শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বজ্রকণ্ঠ "সময়ের সাহসী অনলাইন পত্রিকা", সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকা,রাজশাহী,নিউ ইয়র্ক,লন্ডন থেকে প্রকাশিত। লিখতে পারেন আপনিও।

Bojrokontho
মঙ্গলবার ● ৫ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » কবি ও কবিতা » ক্লান্ত পথের স্নিগ্ধ সু-গন্ধি
প্রথম পাতা » কবি ও কবিতা » ক্লান্ত পথের স্নিগ্ধ সু-গন্ধি
২৫০ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ৫ আগস্ট ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ক্লান্ত পথের স্নিগ্ধ সু-গন্ধি

কবি শফি মো: ওমর ফারুক
কবি শফি মো: ওমর ফারুক   ওয়ারী- ঢাকা।-ক্লান্ত পথের স্নিগ্ধ সু-গন্ধি

আমি ক্লান্ত পথের আহত এক চাতক পাখি ;
তৃষিত কষ্টের দাবানলগুলো কোথায় লুকিয়ে রাখি?
আমি ক্লান্ত পথের আহত এক চাতক পাখি ;
মনুষত্বহীন মানুষগুলো;—
জখমে ঢেলে দেয় ইউরেনিয়াম জ্বালানি ;
ফ্যালানির লাশের পাশে সভ্যতা কেন প্রশ্ন রাখেনি?
আমি ক্লান্ত পথের আহত এক চাতক পাখি,
তৃষিত কষ্টের দাবানলগুলো কোথায় লুকিয়ে রাখি?
আমাকে একটি অগ্নি পরশ ফুল দাও -;
আমি তোলপাড় করে দেবো ;–
ধর্ষিত মাটির বুকে লুকিয়ে থাকা দূর্বীনিত সব অন্ধকার।
আমি তোলপাড় করে দেবো;–
মিথ্যের কফিনে পেরেক ঢুকে রাখা “স্বাধীনতা ও স্বাধিকার”।

আমি খুঁজে নেব;–
আমি খুঁজে নেব, ক্লান্ত পথের স্নিগ্ধ সুগন্ধি গুলো;
আমি খুজে নেব, ঝরে পড়া গোলাপ থেকে পাপড়ির সুগন্ধি ;
আমি খুজে নেব,ঝরে পড়া পাপড়ি থেকে আত্মার সুগন্ধি ;
আমি খুজে নেব, কলংঙ্কিত অধ্যায়গুলো থেকে নিংড়ানো ভালোবাসা।
আমি ক্লান্ত পথের আহত এক চাতক পাখি,
তৃষিত কষ্টের দাবানল গুলো কোথায় লুকিয়ে রাখি?

মৃত আত্মা গুলোর মুখে ভাষা নেই ;
তাই তারা;—
প্রশ্ন রাখেনি সভ্যতার;- দেওয়ালে দেওয়ালে; পোস্টারে পোস্টারে ;
তাদের মগজ কথা বলেনি; প্রশ্ন রাখেনি?
মননে; মগজে যাদের প্রচন্ড ক্ষুধা, দানবীয় রাক্ষুসী ক্ষুধা;
দৃষ্টিতে তাদের প্রচন্ড লুণ্ঠনের দানবীয় রাক্ষুসী থাবা।
নিখিলের মর্মে-ধর্মে-কর্মে; দানবীয় রাক্ষসী ক্ষুধা,
চিন্তা-চেতনায় ধমনীর শিরা-উপশিরায় স্বার্থের দ্বন্দ্বের রাক্ষসী ক্ষুধা।
বড্ড বেশি দানবীয় রাক্ষসী থাবা,
মনুষত্বের দেয়ালে সাটানো পোস্টারে পোস্টারে জ্বালাময়ী নগ্ন থাবা ;
পশ্চিমা আত্মাগুলোয় ভয়ংকর প্রহসনের নীল নকশার ঝলসানো আগ্রাসী থাবা ;
আমাকে একটি অগ্নি পরশ ফুল দাও;–
আমি তোলপাড় করে দেব,
ধর্ষিত মাটির বুকে লুকিয়ে থাকা দূর্বিনীত সব অন্ধকার,
আমি তোলপাড় করে দেব;-
মিথ্যের কফিনে পেরেক ঠুকে রাখা “স্বাধীনতা ও সাধিকার”।
আমি খুঁজে বেড়াই ;–
আমি খুঁজে বেড়াই, ক্লান্ত পথের স্নিগ্ধ সুগন্ধি গুলো; লাল টকটকে থোঁকা-থোঁকা কৃষ্ণচূড়ার পাড়ায় পাড়ায়।

