

সোমবার ● ৫ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ৪ঘন্টা পর হবিগঞ্জ থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় আহত শাহালমকে সিলেট প্রেরণ।
৪ঘন্টা পর হবিগঞ্জ থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় আহত শাহালমকে সিলেট প্রেরণ।
” হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত অর্ধশত।।
টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ।।”
আকিকুর রহমান রুমন:::
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পূর্ব বিরোধ এর জের ধরে দু’পক্ষের ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে অর্ধশত লোকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এবং সংঘর্ষে গুরুতর আহত ফারুক মিয়ার শাহালম নামের একজনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল থেকে সিলেট রেফার করা হলে মুমূর্ষু অবস্থায় সিলেট নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার অধিনস্ত ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাবাসীর সহযোগীতা নিয়ে এবং টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ এর মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন।
ঘটনাটি ঘটেছে, ৫ মে(সোমবার) বানিয়াচং উপজেলার ১৩ নং মন্দরী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের উত্তর সাঙ্গর গ্রামে।
জানাযায়,ঐ গ্রামের সাবেক মেম্বার আলাউদ্দিন গং ও নুরুল হুদা গং এর লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিলো।
এর জের ধরে দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
উভয় পক্ষের দেড় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে অর্ধশত লোকজন আহত হয়েছেন।
পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল ও সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়।
গুরুতর আহতদের কয়েকজনের মধ্যে ফারুক মিয়ার পুত্র শাহ আলম(২৫)মাহমুদ মিয়ার পুত্র আলী ছমেদ(৪০)
গোলাপ মিয়ার পুত্র জসীম উদ্দিন(২৬)সহ আরও বেশ কয়েকজন ফিকল ও টেটা বৃদ্ধ হয়েছেন।
তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল ভর্তী করা হয়েছে।
এর মধ্যে গুরুতর আহত ফারুক মিয়ার পুত্র শাহালম(২৫)কে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে দীর্ঘ ৪ঘন্টা চিকিৎসা দেওয়ার পর তার অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ থাকে সিলেটে রিলিজ করেন।
তাৎক্ষনিক শাহালম এর পরিবারের লোকজন একটি এম্বোলেন্স যোগে হবিগঞ্জ থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালের রওয়ানা দিয়েছেন বলে সর্বশেষ বিকেল ৫টার দিকে হাসপাতাল থেকে আমাদের নিজস্ব সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে সংঘর্ষে উপস্থিত বানিয়াচং থানার সুজাতপুর ফাঁড়ি(ইনচার্জ) এসআই ফারুক আমিনসহ একদল পুলিশ এলাকাবাসীর সহযোগীতা নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার খবর পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে ফাঁড়ি (ইনচার্জ)এসআই ফারুক আমিন এর সরকারি মুঠোফোন নাম্বারে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে,নাম্বারটি ব্যস্ততা থাকার কারণে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
তবে কয় রাউন্ড টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং কাউকে আটক করা হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে,তিনি থানার বাহিরে ও ব্যস্ততার থাকার কারণে আপাতত এবিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি ও কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বলে জানান।
বিষয়: #অবস্থায় #আহত #প্রেরণ #মুমূর্ষু #শাহালম #সিলেট #হবিগঞ্জ