শিরোনাম:
●   মাধবপুরে ৫০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ৪ ●   মোবাইল ফোনে প্রেম, ধরাশায়ী অত:পর বিয়ে, চার মাসের মাথায় প্রেমিকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার! ২দিন পর মৃত্যু, নবীগঞ্জ থানায় হত্যার অভিযোগ মামলা ●   করোনায় একজনের মৃত্যু ●   জুলাই সনদের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবরুদ্ধ শাহবাগ, চরম ভোগান্তি ●   নোয়াখালীতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় মামলা, আসামি ৬৩, গ্রেপ্তার-৬ ●   আ’লীগ নেতাকে বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দল নেতা বহিষ্কার ●   নোয়াখালীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৪ ●   সুন্দরবনের কৈখালী থেকে অস্ত্র ও গুলি জব্দ করেছে কোস্টগার্ড ●   আল্লার দর্গায় গলায় ফাঁস নিয়ে যুবকের আত্মহত্যা ●   সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বিদ্যুৎপৃষ্টে তরুণের মৃত্যু।।
ঢাকা, শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
বজ্রকণ্ঠ "সময়ের সাহসী অনলাইন পত্রিকা", সিলেট, বাংলাদেশ। ই-মেইল ঠিকানা:: [email protected] অনুগ্রহ করে সংবাদ প্রতিবেদন, ছবি এবং ছোট ভিডিও পাঠান। লগইন করুন: www.bojrokontho.com

Bojrokontho
বৃহস্পতিবার ● ৬ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » বিশেষ » স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক ছয় দফার ভূমিকা : লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
প্রথম পাতা » বিশেষ » স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক ছয় দফার ভূমিকা : লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
২৩০ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ৬ জুন ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক ছয় দফার ভূমিকা : লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক ছয় দফার ভূমিকা অপরিসীম। ১৯৬৬ সালে ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে সম্মিলিত বিরোধীদলসমূহের এক কনভেনশনে অংশগ্রহণ করে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার জনগণকে বৈষম্যের হাত থেকে রক্ষা ও বাঙালিদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির লক্ষ্যে ৫ ফেব্রুয়ারি ৬ দফা দাবী উত্থাপন করেন। কিন্তু উক্ত কনভেনশনের সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ আলী ছয় দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করার অসম্মতি জানান। শুধু তাই নয় বরং পরের দিন ৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন অনেক পত্রিকায় শেখ মুজিবকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসাবে আখ্যায়িত করে সংবাদ পরিবেশন করেন। এই ঘটনায় বিষ্মিত ও মর্মাহত হন বঙ্গবন্ধু । তিনি উক্ত কনভেশন বয়কট করেন এবং ১১ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে এসে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং ২০ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভা আহ্বান করেন। ঐ সভায় সর্বস্মতিক্রমে বঙ্গবন্ধু পেশকৃত ৬ দফা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয় এবং দলীয় কর্মসূচী হিসেবে ৬ দফাকে গ্রহণ করা হয়।
স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক ছয় দফার ভূমিকা : লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
ছয় দফা প্রচার ও প্রকাশের জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ছয় সদস্যবিশিষ্ট উপকমিটি গঠন করা হয়। ‘৬৬ সালের ১৮ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এ কাউন্সিলে ১ হাজার ৪৪৩ জন কাউন্সিলর বঙ্গবন্ধুকে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি, তাজউদ্দীন আহমদকে সাধারণ সম্পাদক এবং মিজানুর রহমান চৌধুরীকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করেন। ছয় দফা কর্মসূচিভিত্তিক আন্দোলনের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর একান্ত ঘনিষ্ঠ অনুসারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামন্ডলীর অন্যতম সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, “ছয় দফা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘সাঁকো দিলাম, স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতায় উন্নীত হওয়ার জন্য’। বস্তুত ছয় দফা ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজমন্ত্র তথা অঙ্কুর।”