আমি চিবিয়ে খাব ;
আমি চিৎকার করে চিবিয়ে খাব ;
মানবতার সকল মানচিত্র।
আমি চিবিয়ে খাব;
পোড়া লাশের গন্ধ থেকে মৃত সব হাড়মাংস।
আমি খুঁজে বেড়াই ;
আমি খুঁজে বেড়াই ক্লান্ত পথের স্নিগ্ধ সুগন্ধি গুলো ;
লাল টকটকে থোঁকা-থোঁকা কৃষ্ণচূড়া পাড়ায় পাড়ায়।

আমি গিলে খাব ;–
আস্ত গিলে খাব মানবতার সকল মানচিত্র।
চিবিয়ে-চিবিয়ে খাব;–
শহর-নগর-বন্দর জনপদ; কোলাহল মুখর লোকালয়; আরব্য মরুময় প্রান্তর থেকে প্রান্তর।
প্রশান্ত মহাসাগর থেকে তাব্রীয় উপসাগর,
পারস্য থেকে মালয় উপত্যকা,
নীলগিরি থেকে সিন্ধু পর্বতমালা।
চিবিয়ে খাব ;
গাজার শিশুদের হাড়-মাংস থেকে মানবতা।
আমি চিৎকার করে চিবিয়ে খাব ;–
আরব্য রজনী থেকে আফগান চন্দ্র গিরি,
সিরিয়া, আফ্রিকান সিংহ থেকে প্লাটিনাম হীরের খনি।

আমি চিৎকার করে চিবিয়ে খাব ;–
খাইবার গিরি থেকে তেল- গ্যাস-জ্বালানি ;
উদরে যাদের ইউরেনিয়াম জ্বালানি,
একদিন চিবিয়ে খাব তাদের সকল অশ্লীল গ্লানি।

শিউলি বকুল মৃদু হেসে বলে, সেখানে আজো দুর্ভিক্ষের সূর্য অস্ত যায়নি,
বর্ষা শেষের চাঁদ করুন সুরে জোছনা ছড়ায়নি,
শরৎ শেষে বৃষ্টি মৃদু স্বরে রক্তের দাগগুলো মুছে দেয়নি,
মরুর মৃদু আলোর রাতগুলো ফিসফিসিয়ে কিছু বলেনি,
আলো আসেনি,
পিয়ানোর সুরগুলো চুপি চুপি নিম্ন স্বরে বেহালা বাজায়নি,
কেউ কাঁদেনি;—-
মৌনব্রতে, যাপিতযজ্ঞের চঞ্চল স্পষ্ট অধিকার,
কেউ শোনেনি;—
আমি ক্লান্ত পথের আহত এক চাতক পাখি,
তৃষিত কষ্টের দাবানলগুলো কোথায় লুকিয়ে রাখি?
আমাকে একটি অগ্নি পরশ ফুল দাও;–
আমি তোলপাড় করে দেব,
ধর্ষিত মাটির বুকে লুকিয়ে থাকা দূর্বিনীত সব অন্ধকার,
আমি তোলপাড় করে দেব ;—
মিথ্যের কফিনে পেরেক ঠুকে রাখা “স্বাধীনতা ও স্বাধীকার”।
আমি খুজে বেড়াই;—
আমি খুঁজে বেড়াই, ক্লান্ত পথের স্নিগ্ধ সু-গন্ধিগুলো,
লাল টকটকে থোকা-থোকা কৃঞ্চচূঁড়ার পাড়ায়-পাড়ায়।

