আছি। তাই কেউ যদি দাবি করে যে, বেইজিং কী প্রতিক্রিয়া দেখাবে তা তারা জানেন তাহলে সেই দাবির প্রতি সাবধানতা অবলম্বন করাই ভালো।

তবু সতর্ক হওয়ার কিছু কারণ অবশ্যই রয়েছে। শক্তিশালী রপ্তানি এবং ঘরোয়া বাজারের কঠোর সুরক্ষার ওপর ভিত্তি করে তৈরি চীনের অর্থনৈতিক শক্তির বিষয়টি এখন তাদের জাতীয় পুনরুজ্জীবন এবং একদলীয় ব্যবস্থার শ্রেষ্ঠত্বের ধারণার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, তাদের তথ্যনিয়ন্ত্রণ এতটাই কড়া যে তারা সহজেই আমেরিকান প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য বাজার উন্মুক্ত করবে- এমন সম্ভাবনা কম। কিন্তু এখানে তৃতীয় একটি প্রশ্ন আছে, আর সেটার উত্তর দিতে হবে আমেরিকাকেই।

যুক্তরাষ্ট্র কি এখনও মুক্তবাণিজ্যে বিশ্বাস করে?

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায়ই শুল্ককে ‘ভালো’ উল্লেখ করে বলেন যে, এটি কেবল লক্ষ্য পূরণের উপায় নয় বরং নিজেই একটি লক্ষ্য। তার মতে, প্রতিরক্ষামূলক শুল্ক আমেরিকার জন্য লাভজনক কারণ তা দেশীয় বিনিয়োগে উদ্দীপনা জোগায়, বিদেশে ছড়িয়ে পড়া সাপ্লাই চেইনগুলোকে ঘরে ফেরাতে আমেরিকান কোম্পানিগুলোকে উৎসাহ দেয় এবং কর রাজস্ব বাড়ায়।

আর বেইজিং যদি মনে করে যে এই শুল্ক আরোপের মূল উদ্দেশ্য আদৌ আলোচনার টেবিল বসা নয় বরং আমেরিকার নিজস্ব শিল্প সুরক্ষা তাহলে তারা হয়তো ভাববে আলোচনার কিছুই নেই। তখন অর্থনৈতিক সহযোগিতার ধারণাকে সামনে না এনে ‘যে জিতবে সে-ই সব পাবে’ ধরনের অর্থনৈতিক আধিপত্যের লড়াইয়ে বিশ্বের দুই বৃহত্তম পরাশক্তি নিজেদের জড়িয়ে ফেলতে পারে।

আর যদি সেটাই হয় তাহলে এটি হবে দীর্ঘদিনের আন্তর্জাতিক ঐকমত্যের সম্পূর্ণ বিপর্যয় এবং একেবারেই ভিন্ন আর সম্ভবত অত্যন্ত বিপজ্জনক ভবিষ্যতের সূচনা।



বিষয়: #  #  #  #  #


---

আর্কাইভ

--- --- --- --- --- --- আমি কয়েকটি লাইভ স্ট্রিমিং টক শো করব এবং আপনাদের সবাইকে আমার “কারেন্ট” অ্যাফেয়ার্সে অতিথি হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চাই! আপনি কি আমার টক শোতে থাকতে আগ্রহী হবেন? --- বাঙ্গালী সাজে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বিদেশিনী! ???? --- ফেনী ও হবিগঞ্জে ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছে কোস্টগার্ড। যোগাযোগ করুন ::- ফেনী:- ০১৭৬৯৪৪২৯৯৯,০১৭৬৯৪৪২৫৯১ , হবিগঞ্জ: - ০১৭৬৯৪৪১৯৯৯,০১৭৬৯৪৪১৩৩৩ --- আপনাদের লেখা আমাদের অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ বা প্রচার করতে চান ? ই-মেইল ঠিকানা:: [email protected] --- লোকসংস্কৃতি গবেষক আবু সালেহ আহমদ এর ধারাবাহিক গ্রন্থ আলোচনা-০৩ ভালোবাসার বহিরাবরণ: গ্রন্থটি সমাজ, প্রেম ও মানবজীবনের প্রতিচ্ছবি..। আলোচক- কবি এম আর ঠাকুর। ---

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
সাবেক বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে তদন্তে দুদক
ছাতকে রয়েল বেকারিতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
দুই মিশনে লন্ডনে আরিফুল হক চৌধুরী
মোংলা বন্দরের উন্নয়নে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান
মোংলা বন্দরের উন্নয়নে সকলকে একযোগেকাজ করার আহ্বান
ছাতকে রেলওয়ের অভিযানে ২শ ঘরবাড়ী ও দোকান উচ্ছেদ
মৗলভীবাজারে লুণ্ঠিত টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার সহ ডাকাত দল গ্রেফতার! 
শ্রমিকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দেশ বিদেশে মোংলা বন্দরের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে
সুন্দরবনে অস্ত্র ও গুলিসহ জলদস্যু আনারুল বাহিনীর সহযোগী আটক
নবীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে এক পলাতক আসামী গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জে কোস্টগার্ডের অভিযানে অবৈধ চিংড়ি রেণু জব্দ
দৌলতপুরে বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে পাট বোঝাই চলন্ত ট্রাকে আগুন, ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম: হাসনাত
পুত্রের বিরুদ্ধে বৃদ্ধ পিতার সংবাদ সম্মেলন
মুন্সীগঞ্জে কোস্টগার্ডের অভিযানে অবৈধ জাল-সুতার রিল জব্দ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযান,সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেফতার-৩
মাধবপুরে মেলায় ঘুরতে গিয়ে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল দর্শনার্থীর
কক্সবাজারের ইনানীতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে নৌবাহিনী
ছাত‌কে প্রবাসীর দোকানঘর জোর পূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে
গাজার উচ্চশিক্ষা পুনর্গঠনে লন্ডনে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
তারেক রহমান পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে রয়েছেন; দ্য উইক-এর কাভার স্টোরি
বরগুনায় কোস্টগার্ডের অভিযানে হরিণের মাংস জব্দ
ভেড়ামারা বামন পাড়া গ্রামে জমি ক্রয় সংক্রান্ত বিবাদ এর যের ধরে ব্যবসায়ীর দোকান লুট ভাঙচুর
মৌলভীবাজারের মৌরসী সম্পত্তি প্রভাবশালী নিপু রায়ের জবর দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
গরমে ভোগাবে আরও ২ দিন, বৃষ্টি হতে পারে সোমবার
নিজ দেশেই বিমান হামলা চালাল ভারত, আইএএফের দুঃখ প্রকাশ
থাইল্যান্ডে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত, পাইলটসহ নিহত ৬
২৬ বছরে দু’পক্ষের ৯জনের মৃত্যু।।
রাণীনগরে ২৯হাজার ৩১০কেজি সরকারি চাল জব্দ
বাংলাদেশ থেকে তৈরী পোষাক আমদানী বন্ধ করতে যাচ্ছে ইউরোপের বড় পাঁচটি কোম্পেনী