

সোমবার ● ৫ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » উপজেলা জুড়ে তোলপাড়! ছাতকে বৈধ ইজারাদারকে চাদাবাজ বানিয়ে গ্রেপ্তার
উপজেলা জুড়ে তোলপাড়! ছাতকে বৈধ ইজারাদারকে চাদাবাজ বানিয়ে গ্রেপ্তার
আনোয়ার হোসেন রনি, ছাতক, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের ছাতকে বৈধ ইজারাদারকে অবৈধভাবে চাদাবাজ বানিয়ে সেনা বাহিনী আটক করেছে। গত ৪ মে ছাতক সেনা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। গত ৪ মে রাত সাড়ে ১২টার সেনা ক্যাম্প থেকে ইকবাল ও মকবুল নৌ পুলিশ ফাড়িতে হস্তান্তর করেন সেনা বাহিনী। নৌ পুলিশ থেকে রাত ১ টায় ছাতক থানায় হস্তান্তর করেন নৌ পুলিশ। গত সোমবার বিকালে থানা থেকে চাদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সারাদিন ব্যাপি সামালোচনা ঝড় উঠেছে।
জানাযায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ছাতক পৌরসভার আওতাধীন ১৫ টি হাট-বাজার ও অন্যান্য মহালে সর্বোচ্চ দরদাতার অনুকুলে ইজারা প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. তরিকুল ইসলাম। গত ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) থেকে নদী পথে ৬টি স্টেশনে টোল আদায় করে আসছেন ইজারাদার ইকবাল হোসেন রানা।
ইজারা নিয়ম অনুযায়ী লোড আনলোডকারীর কাছ থেকে ৬শ টাকা ও মজুত/স্টকের উপর ৭০০টাকা করে আদায়ের কথা থাকলেও গত ১মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ইজারা রশিদের ১০০৮ ও ১০১০নং রশিদে ১হাজার টাকা করে এবং গত ৩মে ইজারা রশিদের ৮৭৭ ও ৮৮০নং রশিদে এক হাজার ৫শ করে টোল আদায় করা হয়। কিন্তু, উল্লেখিত রশিদের মুড়ি বই যাচাই করে দেখা যায় অতিরিক্ত কোনও টাকা আদায় করা হয় নি। এ বিষয়টি সেনা বাহিনীর দৃষ্টি গোচর হলে গত ৪মে বিকাল ৪টায় সেনা ক্যাম্প থেকে তাকে কল দিয়ে ডেকে নেওয়া হয় ক্যাম্পে। প্রায় ৮ঘন্টা পর চাদাবাজির কারণে তাকে আটকের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে জানা গেলে উপজেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়। একজন বৈব ইজারাদার কিভাবে চাদাবাজ হয়? বিষয়টি কতটুকু যৌক্তিক জনমনে নানা প্রশ্নের দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রায় ১৬ বছর পর ছাতক পৌরসভার আওতাধীন হাট-বাজার ও অন্যান্য মহাল টেন্ডারে সিন্ডিকেট মুক্ত ওপেন টেন্ডার অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কোন ধরনের দুর্নীতি, অনিয়ম ও সিন্ডিকেট ছাড়া ১৫ টি হাট-বাজার ও অন্যান্য মহালে সর্বোচ্চ দরদাতার অনুকুলে ইজারা প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. তরিকুল ইসলাম। পৌর এলাকায় ভোগ ব্যবহার ও বিক্রয়ের জন্য আমদানী/রপ্তানীকৃত পন্য (বালু, পাথর, ইট, সিমেন্ট, জিপসাম ইত্যাদি) বার্জ, কার্গো, বলগেট দ্বারা লোড আনলোডকারী ব্যক্তি/প্রতিষ্টানের নিকট থেকে টোল ফি আদায়ের মহাল ১ কোটি ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকায় এবং পৌর এলাকার অভ্যন্তরে বালু, পাথর চুনাপাথর, ইট, সিমেন্ট ইত্যাদি মজুত/স্টকের উপর টোল আদায়ের মহাল ১ কোটি ২১ লাখ ৯৫ হাজার টাকায় ইজারা পান ইকবাল হোসেন রানা।
এব্যাপারে ইজারাদার ইকবাল হোসেন রানার ভাই মো. কামরান হোসেন বলেন, আমার ভাই একজন ইজারাদার তিনি কিভাবে চাদাবাজ হতে পারেন? আমরা সরকারি রাজস্ব প্রদান করে বৈধ পন্থায় টোল আদায় করে আসছি। তাছাড়া ইকবাল ভাই ইজারাদারীর পাশাপাশি লাইসেন্স প্রাপ্ত একজন ঠিকাদার। একটি সিন্ডিকেট চক্র তাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ব্যাক্তিগত ক্ষোভ থেকে এটা করছেন। আমি এর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
ছাতক নৌ পুলিশের ইনচাজ আনোয়ার মিয়া এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ইজারাদার ইকবাল হোসেন রানা পৌর সভা সীমানার বাহিরে গিয়ে সুরমা নদীর এলাকায় নৌযান থেকে চাদাবাজির অপরাধের অভিযোগে খানায় চাদাবাাজি মামলা দায়ের করা হয়।
এব্যাপারে ওসি মুখলেছুর রহমান আকন্দ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ইজারাদার সহ দুজনের বিরুদ্ধে চাদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদেরকে সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. তরিকুল ইসলাম এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন প্রকৃত ইজারাদার হচ্ছে ইকবাল হোসেন রানা। ইজারা শর্ত ভঙ্গ করার প্যানেল কোট ১৮৬ ধারা ভঙ্গ সরকারি আদেশ অমান্য করেছে। সে বৈধ ইজারাদারকে অবৈধ বানানো হচ্ছে।
বিষয়: #ইজারাদার #উপজেলা #গ্রেপ্তার #চাদাবাজ #ছাতক #জুড়ে #তোলপাড় #বানিয়ে #বৈধ