আমি চিবিয়ে খাব;-
আত্মার বৈভবে লুকিয়ে থাকা অন্ধ দাবানলের খনি,
আমি চিবিয়ে খাব;–
ক্লান্ত-জ্বলন্ত পথের নিথর দেহের গোঙ্গানি,
আমি চিবিয়ে খাব;–
তাবত দুনিয়ায় ইউরেনিয়াম জ্বালানি,
আমি চিৎকার করে চিবিয়ে খাব;–
সভ্যতার উঁচু দালান হতে পারস্যের তেল গ্যাসের খনি।

আমি উড়িয়ে দেব;–
উড়িয়ে দেব,
বাড়ি-ঘর,দালান-কোটা, দ্বিখন্ডিত লাশ,
উড়িয়ে দেব;-
পারস্য সাগর ; উপসাগর আরব্য সভ্যতার ইতিহাস।

মননে যাদের সভ্যতার আলো এসে দ্যোল খায়নি,
উদরে যাদের জ্বালাময়ী ইউরেনিয়াম জ্বালানি,
দৃষ্টিতে তাদের নাড়ী ছিড়ে বের হয়ে আসে বারুদের খনি।
আমাকে একটি অগ্নি পরশ ফুল দাও;–
আমি তোলপাড় করে দেব ;–
ধর্ষিত মাটির বুকে লুকিয়ে থাকা দূর্বিনীত সব অন্ধকার,
আমি তোলপাড় করে দেব;– মিথ্যের কফিনে পেরেক ঠুকে রাখা ” স্বাধীনতা ও স্বাধীকার”।

আমি ভেঙে দেব;–
অন্ধ সুড়ঙ্গের সর্বাঙ্গে লেপ্টে থাকা কুটিল খেলার সব অন্ধকার,
আমি খুঁজে বেড়াই;–
আমি খুঁজে বেড়াই, ধমনীর শেকড়ে লুকিয়ে থাকা আত্মার স্নিগ্ধ সুগন্ধি,
আমি খুজে বেড়াই, গড়িয়ে পড়া অশ্রুর নীচে নি:স্তদ্ধ সব হা-হা-কার,
আমি খুজে বেড়াই, নির্বাক দৃষ্টির ভীড়ে নিবু নিবু মানবতার অধিকার।
আমি খুজে নেব ;–
আমি খুঁজে নেব, ঝরে পড়া পাপড়ি থেকে আত্মার স্নিগ্ধ সুগন্ধ,
আমি খুঁজে নেব ঝরে পড়া গোলাপ থেকে পাপড়ির স্নিগ্ধ সু-গন্ধি,
আমি খুজে বেড়াই পাড়ায়-পাড়ায়,
আমি খুজে বেড়াই ;ক্লান্ত পথের স্নিগ্ধ সু-গন্ধিগুলো,
লাল টকটকে থোঁকা-থোঁকা কৃঞ্চচূঁড়ার পাড়ায় পাড়ায়।

কলম প্রশ্ন তোলেনি;—-?
কলম কেন প্রশ্ন তোলেনি ;–?
নষ্ট-নগ্ন, আত্মার নিছিদ্র নীলিমায়?
কলম প্রশ্ন তোলেনি, মৃত মর দেহের ক্ষত-বিক্ষত খন্ডিত অংশগুলোয়?
কলম প্রশ্ন রাখেনি, জ্ঞানের ঔদার্যে নির্মিত থমথমে তাপমাত্রায়?
কলম প্রশ্ন রাখেনি, ঝলসানো প্রদদ্দলিত নিংড়ানো মানবতার শেষ আশ্রয়স্থলে?
কলম প্রশ্ন রাখেনি, ঘুমন্ত বিশ্ব বিবেকের কাছে?
কলম প্রশ্ন রাখেনি, জুলন্ত ফেলানীর লাশের পাশে?
কলম প্রশ্ন রাখেনি, শেয়াল-কুকুর-হিংস্র জানোয়ারের তিক্ত রক্ত চক্ষুর কাছে?
কলম প্রশ্ন তোলেনি, ঔদার্যের পৃষ্টে সেটে থাকা নষ্ট-নগ্ন উল্ল্যাস, প্রান্তর থেকে প্রান্তরে-যুগ থেকে যুগান্তরে।
আমাকে একটি অগ্নি পরশ ফুল দাও ;–
আমি তোলপাড় করে দেব ;–
রিক্ত পায়ে উত্তপ্ত ঝংকার তুলব,
ধর্ষিত মাটির বুকে লুকিয়ে থাকা দূর্বিনীত সব অন্ধকার,
আমি তোলপাড় করে দেব,
মিথ্যের কফিনে পেরেক ঠুকে রাখা “স্বাধীনতা ও স্বাধীকার”।
আমি খুজে নেব;–
আমি খুজে নেব, ক্লান্ত পথের স্নিগ্ধ সু-গন্ধিগুলো,
লাল টকটকে থোঁকা-থোকা কৃষ্ণচূড়ার পাড়ায় পাড়ায়।