ছয় দফা দাবি কালক্রমে ব্যাপক বিস্তৃত আন্দোলন এবং পরবর্তীকালে একটি সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার দিকে এগিয়ে নিয়েছিল। ছয় দফা কর্মসূচি প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে ছয় দফার ভিত্তিতে দলীয় গঠনতন্ত্র এবং নেতৃত্ব নির্বাচনে যে পরিবর্তন সাধিত হয়, তা পরবর্তীকালে ছয় দফার চূড়ান্ত পরিণতি এক দফা তথা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত বহন করে।
ছয় দফা পরিকল্পনাটি বঙ্গবন্ধুকে এবং আওয়ামী লীগের বেশ কিছুসংখ্যক বাঙালি নেতা-কর্মীকে নবাবজাদা নসরুল্লাহ খানের নেতৃত্বাধীন নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সঙ্গে একটি মুখোমুখি সংঘাতমূলক পথে নিয়ে যায়। এটি তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের প্রচন্ড ক্রোধের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পাকিস্তানের এই স্বৈরশাসক প্রকাশ্যে ছয় দফার প্রবক্তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রের ভাষায় কথা বলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আইয়ুবশাহি এবং তার সহযোগীরা মনে করতেন যে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা কর্মসূচি পাকিস্তানকে ভেঙে এর পূর্ব অংশকে দেশের অবশিষ্ট অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ ‘৬৬ সালে যে ছয় দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করেছিল তা ছিল নিম্নরূপ
১। শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতিঃ দেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামো এমনি হতে হবে, যেখানে পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেশনভিত্তিক রাষ্ট্রসংঘ একং তার ভিত্তি হবে লাহোর প্রস্তাব। সরকার হবে পার্লামেন্টারী ধরনের। আইন পরিষদের ক্ষমতা হবে সার্বভৌম এবং এই পরিষদও নির্বাচিত হবে সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে জনসাধারণের সরাসরি ভোটে।
২। কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা ঃ কেন্দ্রীয় (ফেডারেল) সরকারের ক্ষমতা কেবল মাত্র দুটি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে- যথা, দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি। অবশিষ্ট সকল বিষয়ে অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলির ক্ষমতা থাকবে নিরঙ্কুশ।
৩। মুদ্রা বা অর্থ-সমন্ধীয় ক্ষমতা ঃ মুদ্রার ব্যাপারে নিম্নিলিখিত দু’টির যে কোন একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা চলতে পারে ঃ (ক) সমগ্র দেশের জন্যে দু’টি পৃথক, অথচ অবাদে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা চালু থাকবে। অথবা (খ) বর্তমান নিয়মে সমগ্র দেশের জন্যে কেবল মাত্র একটি মুদ্রাই চালু থাকতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে শাসনতন্ত্রে এমন ফলপ্রসু ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে করে পূর্ব-পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে মূলধন পাচারের পথ বন্ধ হয়। এক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভেরও পত্তন করতে হবে এবং পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক আর্থিক বা অর্থবিষয়ক নীতি প্রবর্তন করতে হবে।
৪। রাজস্ব, কর, বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা ঃ ফেডারেশনের অঙ্গরাজ্যগুলির কর বা শুল্ক ধার্যের ব্যাপারে সার্বভৌম ক্ষমতা থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনরূপ কর ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। তবে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য অঙ্গ-রাষ্ট্রীয় রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের সরকারের প্রাপ্য হবে। অঙ্গরাষ্ট্রগুলির সবরকমের করের শতকরা একই হারে আদায়কৃত অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল গঠিত হবে।
