

সোমবার ● ৫ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ১২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও অভিযোগ অজানা!
১২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও অভিযোগ অজানা!
” হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ৯ মার্ডারের আসামী ধরতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা শাকিব আটক।।”
আকিকুর রহমান রুমন:-
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের ৯ মার্ডার মামলার এজাহার নামীয় এক পলাতক আসামীকে নতুন বাজার থেকে গ্রেফতার করতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা শাকিব নামের একজনকে আটক করে নিয়ে পুলিশ।
এদিকে আটকের পর থেকে দীর্ঘ ১২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও থানা পুলিশ সহ (সিভিল)প্রশাসন এর গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন ইউনিটের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোন অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে ছাত্রলীগ নেতা শাকিবকে এই অভিযোগ ঐ অজানা!
এই বিষয়ে থানার ওসির মোবাইল ফোন রিসিভ না করার কারণে তারও কোন বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
জানাযায়,গতকাল ৩মে(শনিবার)রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ৯ মার্ডার মামলার এজাহার নামীয় ১৭ নং পলাতক আসামীর অবস্থান এর খবর পায় পুলিশ।
এদিকে পুলিশ খবর পাওয়ার সময়ে স্হানীয় বড়বাজার অবস্থান করছিলেন বলেও জানাযায়।
পুলিশ আসামির অবস্থান জেনে তাকে গ্রেফতারের জন্য উপজেলা সদরের ভিতরে অবস্থিত ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের সামনে(নতুন বাজার)হিসেবে পরিচিত
গ্যানিংগঞ্জ বাজারে একটি মোবাইল ফোনের দোকানে অবস্থান করছে আসামি।
কিন্তু পুলিশ এতো কাছে থাকা সত্বেও এই আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেননি।
পুলিশ বড়বাজার থেকে নতুন বাজারে গাড়ি যোগে আসার পূর্বেই হঠাৎ করে আসামি দোকান থেকে বের হয়ে পালিয়ে যায়।।
পুলিশের এমন অবহেলা ও গাফিলতির কারনে এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামী গ্রেফতারের দায়িত্বে পালনের ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিএনপি অঙ্গ সংগঠন এর নেতৃবৃন্দের মধ্যে আসামীর সংবাদদাতাসহ অনেকেই অনেক ধরনের অভিযোগ করে বলেন,
একটি আসামী গ্রেফতার করার বিষয়ে তথ্য দেওয়ার পর,বড়বাজার থেকে জিপ গাড়ি যোগে এসেও দীর্ঘ ২১ মিনিট সময় লেগেছে নতুন বাজারে আসতে পুলিশদেরকে!
এই বিষয়টিকে সামনে রেখে পুলিশের দায়িত্ব অবহেলা ও বিভিন্ন রকমের মামলার আসামীদের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নেওয়াসহ বিভিন্ন ঘটনার রফাদফা করে দেওয়ার অভিযোগ করেন অনেকেই।
এছাড়াও বিভিন্ন মামলার আসামীদের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে তাদেরকে পলাতক থাকার অবস্থান জেনেও গ্রেফতার না করে উল্টো বাঁচিয়ে দিচ্ছেন।
এমনকি পুলিশ আসামীদের বাড়িতে তেমন কোন অভিযান পরিচালনা না করারও অভিযোগ রয়েছে।
আবার তাদের দল বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী এসব অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে আসামীসহ আ’লীগ এর নেতৃবৃন্দ সহ সকল ইউনিটের পলাতক থাকা আসামীদের কাছ থেকে টাকা পয়সাসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা নিয়ে তাদেরকে বাঁচানোর কাজে সহযোগীতা করার অভিযোগ করছেন কেউ কেউ।
যদি পুলিশ কিংবা দলীয় কোন যোগসাজশ না থাকতো আসামীদের সাথে তাহলে এতো গুরত্বপূর্ণ একটি মামলার আসামী সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পরও তাদের বড়-বাজার থেকে নতুন বাজার আসতে ৫/৭ মিনিটের জায়গায় ২১ মিনিট কেন লাগবে!?
তাদের এমন দায়িত্ব দেখে কি পুলিশের গাফিলতি ও অবহেলার কারণকে দায়ী করা যাবেনা।
এছাড়াও পুলিশ ও অভিযুক্তকারী বিএনপি নামধারী দলীয় রাজাকারদের কাছ থেকে যদি কোন প্রকার যোগসাজশ না থাকতো তসহলে আসামী কোন সিগন্যাল এর কারণে হঠাৎ করে দোকান থেকে বের হয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে অভিযোগ করেন উপস্থিত অনেকেই.