হৃদয় যখন ঝড়তুল্য পাথর হয়,
সভ্যতা তখন কাঁটা তারের দীর্ঘশ্বাসে আবদ্ধ রয়,
আজ যে “ফিলিস্তিন” ধ্বংসস্তুপের অন্ধকারে ঢাকা,
কাল সে “ফিলিস্তিন” নব নব আলোয় জেগে উঠবে,
আঁকবে সভ্যতার নান্দনিক গাঁথুনি গাঁথা।

জ্ঞান প্রশ্ন রাখেনি ;–
জ্ঞান কেন প্রশ্ন রাখেনি?
ভর্যাত করুণ নৃশংস হত্যাযজ্ঞের প্রহসনে?
দমন-পীড়ন কলংকিত, পরাজিত অধ্যায়গুলোতে,
কেন জ্ঞান প্রশ্ন রাখেনি সে পথে
যে পথে হতবিহ্বল কংকালগুলো যুগের অট্রহাসিতে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে?
জ্ঞান বসে থাকেনি সে পথে,
যে পথে আলো হেটে গিয়েছে,
জ্ঞান হেটে গিয়েছে সে পথে
যে পথে অন্ধকার ধেঁয়ে এসেছে।

জ্ঞান টপকে যায়নি;—
লাল-দালান, আর কাঁটা তারে ঘেরা প্রাচীর গুলো,
কেন জ্ঞান উঠে দাঁড়ায়নি পৃথিবীর গভীরতম নষ্ট-নগ্ন পাড়া গুলো থেকে?
জ্ঞান কেন বীজ বপন করেনি, মানবতার সে পথে,
যে পথে অবহেলিত, দলিত,বঞ্চিতরা থাকে?
আমি চিৎকার করে চিবিয়ে খাব,
মনুষত্বহীন মানবতার সকল মানচিত্র।
আমি চিৎকার করে চিবিয়ে খাব,
অনুভূতিহীন অস্তিত্তের সীমাহীন সীমানা,
আমাকে একটি অগ্নি পরশ ফুল দাও ;—
আমি তোলপাড় করে দেবো,
ধর্ষিত মাটির বুকে লুকিয়ে থাকা দূর্বিনীত সব অন্ধকার,
আমি তোলপাড় করে দেবো,
মিথ্যের কফিনে পেরেক ঠুকে রাখা “স্বাধীনতা ও স্বাধিকার”।
আমি খুঁজে বেড়াই ;–
আমি খুঁজে বেড়াই ক্লান্ত পথের স্নিগ্ধ সুগন্ধি গুলো,
লাল টকটকে থোকা-থোকা কৃঞ্চচূড়ার পাড়ায় পাড়ায়।