৫। বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা ঃ (ক) ফেডারেশনভূক্ত প্রতিটি রাজ্যের বহির্বাণিজ্যের পৃথক পৃথক হিসাব রক্ষা করতে হবে। (খ) বহির্বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অঙ্গরাজ্যগুলির এখতিয়ারাধীন থাকবে। (গ) কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেমিক মুদ্রার চাহিদা সমান হারে অথবা সর্বসস্মত কোন হারে অঙ্গরাষ্ট্রগুলিই মিটাবে। (ঘ) অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলির মধ্যে দেশজ দ্রব্য চলাচলের ক্ষেত্রে শুল্ক বা করজাতীয় কোন রকম বাধা-নিষেধ থাকবে না। (ঙ) শাসনতন্ত্রে অঙ্গরাষ্ট্রগুলিকে বিদেশে নিজ নিজ বাণিজ্যিক প্রতিনিধি প্রেরণ এবং স্ব-স্বার্থে বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদনের ক্ষমতা দিতে হবে।
৬। আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা ঃ আঞ্চলিক সংহতি ও শাসনতন্ত্র রক্ষার জন্য শাসনতন্ত্রে অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলিকে স্বীয় কর্তত্বাধীনে আধা সামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন ও রাখার ক্ষমতা দিতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত এই ছয় দফাকে কেউবা বলছেন ম্যাগনাকার্টা, কেউবা আখ্যায়িত করেছেন বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে।
উল্লেখিত ছয় দফা অতি দ্রুত বাঙালিদের মুক্তির সনদ হিসেবে বাঙালি জনগণের প্রাণের দাবি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
‘৬৬ সালের মার্চ ও মে মাসে বঙ্গবন্ধু এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম মনসুর আলী এবং আরো অনেকে ছয় দফার পক্ষে জনসমর্থন সৃষ্টির লক্ষ্যে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান সফর করেছেন। পূর্ব পাকিস্তানব্যাপী ছয় দফার পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন দেখে আইয়ুবের তোষামোদে এক অনুগত গভর্নর আবদুল মোনায়েম খান আওয়ামী লীগ নেতাদের কারান্তরীণ করার হুমকি প্রদান করেন। ঐ বছরের ৮ মে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা আইনের আওতায় বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়। বঙ্গবন্ধুর অধিকাংশ সহযোগীকেও কারান্তরীণ করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ছয় দফার পক্ষে সমর্থন সংগঠিত করা এবং বন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ‘৬৬ সালের ৭ জুন সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে হরতাল আহ্বান করে।
তৎকালিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী এ সময় খুব দৃশ্যমান এবং প্রসিদ্ধ ভূমিকা পালন করেন, মনোবল ভেঙে পড়া একটি দলকে উজ্জীবিত করে তিনি হরতালের জন্য প্রস্তুত করেন। একই সঙ্গে তিনি এবং অধ্যাপক ইউসুফ আলীসহ আওয়ামী লীগের এমএনএগণ আওয়ামী লীগের ওপর সরকারি নিপীড়নের কথা আইনসভায় উত্থাপন করেন। আর এভাবে ছয় দফাকে সমগ্র বাঙালিদের দাবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। অন্যদিকে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরাচারী সরকার পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর হরতালের খবর না ছাপানোর আদেশ দেয়। গণমাধ্যমের ওপর সেন্সরশিপ সত্ত্বেও পূর্ব পাকিস্তানব্যাপী হরতাল পালিত হয়। হরতাল পালনকারীদের ওপর পুলিশ ও ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের গুলিবর্ষণের ফলে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, টঙ্গী এবং দেশের অন্যান্য স্থানে আন্দোলনরত এগারজন শহীদ হন। পরদিন ৮ জুন সংবাদপত্রগুলোয় আগের দিনের ঘটনা সম্পর্কে সরকারি ভাষ্যই কেবল প্রকাশিত হয়েছিল। সরকারি ভাষ্যে রাজপথে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সহিংসতার কথাই ফুটে উঠেছিল। কিন্তু শহীদদের রক্তে ৬দফা আন্দোলন স্ফুলিঙ্গের মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। রাজপথে নেমে আসে বাংলার মুক্তিকামী জনগণ। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ছয় দফা অন্যতম একটি মাইলফলক। ঐতিহাসিক ৬ দফা বাঙালির মুক্তির পথ দেখিয়েছিল এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।