এমন গুরুত্বপূর্ণ মামলার পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করতে না পারায় এবং বাঁচিয়ে দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি দক্ষিণ বানিয়াচংয়ের বাসিন্দা
ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,পুলিশ চাইলে এই আসামীকেও গ্রেফতার করতে পারতো।
যদি তারা বিষয়টাকে একটু গুরুত্ব দিতো এবং এতোটা সময় ক্ষেপণ না করতো,তাহলে ঠিকই এই আসামি গ্রেফতার হতো।
এমনকি পূর্ব থেকেই পুলিশ যদি এই মামলাসহ অন্যান্য মামলার প্রতি গুরুত্ব দিতো,তাহলে অন্যান্য পলাতক থাকা আসামীকেও এতো দিনে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারতো।
এদিকে পুলিশ ৯ মার্ডারের নামীয় আসামিকে না পেয়ে ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউপি অফিসের ভিতরে তথ্য দাতাদের নিয়ে বসে আলাপ আলোচনাকালে তাদের কাছে আরেকটি মেসেজ আসে একজন ছাত্রলীগ নেতা বাজারে এসেছেন উপস্থিত সূত্র জানান।
তাৎক্ষণিক পুলিশের টিমটি অফিস থেকে বের হয়ে জনাব আলী ডিগ্রী কলেজ এর ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি শাকিব নামের এক যুবককে
গ্যানিংগঞ্জ বাজার
(নতুন বাজার)হতে রাত পৌঁনে নয়টার দিকে আটক করার খবর পাওয়া যায়।
এবং পুলিশ সাথে সাথে ছাত্রলীগ নেতা সাকিবকে তাদের গাড়িতে উঠিয়ে থানায় চলে যাওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন উপস্থিত বাজারবাসী।
গতকাল ৩ মে (শনিবার)রাতে কি কারণে পুলিশ
শাকিবকে আটক করেছেন।
এবং কোন মামলার অভিযুক্ত আসামি কিনা এসব বিষয়ে জানতে,শাকিব আটকের পর থেকে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)
গোলাম মোস্তাফাসহ সাদা পোশাকধারী
(সিভিল)প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সাথে যোগাযোগ করার পর সর্বশেষ ৪মে(রবিবার)রাত ১টা পর্যন্ত মোবাইল ফোন সহ অন্যান্য মাধ্যমে যোগাযোগ করেও সঠিক কারণ জানা সম্ভব হয়নি।
এছাড়াও ওসির ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
৪ মে সকাল (রবিবার) ৯টা পর্যন্ত থানা পুলিশের পক্ষ হতেও আটকের বিষয়ে কোন প্রকার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য,গত বছরের ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী এক দফা ছাত্র আন্দোলনকারীদের মিছিলে পুলিশের বাঁধার মুখে আটকা পড়লে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
উক্ত সংঘর্ষে পুলিশ টিয়ারশেল,রাবার বুলেট এর পাশাপাশি দারোগা ও সহকারী দারোগাদের অস্ত্রের বুলেট নিক্ষেপ এর ঘটনায় কয়েকজন ঘটনাস্থলে প্রাণ হারাণ এবং অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
পরে পুলিশের এই গুলি বর্ষনের ঘটনাটি পুরো আন্দোলনকারীদের সাথে অংশ নেওয়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক অঙ্গ সংগঠন এর নেতাকর্মীগনদের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে আন্দোলনকারীগন পুরো বানিয়াচং উপজেলাবাসীর উদ্যেশে মাইকিং করে থানা ঘেরাও করার আহবান জানান।
এর পর যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে থানা ঘেরাও করে ওসিসহ অনেক পুলিশ সদস্যকে মারপিট করে আহত করেন।
এমনকি পুরো থানায় আগুন ধরিয়ে সবকিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে সকল অস্ত্র গুলাবারুদ লুটপাট করে সকল পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এদিকে থানার আশপাশের কোয়ার্টার সহ বিভিন্ন বাসা বাড়িতে আগুন দিয়ে লুটপাট সহ সবকিছু
ধ্বংস করে ফেলেন হাজার হাজার আন্দোলনকারীগন।
সকল পুলিশ সদস্য নিজেদের আত্মরক্ষার্থে থানার ছাঁদে অবস্থান নেন।
এই বিষয়টি সমগ্র দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়লে থানা পুলিশকে বাঁচাতে জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপারসহ একাধিক সেনাবাহিনীর গাড়ি বহর নিয়ে থানায় আসেন।