মৃত্যুর শেকড়ে আবদ্ধ ফিলিস্তিন আজ গিরিরুদ্ধ একটি প্রাচীর,
তব, রক্তের থোকা-থোকা ব্যঞ্জনে চিত্তগুলো সব হয়নি চৌচির,
মৃত্যু যাদের তাড়া করে, মৃত্যুকেই যেন তারা জাঁকজমকপূর্ণ নকঁশায় আলিঙ্গন করে,
সাহস আর প্রতিজ্ঞায় লিখবে যারা,
শেষ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ নব নব ইতিহাস,
লাশের দালানে, প্রহসনের উদ্যত হত্যাযজ্ঞে,
“প্রতিরোধের স্রোতে,” হারিয়ে দেবে তারা সকল পরিহাস।
“স্বাধীনতা ও স্বাধীকারের স্পন্দনে,
প্রতিশ্রুতির প্রতিধ্বনিতে ভেসে যাবে একদিন,
রক্তাক্ত উত্তপ্ত সব চুল্লি।

কলম স্পর্শ দেয়নি,
কলাম পুষ্প পরশ স্নিগ্ধ স্পর্শ দেয়নি,
কোমলমতি শিশুদের ভয়ার্ত চেহেরা গুলোতে,
কলম প্রশ্নের মুখে প্রশ্ন রাখেনি?
মৃত্যুর শেকড়ে বাধা কোমলমতি শিশুদের হাড়-গোড় সরু হাত-পা গুলোতে,
কলম ঝড় তোলেনি,
যুগের নষ্ট পাড়ায় লাশের স্তুপ উঁচু থেকে যখন আরো বেশী উঁচু হয় তাতে,
কলম ঝড় তোলেনি;–
মৃত্যুর মিছিলের তীব্র গোঙ্গানি সভ্যতার কর্ণে যখন প্রবেশ করেনি তাতে,
কলম শেখেনি;–
কলম কেন শেখেনি অস্থ: যাওয়া সূর্যের লাল নীলিমা থেকে?

কলম কেন প্রশ্ন তোলেনি,উদিত সূর্যের ভোরের নব নব আলোয়?
কলম কেন ঝড় তোলেনি; ঠনঠনে চাঁচে ঢাকা শিশির সিক্ত আত্মাগুলোয়?
গাজা যখন খাবার চায়, বিশ্ব বিবেক তখন পালিয়ে বেড়ায়।
নিশ্চুপ নিরবতায়, উত্তপ্ত মিছিলে প্রশ্নের চোখে প্রশ্ন হারিয়ে যায়,
ইন্দ্রিয়গুলো প্রাচূর্যের প্রসন্নতায় তীব্র ব্যথাগুলো ভূলে যায়,
“স্বাধীনতা ও স্বাধীকারের” স্পন্দনে,
প্রতিশ্রুতির প্রতিধ্বনিতে ভেসে যাবে একদিন,
রক্তাক্ত উত্তপ্ত সব চুল্লি।
আমাকে একটি অগ্নিপথ ফুল দাও;–
আমি তোলপাড় করে দেবো,
ধর্ষিত মাটির বুকে লুকিয়ে থাকা দূর্বিনীত সব অন্ধকার,
আমি তোলপাড় করে দেবো;-
মিথ্যের কফিনে পেরেক ঠুকে রাখা “স্বাধীনতা ও স্বাধীকার”।
আমি খুঁজে বেড়াই;–
আমি খুঁজে বেড়াই ক্লান্ত পথের স্নিগ্ধ সুগন্ধি গুলো,
লাল টকটকে থোকা-থোকা কৃষ্ণচূঁড়ার পাড়ায় পাড়ায়।

আর কতো?
আর কতো প্রহসন?
পশ্চিমা ধমনীর নগ্ন থাবার নষ্ট উল্লাস,
মনুষত্বহীন মানুষগুলোর বিভীষিকাময় বিলম্বিত বিন্যাস?
কত না রয়েছি সয়ে, নির্মম নিষ্ঠুর কালের দগ্ধ স্রোতে, সব ধৈর্যের বাঁধ গেছে ভেসে দগ্ধ জড় পদার্থে,
মূর্খতার চর্যাপদে নিষ্ঠুর সময় গিয়েছে সয়ে মরণ-বরণ নিত্য আলিঙ্গনে,
দলিত-মৌলিত-বঞ্চিত নির্যাতিত হল সুবাসিত ফুলগুলো বৃষ্টিহীন শ্রাবণে।