ছয় দফা আন্দোলনের পথ ধরে এরপরে আসে ‘৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ‘৭০-এর সাধারণ নির্বাচন। ‘৭০-এর নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণ তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন। নির্বাচনে ১৬৯ টি আসনের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৬৭ আসনে জয় লাভ করেন। কিন্তু তৎকালীন পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে নানা ধরনের ছলছাতুরী ও তালবাহানা শুরু করে। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদের অধিবেশন ১ মার্চ স্থগিত করার ঘোষণা করা হয়। ফলে বাঙালিরা ক্ষোভে-বিক্ষোভে ফেটে পরেন। এরই ধারাবাহিকতায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের পর দেশ স্বাধীন ও মুক্তির আন্দোলনে উত্তাল হতে শুরু করে। মার্চের প্রথম দিকে জয়দেবপুর, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় মুক্তির সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ১৯ মার্চ গাজীপুরের জয়দেবপুরে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে বীর জনতার প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু হয়। এই সশস্ত্র প্রতিরোধে পাকিস্তান সৈনিকদের গুলিতে মনু খলিফা, হুরমত, নিয়ামত ও কানু মিয়া শাহাদাৎ বরণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে এটাই ছিল বাঙালি জনতার প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ। এই দিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিগ্রেডিয়ার জাহানজেব দ্বিতীয় ইষ্ট রেজিমেন্টের বাঙালি সৈনিকদের নিরস্ত্র করতে গাজীপুরে আসছে, এ কথা শুনে গাজীপুরের জনগণ সড়কে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলে। এই সময় বিগ্রেডিয়ার জাহানজেব ঢাকা ফেরার পথে গাজীপুরের বিক্ষুপ্ত জনগণের বাধার সম্মুখীন হন। ফলে গাজীপুরের বীর জনতা ও পাকিস্তানি সৈনিদের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়। এই খবর দ্রুত সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এবং সারা বাংলায় শ্লোগান উঠে “জয়দেবপুরের পথ ধরো- বাংলাদেশ স্বাধীন কর”। যা মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
১৯৭১ এর ২৫ মার্চের কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গুলিবর্ষণ করে নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের পর ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি অর্জন করেছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। যা বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ ও মহত্তম অর্জন।

লেখক পরিচিতি::
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল, (শিক্ষক, গবেষক, কলাম লেখক ও সংগঠক), সভাপতি, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি



বিষয়: #  #  #  #  #


বিশেষ এর আরও খবর

সেনবাগে আল জাহিদ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় ফল উৎসব ও বৃক্ষমেলা অনুষ্ঠিত সেনবাগে আল জাহিদ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় ফল উৎসব ও বৃক্ষমেলা অনুষ্ঠিত
লন্ডনে গবেষণা স্মারক  কালের অভিজ্ঞানের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠিত লন্ডনে গবেষণা স্মারক কালের অভিজ্ঞানের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠিত
২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ১,৩৯৬ কোটি টাকার বীমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে মেটলাইফ ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ১,৩৯৬ কোটি টাকার বীমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে মেটলাইফ
তাজউদ্দীন আহমদ জন্ম শতবার্ষিকী সম্মাননা পেলেন সুনামগঞ্জের জুলাইযোদ্ধা জহুর আলী তাজউদ্দীন আহমদ জন্ম শতবার্ষিকী সম্মাননা পেলেন সুনামগঞ্জের জুলাইযোদ্ধা জহুর আলী
