

বৃহস্পতিবার ● ২৮ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » কবি ও কবিতা » বুনোফুল
বুনোফুল
শফি মোহাম্মদ ওমর ফারুক
যে ফুল বর্ণনার চেয়েও সুন্দর, সে বাক্যাংশ ছাড়া ক্ষত ছিহ্ন বুঝতে পারে, আবেদনময়ী যে স্মৃতি তার চোখে, তা কেউ রেখে গেছে পুরনো কোন শতাব্দী থেকে নিষিক্ত আষাঢ়ে ছন্দময় ঝংকারে ঝংকারে প্রতীক্ষার অনুরণে।
যার যৌবন থেকে মুছে যায়নি শিশির সিক্ত জীবন, সে সূক্ষ্ম পথের আলোয়ে তার কোলাহল, অনুভূতির অস্তিত্বে টের পায়নি, -বহুকাল।
কতকাল কতটা গোপনে কেঁদেছ,? তার দীর্ঘতা অনুমাপন করে দেখেছ কভু?
হিমাদ্রির জলকাব্য দ্বীপে; রহস্যময় মহীয়সী স্তব্ধতা থেকে কতটা প্রেম খোঁদাই করেছো? হৃদ স্পন্দিত অবসন্ন ক্লান্ত হৃদয়ে, বৃষ্টির জলে বর্ণিল রং ছিটিয়ে?
তুমি না হয় অনাবৃত নয়নে, দগ্ধ চিতার অশান্ত দাবানল জ্বেলেছ ; আত্মা চিরকাল মূঢ়-দৃঢ়তায় মেলে রেখেছে ফেলে আসা সূক্ষ্ণ স্নিগ্ধ পথের চিহ্ন।
যে পাখি উড়ে যায়, দূর-বহুদূর কোন দ্বীপ দেশে, সে হৃদয়ে নিন্দার চেয়ে নিরবতা বসবাস করে বেশি, পুষ্পের চন্দন সুরভী বুকে মেখে।
অন্ধকারের যাত্রী টের পায়নি, “আত্মা জেগে উঠে”- কোন না কোন কালে, ধমনীর নিরবতার ” দেওয়াল” - ভেংগে চুরমার করে দেয়; বিভিষিকাময় ছোবলে রৌদ্রের হাসিতে ব্যথার নীল কাব্য লিখে।
তুমি না হয় লিখলে না? সে ; অনাগত স্বপ্নে, জীবনের গাঢ় বর্ণে বিচ্ছিন্ন মেঘ থেকে মেখে দেয় লজ্জাবতীর আষাঢ়।
বৃষ্টি আজো শুনতে পায়নি সিঁথিতে সিঁদুরের গর্জন, অনাহত জলের শীতল পরশে,সে আজো, কাঁশফুলে ক্লান্ত বুনোফুলের ঘ্রাণ খোজে, রৌদ্র উজ্জ্বল ধব ধবে সাদা শরতের স্নিগ্ধ শরীরে।
বিষয়: #বুনোফুল