শুক্রবার ● ১২ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » সিলেট » সিলেটে বন্যায় পর্যটন খাতে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি
সিলেটে বন্যায় পর্যটন খাতে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি
বজ্রকণ্ঠ নিউজ :

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চা বাগান, জলাবন, পাথুরে নদী, পাহাড়ের কোল থেকে নেমে আসা ঝরনা, দিগন্ত বিস্তৃত নীল জলরাশি হাওরসহ সিলেট বিভাগজুড়ে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সব পর্যটন কেন্দ্র। তবে চলতি বছর দফায় দফায় বন্যায় সিলেটে পর্যটন খাত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বার বার বন্ধ থাকার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ৫শ কোটি টাকার ক্ষতির দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন সবচেয়ে বেশি পর্যটক সমাগম ঘটে ঈদকে ঘিরে। কিন্তু সেই ঈদুল আজহার ভরা মৌসুমেও পর্যটকমুখর হয়নি।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন প্রকৃতি প্রেমীরা। তবে পর্যটনের এ ভরা মৌসুমে সিলেটে বাগড়া দেয় দফায়-দফায় বন্যা। ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হয় পর্যটনকেন্দ্র। এর পরই ধস নামে সিলেটের পর্যটন শিল্পে। এখনো পর্যটক শূন্য সিলেট।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী গত ২৯ মে ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে প্রথম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ৮ জুনের পর পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়। বন্যার দ্বিতীয় ধাক্কা আসে ১৬ জুন। সেদিন আবার পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সীমান্তবর্তী দুই উপজেলা বন্যার কবলে পড়ে। পরে নগর এলাকাসহ জেলার ১৩টি উপজেলায় বন্যা দেখা যায়। গত ১৯ জুন অতিবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ওইসব উপজেলায় বন্যা বিস্তৃত হয়। এর মধ্যে ১৭ জুন থেকে সুনামগঞ্জ জেলায় ফের বন্যা দেখা দেয়। পরে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় তা বিস্তৃত হয়।
এরপর ২৫ জুন থেকে সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতি হতে শুরু করার মধ্যেই ১ জুলাই সোমবার থেকে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বেড়ে আবার বন্যা পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করে।
সিলেট হোটেল-মোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলায় পাঁচ শতাধিক হোটেল- মোটেল রয়েছে। যার বেশির ভাগ এখনো ফাঁকা। ঈদের দিন থেকে বন্যা শুরু হওয়ায় প্রশাসন পর্যটক কেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর থেকে দফায় দফায় বন্যার কারণে সিলেটমুখী হননি পর্যটকরা।
সিলেট হোটেল, মোটেল অ্যান্ড গেস্ট হাউজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সুমাইয়াত নুরী জুয়েল বলেন, দফায় দফায় বন্যার কারণে পর্যটকরা সিলেটমুখি হননি। তিনি বলেন, ঈদুল আজহার সময় তার হোটেলে কোনো গেস্ট আসেননি। হোটেলের রুম বুকিং ছিল একেবারে নিল। ঈদ মৌসুমে এ রকম অবস্থা আগে কখনো হয়নি। তিনি বলেন, ঈদের বেশ ক’দিন চলে গেছে। বন্যার পানি নেমে যাচ্ছে, এর পরও দেখা মিলছে না পর্যটকের। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো হোটেল- মোটেল ব্যবসা ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
বিষয়: #কোটি #ক্ষতি #খাতে #টাকা #পর্যটন #প্রায় #বন্যা #সিলেট




দৈনিক শ্যামল সিলেটের বার্তা সম্পাদকের মৃত্যুতে ছাতকে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের শোক
৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল সিলেট
সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলমকে শোকজ
ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে ট্রাক-মোটরসাইকেল-রিকশার সংঘর্ষে যুবক নিহত
সিলেটে জুলাই মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত
সিলেট বিমানবন্দর সড়ক হবে সবুজ ছাউনি
সিলেটে এবার উৎমাছড়া পর্যটনকেন্দ্রের দুই লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার
সিলেটে পাথর লুট: ডিসি নিয়োগের পর কোম্পানিগঞ্জের ইউএনও বদলি
সিলেটে ময়লার স্তুপ থেকে বন্দুক উদ্ধার
সিলেটের নতুন ডিসি আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম
