সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ বিএনপি নেতা মতিন বক্সকে মিথ্যা ভাবে জড়ানো হয়েছে

জিতু তালুকদার, মৌলভীবাজার ::|

বিএনপি নেতা ও শালিসি ব্যক্তি মতিন বক্স কে নিয়ে যে খবর প্রচার হচ্ছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যে প্রণোদিত।

১৭ই মার্চ (সোমবার) মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আব্দুল মতিন এর স্ত্রী পারভিন আক্তার।
লিখিত সংবাদ সম্মেলনটি তুলে ধরা হলো,
প্রকৃত ঘঠনা হলোঃ
মকিছ আমাদের সহোদর ভাই গত কয়েক বছর পূর্বে মা কে চিকিৎসার কথা বলে মায়ের নামে থাকা ৭৮ শতক ভূমি আত্মসাৎ করে। এই ৭৮ শতকের মধ্যে আমাদের সবার বাড়ি রয়েছে। গত আওয়ামী আমলে কয়েক বার বিচার হয়। এক পর্যায়ে ৭নং চাদঁনীঘাট ইউনিয়নে বিচার বসে, সে ক্ষমতার দাপটে রায় মানে নাই। সে এমপি জিল্লুর এবং নেসার সাহেবর খাছ মানুষ । সব গুলি দলীয় প্রোগ্রাম এবং বৈষম্য বিরুধী আন্দোলনে সে লাটি নিয়ে চৌমুহনায় অপরা পর আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের সাথে অবস্থান নেয় । সে তাতীলিগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আলীর একনিষ্ট সাথী এবং তাতীলিগের কমিটির পদ ধারী ব্যক্তি। আওয়ামী লীগ নেতা নেছার আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক মিছবাউর রহমান সহ নেতাদের সাথে এবং আওয়ামী প্রোগ্রামে তার ছবি রহেছে সেগুলো যুক্ত করে দিলাম।

পট পরিবর্তনের পর আমরা তার বিরোদ্ধে ৭নং চাদঁনীঘাট ইউনিয়নে অভিযোগ দায় করি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় তাকে কয়েক বার তলব করার পরেও সে ইউনিয়ন অফিসে উপস্থিত হয় নাই। পরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আহমেদ আলী, মকিছের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য লিখিত সুপারিশ করেন। আমি থানায় অভিযোগ দিলে আজ থেকে মাস দুইয়েক আগে এস আই সাইদুল এবং রানা মকিছ কে জিজ্ঞাসা করার জন্য থানায় নিতে চায় তখন মকিছ
বাজার ব্যবসায়ী ইসলাম এবং রুয়েল এর জিম্মায় সালিশ মানবে বলে জিম্মা নামায় স্বাক্ষর করে। পরবর্তীতে আমাদের বাড়িতে বিচার সালিশি বসে সেই সালিশি ব্যক্তি মতিন বক্স- মাতার কাপন আমাদের পঞ্চায়েতের মুরব্বি খলিল মিয়া- শ্যামের কোনার বিশিষ্ট সালিশ ব্যক্তি আনোয়ার আলী, সাদিকুর রহমান সাদিক সহ শতেক লোক উপস্থিত ছিল । মকিছ শালিসের এক পর্যায়ে সে সিন্ধান্ত মেনে না নিলে শালিস অসমাপ্ত অবস্থায় থেকে যায়। আমরা শুনেছি
এবং পত্রিকা মারফৎ অবগত হয়েছি শালিসি ব্যক্তি মতিন বক্সের নামে মিথ্যা মামলা নাকি দেওয়া হয়েছে এবং উনি আমাদের কে হুকুম দিয়ে তাকে বাড়ি ছাড়া করিয়েছেন এ খবর শোনে আমরা হতবাক হয়েছি, এই মিথ্যা বানোয়াট কাহিনী জেনে।

আমরা প্রতিদিন দেখি মকিছ তার বাড়িতে আছে, সে কোনদিনই বাড়ির ছাড়া বা ঘর ছাড়া ছিল না। বাড়িতে থেকে আমার সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হত। আজ আমাদের গ্রামের এবং অন্যান্ন সালিশি ব্যক্তিগন উপস্থিত আছেন আমাদের বাড়ীর প্রতিবেশি ঘওে সাথে নিকটবর্তী মানুষ আছেন তাহাদের নিকট থেকে সত্য জেনে আপনাদের
মাধ্যমে আমাদের ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা হবে এবং আমরা আমাদের হক ফিরে পাবো। আশা করি আপনাদেও মাধ্যমে সত্য প্রচারিত হবে, এই আশাবাদ ব্যক্ত করি ।