কেউই আন্দোলনকারীদেরকে নিভৃত করতে পারেননি বরং তাদের এহেন পরিস্থিতি দেখে সবাই ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান জেলায়।
আর এদিকে এমন পরিস্থিতির মধ্যে শত,শত,
সেনাবাহিনী সদসগন্য পুলিশকে বাঁচাতে গিয়ে একটানা ১৩টি ঘন্টা আন্দোলনকারীদের সামনে অবস্থান নিয়ে কয়েক দফা আন্দোলনকারীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে এক পর্যায়ে এক পুলিশ সদস্যকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার চুক্তিতে অবরুদ্ধ সকল পুলিশকে তারা মুক্তি দিতে রাজী হওয়ার বিষয়টি জানানো হয় আন্দোলনকারীদের পক্ষ হতে ৬ আগষ্ট রাতে আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে।
আর ৫ আগষ্ট সকাল ১০টায় শুরু মিছিলের অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীদের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোকজন থানার দিকে প্রথমে যান এবং দুপুর ১২টার দিকে গুলির ঘটনা শুনার পর আন্দোলনে অংশ নেওয়া লোকজন থানাসহ বানিয়াচং উপজেলা সদরের প্রবীন মুক্তিযোদ্ধা ও চেয়ারম্যান হায়দার উজ্জামান খান ধন মিয়ার বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে সবকিছু লুটপাট করার ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও উপজেলা আ’লীগ এর সাধারণ সম্পাদক আঙ্গুর মিয়ার বাড়িসহ আ’লীগ এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন এর নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘরের মধ্যে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হালিম সুহেল,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মামুন খান,উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তুষারের বাড়িসহ বেশকিছু নেতাকর্মীদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে জ্বালাও পুড়াও ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা চালায় আন্দোলনকারীগন।
আর থানার সকল পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখা হাজার হাজার আন্দোলনকারীগন থানার সবকিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে লুটপাট ভাংচুরের তান্ডব লীলা চালিয়ে যান থানা প্রাঙ্গনের চারদিকে থাকা হাজারো আন্দোলনকারীগনদের মধ্যে এসব করে যাওয়া আন্দোলনকারীগন।
এমনকি সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসকের সামনে দুপুরের দিকে থানার গেইটের সামনে এক সাংবাদিককে হত্যা করেন তারা।
এভাবেই চলতে থাকে বানিয়াচং থানাসহ সদরের ভিতরে কয়েকটি ইউনিয়নের বাড়ি-ঘরে আগুন,ভাংচুর,লুটপাটের ঘটনা।
এসব তান্ডব লীলা চালিয়ে যান ছাত্র আন্দোলনকারীদের সাথে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা।
আর একে একে আন্দোলনকারীসহ মৃত্যুর সংখ্যা যেমন বাড়ছে
তেমনি আহত পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ আহতদের সংখ্যাও শতাধিক এর উপরে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
প্রায় ১৩ ঘন্টা পর রাত ১টার দিকে সেনাবাহিনীর ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে শেষ আলাপ আলোচনার পর অবরুদ্ধ সকল পুলিশকে যখন ছাঁদ থেকে নামিয়ে থানার থাকা আন্দোলনকারীদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিয়ে তাদের গাড়িতে উঠাচ্ছিলেন সবাইকে।
ঠিক তখনই আন্দোলনকারীদের দাবীকৃত সেই পুলিশ সদস্য থানার ভেতর দিয়ে প্রানের ভয়ে দৌড় দেন।
তখন শত,শত আন্দোলনকারীগন এক সাথে অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে থানার ভিতরে ডুকে পড়ে সেই পুলিশ সদস্যকে তাড়া ধরে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।
আর এই সুযোগে সেনাবাহিনীর সকল গাড়ি গুলোতে
অবরুদ্ধ সকল পুলিশদেরকে উঠিয়ে নিয়ে হবিগঞ্জ ও নবীগঞ্জের সড়ক যোগে পাড়ি জমান।
