

শনিবার ● ১২ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হাউজ অব কমন্সে বাংলাদেশ বিষয়ক সেমিনার গণতন্ত্র প্রতিষ্টায় সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে
হাউজ অব কমন্সে বাংলাদেশ বিষয়ক সেমিনার গণতন্ত্র প্রতিষ্টায় সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে
মতিয়ার চৌধুরী লন্ডন::
২০২৪ সালের পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ এখন একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে । এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে বিশেষ করে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, মানবাধিকার সুরক্ষা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ,নারী অধিকার এবং সর্বোপরি একটি সুষ্ঠু অবাদ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা সূচনা করতে হলে বিবেধ বৈষম্য ও হিংসা পরিহার সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। আর তা নিশ্চিত করতে হলে রাজনৈতিক দল সমূহ, সাংবাদিক মানবাধিকার কর্মি ও সুশিলদের অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হাউজ অব কমন্সে কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ আয়োজিত এই সেমিনারে সেমিনারে উল্লেখিত বিষয়গুলোর উপর গুরুত্বারোপ করেন আলোচকরা।
গেল ৯জুলাই ২০২৫ বুধবার কমিটি রুম ১০ নাম্বারে ‘‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ‘’ নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে অংশ নেন সাবেক ও বর্তমান ব্রিটিশ এমপি, মানবাধিকার কর্মি, সাংবাদিক ও কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা। আলোচকবৃন্দ বাংলাদেশের মব ভায়লেন্স ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্তিতি নিয়ে তাদের উদবেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে বলেন দেশটির স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আসনতে হলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষেই এসব বিষয় গুলো সহজে কাটিয়ে উঠা সম্ভব। অন্যতায় পরিস্তিতির আরো অবনতি ঘটে পারে।
সেমিনারে আরও একটি বিষয়ের ওপর বক্তারা বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। সেটি হচ্ছে, বিগত সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশের রাষ্ট্র, সমাজ ও রাজনৈতিক অঙ্গণ যেভাবে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে, যে বিভেদে জাতীয় জীবন হয়েছে বিভক্ত, তার উপশমে বাংলাদেশে রিকনসিলিয়েশন প্রসেস (পুনর্মিলন/ সমন্বয় প্রক্রিয়া) শুরু ও তা এগিয়ে নেয়া খুব জরুরি। সত্যিকারের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা ও তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াটির সাফল্য বাংলাদেশের গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠায় বিশাল ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।
সেমিনারে বক্তারা ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির সকলকে ব্রিটেনে তাদের নিজ নিজ এলাকার এমপিদের সাথে যোগাযোগ করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে এগিয়ে নেয়া ও প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর তাদের প্রভাব বিস্তারের জন্য অনুরোধ করার আহ্বান জানান।
বিভিন্ন সময়ে দেশ থেকে পাচার করে আনা অর্থ ও সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সহায়তা করার জন্য নিজেদের এমপিদের অনুরোধ জানাতে ও বাংলাদেশী কমিউনিটির সকলের প্রতি আহবান জানান আলোচকরা ।
সেমিনারের বিষয়বস্তু ছিলোঃ বাংলাদেশ এট ক্রসরোডসঃ রোলস অব ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি এন্ড ডায়াসপোরা।
সেমিনার সঞ্চালনা করেন কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ (সিএফওবি)-র চেয়ার এন্জেনারা রহমান-হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সিএফওবি-র প্রেসিডেন্ট মুকিম আহমদ. সূচনা বক্তব্য রাখেন বব ব্ল্যাকম্যান, সিবিআই, এমপি। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এসেক্সল স্কুলের লেকচারার ও মডিউল ডাইরেক্টর এবং এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক সাউথ এশিয়া রিসার্চার আব্বাস ফায়েজ। সেমিনারে প্যানেল আলোচক ছিলেন, সিনিয়র কিংস কাউন্সেল লর্ড কার্লাইল কেসি, সাবেক এমপি সাইমন ডানচুক ও চাটাম হাউসের সাউথ এশিয়া স্পেশালিস্ট শিতিগী বাজপেয়ী। কমিউনিটি ও সিভিল সোসাইটির পক্ষ থেকে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, জন কামেগ কিউসী, সাংবাদিক সৈয়দ নাহাস পাশা, ইউনাইটেড হিন্দু এলায়েন্সের হারাধন ভৌমিক, ব্যারিস্টার প্রশান্ত বড়ুয়া প্যানেল আলোচনার পর অনুষ্ঠিত হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। সিএফওবি-র প্রেসিডেন্ট মুকিম আহমদের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে সেমিনারের সমাপ্তি ঘটে।
বিষয়: #অব #কমন্স #হাউজ