মোহাম্মদপুরে সাংবাদিকের ছিনতাই হওয়া মোবাইল উদ্ধার, ৪ পুলিশ বরখাস্ত মোহাম্মদপুরে সাংবাদিকের ছিনতাই হওয়া মোবাইল উদ্ধার, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর প্রশিক্ষণ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্ব শুরুঃ লক্ষ্য বাংলাদেশী ঐতিহ্য সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞদের দক্ষতা বৃদ্ধি ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর প্রশিক্ষণ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্ব শুরুঃ লক্ষ্য বাংলাদেশী ঐতিহ্য সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞদের দক্ষতা বৃদ্ধি
যুক্তরাজ্যগামী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের ভার্চুয়াল প্রি-ডিপারচার ব্রিফিং যুক্তরাজ্যগামী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের ভার্চুয়াল প্রি-ডিপারচার ব্রিফিং
লন্ডনে ইউকে আওয়ামী যুবলীগের প্রতিবাদ সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের জোরালো বক্তব্য লন্ডনে ইউকে আওয়ামী যুবলীগের প্রতিবাদ সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের জোরালো বক্তব্য
সংস্কার, সক্ষমতা ও সহযোগিতার আহ্বান: টাওয়ারকো বিল্ড ফরোয়ার্ড ফোরাম ২০২৫ অনুষ্ঠিত সংস্কার, সক্ষমতা ও সহযোগিতার আহ্বান: টাওয়ারকো বিল্ড ফরোয়ার্ড ফোরাম ২০২৫ অনুষ্ঠিত
আইডি কার্ডে রক্তের গ্রুপ ও স্থায়ী ঠিকানা অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তা আইডি কার্ডে রক্তের গ্রুপ ও স্থায়ী ঠিকানা অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তা

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
মাধবপুরে ৫০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ৪
মোবাইল ফোনে প্রেম, ধরাশায়ী অত:পর বিয়ে, চার মাসের মাথায় প্রেমিকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার! ২দিন পর মৃত্যু, নবীগঞ্জ থানায় হত্যার অভিযোগ মামলা
করোনায় একজনের মৃত্যু
জুলাই সনদের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবরুদ্ধ শাহবাগ, চরম ভোগান্তি
নোয়াখালীতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় মামলা, আসামি ৬৩, গ্রেপ্তার-৬
আ’লীগ নেতাকে বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দল নেতা বহিষ্কার
নোয়াখালীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৪
সুন্দরবনের কৈখালী থেকে অস্ত্র ও গুলি জব্দ করেছে কোস্টগার্ড
আল্লার দর্গায় গলায় ফাঁস নিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বিদ্যুৎপৃষ্টে তরুণের মৃত্যু।।
শ্রমিকলীগ নেতা গ্রেফতার
সেনবাগে পুলিশের অভিযানে নকল স্বর্ণ চোর প্রতারক চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার
সেনবাগে ৭০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
ছাতকে বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক মো. আবু হেনা সাময়িক বরখাস্ত
ধর্মঘর সীমান্তে দুই অনুপ্রবেশকারী আটক
সেনাবাহিনী ও বিজিবি’র যৌথ অভিযানে মাদক সম্রাট সাকিব আটক
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বিশেষে অভিযানে পরোয়ানা-ভুক্ত আসামিসহ গ্রেফতার-৩
সুন্দরবনে কোস্টগার্ডের অভিযানে ৩২ কেজি হরিণের মাংস জব্দ
‘কাগজে-কলমে সংস্কার নয়, দরকার গভীরতম সংস্কার’
হবিগঞ্জ বিজিবির কোটি টাকার মালামাল জব্দ
নারায়ণগঞ্জে কোস্টগার্ডেন অভিযানে সাড়ে ৩ কোটি টাকার চিংড়ি রেণু জব্দ
ছাত‌কে গায়েবি প্রশিক্ষণে সরকারি কর্মকর্তার পকেটে!
১০ আগস্ট খসড়া, ৩১ আগস্ট চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ
জুলাই সনদের খসড়া মেনে নিতে পারি না: এনসিপি
মাধবপুর হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
লন্ডনে গবেষণা স্মারক কালের অভিজ্ঞানের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠিত
নিউইয়র্কে নিহত এনওয়াইপিডির কর্মকর্তা দিদার কুলাউড়ার সন্তান।
মাধবপুরের চৌমুহনীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে হবে
প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণে অন্তস্বত্বা,অভিযুক্ত গ্রেপ্তার