কোন সাম্রাজ্যের ইতিহাসই চিরস্থায়ী নয়,
উদ্ভাসিত অগ্নি স্পুলিঙ্গ যেন নির্বাপিত হয়।
জ্ঞান ছুটে যায়নি;–
জ্ঞান কেন ছুটে যায়নি, সত্য সুন্দর স্নিগ্ধ পুষ্প রথে?
জ্ঞান কেন সুগন্ধি ছড়ায়নি, আলোক জ্যোতি প্রকৃতির পথে?
জ্ঞান কেন প্রশ্ন রাখেনি, দলিত-লাঞ্চিত-বঞ্চিত মরুর ধুলিপথে?
জ্ঞানে কেন আলোক রশ্মি ছড়ায়নি, বিচ্যুত প্রহসন আর স্বার্থের দ্বন্দ্বে বিভক্ত রথে?
জ্ঞান কেন ভালোবাসা শেখেনি, প্রফুস্টিত লাল রক্ত জবা থেকে?
জ্ঞানে কেন ভালোবাসা শেখেনি,কৃষ্ণচূড়ার থোকা থোকা সুগন্ধি থেকে?
জ্ঞান কেন ছন্দ তোলেনি, আবেশী মাদলের বাদল থেকে?

“স্বাধীনতা ও স্বাধীকারের” স্পন্দনে,
প্রতিশ্রুতির প্রতিধ্বনিতে ভেসে যাবে একদিন,
রক্তাক্ত উত্তপ্ত সব চুল্লি।
আমাকে একটি অগ্নিপরশ ফুল দাও;–
আমি তোলপাড় করে দেবো;-
ধর্ষিত মাটির বুকে লুকিয়ে থাকা দূর্বিনীত সব অন্ধকার, আমি তোলপাড় করে দেবো;-
মৃত্যুর কফিনে পেরেক ঢুকে রাখা “স্বাধীনতা ও স্বাধীকার”
আমি খুঁজে বেড়াই;–
আমি খুঁজে বেড়াই কোমলমতি শিশুদের হাড়গোড় হতে কৃষ্ণচূড়ার সুগন্ধ।
আমি খুঁজে বেড়াই অস্ত যাওয়া সূর্যের লাল নীলিমা থেকে যুগের সুগন্ধি,
আমি খুঁজে বেড়াই মৃতদের হৃদপিণ্ড থেকে ভালোবাসার সুগন্ধি,
আমি খুঁজে বেড়াই, ভারাক্রান্ত ব্যথা থেকে মনুষত্বের সুগন্ধি,
আমি খুঁজে বেড়াই শিউলি বকুলের অপমৃত্যু থেকে সন্ধ্যার সুগন্ধি।

যেদিন থাকবে না;–
দগ্ধ চিতার চাতালে মৃত্যুর উল্লাস,
সেদিন সভ্যতায় জেগে উঠবে;–
মনুষত্বের মেরুদন্ডে স্নিগ্ধ সু-গন্ধি বিন্যাস।

কবি শফি মো: ওমর ফারুক , ওয়ারী- ঢাকা।



বিষয়: #  #  #  #  #  #


--- ---

আর্কাইভ

সিলেট শহরের সকল হবিগঞ্জী --- --- --- --- --- --- ---

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-দপ্তর সম্পাদকের পদত্যাগ
সংকটময় মুহূর্তে দেশ, কোন দিকে যাবে নির্ভর করছে নির্বাচনের ওপর: সিইসি
গণভোটে রাজনৈতিক দলগুলো একমত না হলে সিদ্ধান্ত নিবে সরকার
পদত্যাগ করলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র জেবা
তৃতীয়বারের মতো জামায়াতের আমির হলেন ডা. শফিকুর রহমান
শাপলা কলিতেই রাজি এনসিপি
মোহাম্মদপুরে অটোরিকশা চালককে কুপিয়ে হত্যা
তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায় দিয়েই দেশে রাজনৈতিক সংকটের শুরু
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, সারাদেশে বৃষ্টির আভাস
মায়ানমার থেকে মাদকের বিনিময়ে সিমেন্ট পাচারকালে আটক ১১