

শনিবার ● ১০ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » শিক্ষা » বই পড়ে পুরস্কার পেলো ঢাকা মহানগরের ৫০৯৪ শিক্ষার্থী
বই পড়ে পুরস্কার পেলো ঢাকা মহানগরের ৫০৯৪ শিক্ষার্থী
বজ্রকণ্ঠ ডেস্ক::
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা মহানগরের ৭৫টি স্কুলের প্রায় ২০ হাজার ছাত্রছাত্রী বইপড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে। এসব স্কুলের ৫ হাজার ৯৪ জন শিক্ষার্থী মূল্যায়ন পর্বে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়ে বিজয়ী হয়েছে। তাদের ১১৫৭ জন ছাত্র ও ৩৯৩৭ জন ছাত্রী।
শুক্রবার (৯ মে) বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে গ্রামীণফোন লিমিটেডের সহযোগিতায় একটি বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়। দু‘দিনব্যাপী এই পুরস্কার বিতরণ উৎসবে শুক্রবার প্রথম দিনে ঢাকা মহানগরের ৩১ স্কুলের ২ হাজার ৫৬৩ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সরাসরি মঞ্চ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে এবং আগামীকাল দ্বিতীয় দিনে ৩৪টি স্কুলের ২ হাজার ৫৩১ জন শিক্ষার্থী পুরস্কার নেবে।
উৎসবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বদিউল আলম মজুমদার, প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, অর্থনীতিবিদ ও গণনীতি বিশ্লেষক, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, সিদ্দিক জোবায়ের, সিনিয়র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, তানভীর মোহাম্মদ, চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার, গ্রামীণফোন, প্রফেসর মুহাম্মদ আলী নকী, ট্রাস্টি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, জুয়েল আইচ, প্রখ্যাত যাদুশিল্পী, বাঁশী বাদক ও চিত্রশিল্পী, খায়রুল আলম সবুজ, অভিনেতা ও লেখক এবং শামীম আল মামুন, পরিচালক, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।
উৎসবের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে দু‘দিনব্যাপী এই পুরস্কার বিতরণ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর সম্মানিত অতিথিরা বিজয়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
বদিউল আলম মজুমদার শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আজকে যারা এখানে এসেছেন, তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বহু কমিশন গঠন করলেও শিক্ষা সংস্কারে কোনো কমিশন করেনি। সরকার শিক্ষা বৈষম্য দূর করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। তাই সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়ে মানসম্পন্ন শিক্ষা কাঠামো তৈরি করবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, পাঠ্যবই মানে চাকরি, বৈষয়িক উন্নতি। এখানে আলো খুঁজে পাওয়া যায় না। কাজেই পাঠ্য বইয়ের বাইরে পৃথিবীর সেরা লেখকরা যা লিখেছেন, সেটা জানতে হবে। সেখানে আনন্দ খুঁজে বের করতে হবে।
সিদ্দিক জোবায়ের পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, এ অনুষ্ঠান আমাদের মনে আশার সঞ্চার করে। শিক্ষার্থীদের বইপড়ার এ প্রতিযোগিতা আমাদের আরও উজ্জীবিত করে।
তানভীর মোহাম্মদ বলেন, তরুণদের জ্ঞানের বিকাশ এবং মানসিক উৎকর্ষতার জন্য বইপড়ার বিকল্প নেই। তাই আলোকিত মানুষ গড়ার অংশ হিসেবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র যে বইপড়া কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এমন একটি উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আমরাও গর্বিত। তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের মধ্যে যেন মানবিক ও মানসিক উৎকর্ষতার বিকাশ ঘটে, এজন্য গত দুই দশক ধরে এই মহতী উদ্যোগের পাশে আছে গ্রামীণফোন।
অধ্যাপক মুহাম্মদ আলী নকী বলেন, ভালো বই শুধু গল্প বলে না, পাঠকের কথাও শোনে। যারা বই পড়েন, তারা গভীরে অনুভব করতে পারেন। একটি বই মানুষকে ব্যতিক্রম সব অভিজ্ঞতা ও মোহ উপহার দেয়।
অতিথির বক্তব্য পর্বে শুরুতেই কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন তার স্বাগত বক্তব্যে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সম্মানিত অতিথিদের অভিনন্দন জানান এবং দু’দিনব্যাপী উৎসবের এই বিশাল আয়োজন ও পুরস্কারের বই স্পন্সরের জন্য গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানান।
এই পুরস্কার বিতরণ উৎসবে প্রতিটি স্কুলের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের স্বাগত পুরস্কার, শুভেচ্ছা পুরস্কার, অভিনন্দন পুরস্কার ও সেরা পাঠক পুরস্কার শিরোনামের চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়।
বিষয়: #ঢাকা #পুরস্কার #পেলো #পড়ে #বই #মহানগরের #৫০৯৪ শিক্ষার্থী