আর থানার ভিতরেই আন্দোলনকারীগন তাদের দাবীকৃত পুলিশ সদস্য এসআই সন্তুশকে হত্যা করে তাদের ভাইদের হত্যার বদলা নেওয়ার মিছিল সহকারে থানা ত্যাগ করেন।
আর এই ৫ আগষ্টের ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনায় পুলিশের গুলিতে আন্দোলনকারী, সাংবাদিক ও পুলিশ সহ ৯জনের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে এবং পরদিন গুলিবিদ্ধ আহত আনাস মিয়া নামের আহত এক যুবকের সিলেটে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হলে মোট ১০ জনের প্রানহানী ঘটে।
আহতদের মধ্যে থানার ওসিসহ ১২জনের মতো তাদের সংখ্যা দাঁড়ায়।
অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের গুলিবিদ্ধ আহতের মধ্যে দিন-রাতে তাদের সংখ্যা দেড় শতাধিক এর উপরে ছাড়িয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়।
এমন একটা জ্বল জলন্ত সত্য ঘটনার বিষয়কে নিজ ফায়দা ও রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্যেশো নিয়ে এতো গুলো নিহত লাশের পরিবারের সাথে মিথ্যা বিচারের আশ্বাসের বানীতে তাদেরকে ভুল বাল বুঝিয়ে মিথ্যা কল্প কাহিনী সাজিয়ে ঘটনার সাথে যারা জড়িত ছিলেননা এমনকি ঘটনার দিন পর্যন্ত যারা বানিয়াচং ঐ ছিলেননা তাদেরকে এজাহারে নামীয় আসামী করা হয়।
এমনকি সংসদ সদস্য এডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েলকে প্রধান আসামী করে ১৬০ জনের মধ্যে ৯জনকে কারা কিভাবে হত্যা করেছেন এমন ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে মামলার মধ্যে।
এবং অঞ্জাত ৩০০জনকে আসামী দেখিয়ে ৪৬০ জনকে মামলায় আসামী হিসাবে সনাক্ত করা হয়েছে।
ঘটনার ১৬ দিন পর ২২ আগষ্ট ৯ মার্ডারের অভিযোগে পুলিশের গুলিতে নিহত এক শিশুর পিতা অন্য নিহত ৮ পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে তিনি ঐ সর্ব প্রথম একটি মিথ্যা মামলা দায়েরের জন্ম দেন।
অথচ আন্দোলনকারীদের হাতে নিহত হওয়া সাংবাদিককে পর্যন্ত মামলায় আন্দোলনকারী হিসাবে নিহত ৯ জনের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও অভিযোগে পুলিশের গুলিতে নিহত শিশু সুহেলের পিতা ছানু মিয়া নিহত ৮ পরিবারের দায়িত্ব থাকে দেওয়ার বিষয়টি মামলায় উল্লেখ করেছেন মিথ্যা মামলার বাদী ছানু মিয়া।
এরপর থেকে শুরু হয় মামলার বিভিন্ন রঙের চিত্র।
এছাড়াও মামলাটির রঙ থেকে তুরুপ কার্ডের খেলোয়ার গুলো আস্তে আস্তে বের হতে থাকে।
এমনকি সেই ৫ আগষ্টের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানেও চলছে একের পর এক মিথ্যা বানোয়াট হয়রানি মূলক আসামী করে মামলা বানিজ্য।
সেই দিনের ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা গুলোকে অবলম্বন করে মিথ্যার কল্প কাহিনী তৈরী করে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য এবং সাময়িক সময়ে ফায়দা লুটতে গিয়ে এতো নিহতের বিচারের নাম করে তাদের আত্মার সাথে ও পরিবারের লোকজনের সাথে বেঈমানী করে যাচ্ছে এসব মিথ্যা মামলা দায়েরের আড়ালের মূল খেলোয়ারগন।
এমনকি বর্তমানেও এসব মামলায় আসামী দেওয়া না দেওয়া নিয়ে,চলে দর দাম।
যদি পছন্দ অনুযায়ী হয় তাহলেই চুক্তি অনুযায়ী চলে বেচাকেনা।
এমন অভিযোগ উঠে আসছে গত ৫ আগষ্টের ঘটনার পর পরই এবং মামলা দায়েরের পর থেকে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ সহ অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের নামধারী নেতৃবৃন্দের প্রতি।
কিন্তু যাদের পরিবারের সদস্য নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তাদের কোন পরিবারের লোকজনকে এমন বানিজ্যর মধ্যে পাওয়া যায় নাই।
এসব নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সাথে বেশ কয়েকবার সরজমিন আলাপকালে তাদেরকে যে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং মিথ্যা বিচারের আশ্বাসে যে তাদের নিজেদের ফাদয়া হাসিল করে যাচ্ছেন এই বিষয়টি তাদের কাছে পরিস্কার হয়ে গেছে।
