

রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ছাত্রদলের নেতৃত্বে হামলায়, ছাতকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা,ভাংচুর লুটপাট,গ্রেপ্তার ১৫
ছাত্রদলের নেতৃত্বে হামলায়, ছাতকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা,ভাংচুর লুটপাট,গ্রেপ্তার ১৫
ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ::
ছাতকে প্রেম ঘটিত ও তুচ্ছ ঘটনায় জের ধরেই গভীর রাতে ছাত্রদলের কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ১৫ জন গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
গত শুত্রুবার গভীর রাতে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদের গাও ইউপির আলাপুর গ্রামে মিজানুর রহমান ওরফে জলিলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি ডিগ্রী কলেজের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান গ্রুপের কলেজ শাখার ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহমদ ও ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সিফাতুল ইসলাম ইমনসহ নেতৃত্বে দেশি অস্ত্র নিয়ে গভীর রাতে হামলা ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছিল। এসময় গ্রামে মসজিদে মাইকের ঘোষনা করেন গ্রামের জলিলের বাড়িতে ডাকাত টুকছে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামবাসী দেশি অস্ত্র নিয়ে জলিলের বাড়ি চারিদিকে ঘেরাও করে রেখে,হামলাকারিদের মারপিট ও উত্তম মধ্য দিয়ে যৌথবাহিনীর হাতে তোলে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় গত শনিবার সকালে মিজানুর রহমান ওরফে জলিল বাদী হয়ে ১৮জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়,উপজেলার ছৈলা আফজলাবাদ ইউপির রাধানগর গ্রামে সালামিন বন্ধু আলাপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর পুত্র বেলাল আহমদ মিলে একই গ্রামের তোফায়েল আহমদের কাছে ৫ হাজার টাকা পাওনা নিয়ে বেলাল আহমদ ও
তোফায়েল আহমদের মধ্যে কথা কাটাকাটি নিয়ে বিরোধে জের ধরেই গত শুত্রুবার বিকালে আলাপুর গ্রামের রাস্তার পাশে তোফায়েল মসজিদে যাবার পথে একা পেয়ে তার ওপর অতকিত হামলা চালায়।
এ হামলার জের গোবিন্দগঞ্জের কলেজে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদকের নেতৃত্বে ২০ ২৫ জনের অস্ত্রধারি ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে গভীর রাতে আলাপুর গ্রামে মিজানুর রহমান জলিলের বাড়িতে প্রবেশ করে ফিল্মি ষ্টাইলেই হামলা ভাংচুর লুটপাট চালায়। এঘটনায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রদলের দু নেতাসহ ভাড়াটিয়া ১৫জন সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,ছৈলা- আফজলাবাদ ইউনিয়নের দিঘলী-চাকলপাড়া কমর আলীর পুত্র (গোবিন্দগঞ্জ কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক) মাসুম আহমদ (১৮),গোবিন্দগঞ্জ- সৈদেরগাও ইউনিয়নের তকিপুর গ্রামের রেলওয়ের গেইটম্যান আশরাফ আলীর পুত্র(গোবিন্দগঞ্জ কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক)সিফাতুল ইসলাম ইমন(১৮),একই শিবনগর গ্রামের মৃত নুর আলীর পুত্র রুহিতুল ইসলাম নাহিদ (১৮),ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র গদাশাহের পীরের ভাতিজা হাসান আহমদ (২৪),ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের মতিউর রহমানের পুত্র সাইদুর রহমান (২০),ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের ফজর আলীর পুত্র কবির আহমদ (২০), ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের নোয়াগাও জগন্নাথপুর গ্রামের হাসান আলীর পুত্র রুহুল আমিন (২১)গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও ইউনিয়নের আলাপুর গ্রামের করম আলীর পুত্র আমির আলী (৩৫), গোবিন্দগঞ্জ- সৈদেরগাও ইউনিয়নের তকিপুর গ্রামের রইছ আলীর পুত্র আব্দুল্লাহ (১৮), গোবিন্দগঞ্জ সৈদের গাও ইউনিয়নের গোবিন্দ নগর গ্রামের আতিক মিয়ার পুত্র নাইমুর রহমান (২২), ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের সালামত আলীর পুত্র সালামিন আহমদ (১৮),রাধানগর গ্রামের পেশকার আলীর পুত্র লাহিন মিয়া (১৯), তেঘরি নোয়াগাও গ্রামের এরশাদ আলীর পুত্র জয়নাল আবেদীন (১৮),গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দনগর গ্রামের নাছির আহমদ এর পুত্র কামরান আহমদ (২২)। দিঘলী ভেরাজপুর গ্রামের ফিরোজ মিয়ার পুত্র,রেদওয়ান হোসেন প্রকাশ রেদওয়ান আহমদ (২৩)। স্থানীয় একাধিক লোক জানিয়েছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল টিম ঘটনাস্থল থেকে রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে।
সেনা বাহিনী ও থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) রঞ্জন কুমার ঘোষ’র নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ তাৎক্ষনিক এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এ হামলা,ভাংচুরও লুটপাটের অভিযোগে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করেছে। থানার মামলায় (নং ২১,তারিখ ২৩.০৮.২৫ ইং) ১৮ জন আসামীদের মধ্যে ১৫জনকে গ্রেফতার করেছে।
গত শনিবার দুপুরে হামলা লুটপাট ভাংচুরে ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এব্যাপারে ওসি মোঃ সফিকুল ইসলাম খান এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গভীর রাতে হামলা ভাংচুরের ঘটনায় ১৫জন গ্রেপ্তারের ঘটনায় সত্য। আসামীদের আদালত থেকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
বিষয়: #ঘটনা #ছাত্রদল #ছাতক #তুচ্ছ #নেতৃত্ব #হামলায়