মঙ্গলবার ● ৬ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » ধর্ম » চরম হতাশা থেকে মুক্তির দোয়া। হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।
চরম হতাশা থেকে মুক্তির দোয়া। হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।

মানুষ সুখে-দুঃখে, অভাব-অনটনে, বিপদ-মুসিবতে এবং চরম হতাশার সময় তার উভয় হাত ও চোখ মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার দিকেই প্রসারিত করে। আর এসব আবেদনের আলোকেই সমস্যার সমাধানে আল্লাহ তাআলা প্রতিনিয়ত কাজে ব্যস্ত থাকেন।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আসমান এবং জমিনে যা কিছু (যত সৃষ্টি) আছে সবাই তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে আর তিনি প্রতিটি মুহূর্তেই (এসব কাজ সম্পাদনে) কর্মে ব্যস্ত’। (সূরা: আর-রহমান, আয়াত: ২৯)
মানুষ যখনই কোনো বিপদ-আপদে পতিত হয় তখনই আশা ও ভয়ের মাধ্যমে রাব্বুল আলামিন আল্লাহকে ডাকে। হৃদয়ের গভীর থেকে একান্তে মধুর নামে আল্লাহকে ডাকে।
বান্দা যখনই হৃদয়ের গভীর থেকে মধুর নামে আল্লাহকে ডাকে, আল্লাহ তখনই বান্দার অন্তরে প্রশান্তি দান করেন। অস্থিরতা দূর করে দেন। স্নায়ু ও বোধ শক্তি বৃদ্ধি করে দেন।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আসমান-জমিন এবং উভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে তিনি (আল্লাহ) সবারই প্রতিপালক। সুতরাং তুমি তার ইবাদত কর এবং তার ইবাদতে সবর অবলম্বন কর। তুমি কি তার সম বা অনুরূপ কাউকে চেন বা জান’?

আল্লাহ তাআলা এ আয়াতে মানুষকে প্রশ্ন করেন, মানুষকে ক্ষমা প্রদানে, নিরাপরাধ ব্যক্তির সমস্যার সমাধানে, অসহায় মানুষকে আশ্রয়দানে এমন কেউ আছে কী? যাকে তোমরা চেন বা জান?
এ প্রশ্নের উত্তরে, মানুষ যে দিকেই তাকাবে, সে দিক থেকেই চোখ ফিরে আসবে। কেননা আল্লাহ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো উপাস্য নেই। যিনি মানুষের সব কিছুর প্রতিবিধান করতে পারে।
তাইতো আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তার মতো (সমতুল্য/উপমা দেয়ার) কেউ নেই এবং তিনিই সবকিছু শোনেন এবং সবকিছু দেখেন’। (সূরা: শুরা, আয়াত: ১১)
সুতরাং যিনি ব্যতিত বান্দার কোনো উপায় নেই। নাজাতের কোনো পথ নেই, তার দিকেই ফিরে যাবে মুমিন। তার কাছে প্রার্থনা বা আশ্রয় চাইবে মুমিন। দুনিয়া ও পরকালের সব সমস্যার সমাধানে আশা ও ভয় মিশ্রিত হৃদয়ে মুমিন বান্দার আবেদন হবে এমন, رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِوَاَدْخِلْنَا الْجَنَّةَ مَعَ الْاَبْرَارِ يَاعَزِيْزُ يَاغَفَّارُ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْن
উচ্চারণ: ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনইয়া হাসানাতও ওয়া ফিল আখিরাতে হাসানাতাও ওয়া ক্বিনা আজাবান নার’। ওয়া আদখিলনাল জান্নাতা মাআল আবরার। ইয়া আযিযু ইয়া গাফ্ফার, ইয়া আরহামার রাহিমিন’।
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রভু, আমাদের দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ দান করুন। জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্ত রাখুন। আপনার প্রিয় বান্দাদের সঙ্গে জান্নাত দান করুন। হে পরাক্রমশালী, হে ক্ষমাকারী, হে শ্রেষ্ঠ দয়ালীশীলদের দয়াশীল’।
ইয়া আল্লাহ! সব মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়া ও পরকালের সব বিষয়ে আপনার সাহায্য ও রহমত লাভের তাওফিক দান করুন। আপনার দয়া ও ক্ষমা লাভে কোরআনের উপদেশের আলোকে জীবন সাজানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।
লেখক: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী, সাবেক ইমাম ও খতিব কদমতলী মাজার জামে মসজিদ সিলেট। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জকিগঞ্জ উপজেলা সচেতন নাগরিক ফোরাম সিলেট।
বিষয়: #আহমদ #চরম #থেকে #দুধরচকী #দোয়া #মাছুম #মুক্তির #হতাশা #হাফিজ




কোরআন ও হাদীসের আলোকে শবে মেরাজ এবং মেরাজের ঘটনা!
পবিত্র রজব মাসের ফজিলত ও ইবাদত! ।
কোরআন ও হাদিসের আলোকে ইসলামী দাওয়াত এর গুরুত্ব!
ভূমিকম্প থেকে বাঁচার দোয়া ও আমল!
জমাদিউস সানি মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত!
আল্লাহর পরিচয় ও কর্তৃত্ব: কুরআনের আলোকে হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকীর ব্যাখ্যা
বান্দার ডাকে যেভাবে সাড়া দেন আল্লাহ
আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সুসম্পর্ক যে কারণে আবশ্যক! হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।
জমাদিউল আউয়ালের প্রথম জুমা হোক জীবনের নতুন দিকনির্দেশনা
মাহে রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত।