তাদেরকে যেহেতু ব্যবহার করা হচ্ছে,তাহলে তারা কেন এসব লাখ,লাখ,কোটি টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছেন না কেন বর্তমান সময়ে এতো বড় একটা সুযোগ পেয়ে।
তারা বলেন এমন করবতো দূরের কথা এমন মিথ্যা মামলা ঐ আমরা করিনি এবং এমনটা হউক আমরাও কখনো চাইবোনা।
এছাড়াও আমরা নিহত ৮ পরিবারের কেউই বাদীকে চিনি নাই এবং দেখি ও নাই।
তাহলে আমরা তাকে আমাদের মামলার দায়িত্ব দিলাম কখন।
এসব মামলা মোকদ্দমা সম্পর্কে আমরা কোনকিছু ঐ জানিনা এবং মিথ্যা একটি মামলা করা হয়েছে এটা।
আমরাও জানতে চাই ছানু মিয়ার কাছ থেকে আমাদের দায়িত্ব কে দিলো থাকে।
কেন আমাদের পরিবারের নিহতদের ব্যাপারে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মানুষের বাড়িঘর ছাড়া করে তাদের কাছ থেকে লাখ,লাখ,থেকে শুরু করে কোটি টাকা বানিজ্য করার জন্য কারা তাকে দিয়ে আমাদেরকে ব্যবহার করে কোটি টাকা কামানোর রাস্তা করলো।
এসব জানার পর মামলার বাদী ছানু মিয়াকে খুঁজতে গিয়ে তার স্ত্রী’র সাথে ছেলের মৃত্যুর ঘটনার বর্ণনা সহকারে মামলার বিষয়েও একটু একটু আলাপ আলোচনা শুরু করি।
আলাপ আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে তিনি তার নিহত পুত্রের প্রিয় জিনিস ও পছন্দের খেলনা সহকারে ছেলের স্কুল ভ্রমনের কিছু চিত্র দেখাতে লাগলেন।
এক সময় তিনি নিজে তার পুত্রকে যারা হত্যা করেছে সেইসব হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে,এই মামলা সম্পর্কে মুখ খুলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদাণ করেন।
কারা কারা তাদের বাড়িতে এসেছেন এবং হবিগঞ্জ জেলার তাদের বড় লিডারের সাথে ফোনে আলাপের বাহানা করে আমার স্বামীকে মিথ্যা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এই মামলাটি করিয়াছে।
মামলার এসব ঘটনার সম্পর্কে এবং এই মামলার আসামী সম্পর্কেও আমরা কিছু জানিনা।
তবে আমরা এই মামলা সম্পর্কে কিছুই জানিনা বলেও আমাদেরকে জানিয়েছেন।
মামলার মূল রহস্য কি এবং কারা ফায়দা লুটে হাসিল করে যাচ্ছে এসব ও এখন বুঝতে পেরেছেন।
কারা এসে তার স্বামীর কাছ থেকে শুধু সাক্ষর নিয়েছিলেন তাদের কথা গুলো আলাপকালে জানান।
তবে তিনি তার পুত্র হত্যার সঠিক বিচার দাবী করেছেন।
এছাড়াও মামলার বাদী ছানু মিয়ার দাবী তার নিহত পুত্রের নাম করণে যেন তাদের বাড়ির সামনের রাস্তাটি সরকার করে দেন।
এবং আসামীর নাম কাটানো ও নাম ডুকিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে নেওয়া।
এভাবেই চলছে এসব সত্য ঘটনার নিহত হওয়াদের পরিবারের সাথে বিচারের নামে নাটকীয় খেলা।
অন্যদিকে তাদের এসব কর্মকান্ড ও বুঝতে পারা শুরু করেছেন নিহতের পরিবারের লোকজন।
তারাও খুলে বলছেন সকল সত্যি ঘটনা গুলো।
তাদের পরিবারের শোক কাটিয়ে উঠার পূর্বেই কেউ কেউ আবার কামিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা।
এসব অভিযোগ এর শেষ নেই এই ৯ মার্ডারের মামলাকে কেন্দ্র করে।
এবং মার্ডার গুলো সম্পর্কে আমাদের একার পক্ষে কোন কিছু ঐ করা সম্ভব নয়।
কারণ যতো গুলো মিথ্যা মামলার এজাহার তৈরী করে মামলা আকারে রুপান্তরিত করতে যা যা রুপ হয়েছে এবং পৃথক পৃথক ভাবে আমি সহ আমাদের পরিবারের যাদেরকে আমি আসামি করে মামলা করেছেন এবং আরও করার মতো কোন চিন্তা চেতনা আছে কি আমাদের!
সেই ভাইদের নিকট ইচ্ছে জেগেছে সেই ভাইদের জন্য এই ভাইটা ঐ একমাত্র রয়েছেন!
প্রতিবেশী বোন তাহলে কি এসব মামলার কোন অভিযোগ পত্রে শাকিবকে এজাহার নামীয় আসামী করা হয়েছে এবং এটার মধ্যে কি রয়েছে একটু বলিয়েন ভাই।
এমন উভয়ের বলেও তার পরিবার এবং আ’লীগ এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিষয়: #অজানা #অভিযোগ #ঘন্টা #পেরিয়ে
