

শুক্রবার ● ৪ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী বড়ই উড়ি ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ গ্রেফতার।।
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী বড়ই উড়ি ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ গ্রেফতার।।
আকিকুর রহমান রুমন:-
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে গত বছরের জুলাই-আগষ্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হামলা ভাংচুরসহ বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত এজাহার নামীয় পলাতক আসামী ৭নং বড়ইউড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতিক নিয়ে বিজয়ী চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ(৫৮)কে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করার খবর পাওয়া যায়।
থানা পুলিশ সূত্রে জানাযায়, ৩ জুলাই (বৃহস্পতিবার)দুপুর আড়াইটার দিকে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)
মোস্তফা কামাল এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন।
চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)
গোলাম মোস্তফা। তিনি আরও জানান,জুলাই- আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ফরিদ আহমেদ হামলা ভাংচুরসহ বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত আসামী হয়ে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় ইউপি আ’লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ এজাহার ভুক্ত আসামী ছিলেন।
গতকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়ে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসি।
পরে বিকালের দিকে তাকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগষ্ট বানিয়াচংযে আন্দোলনকারী ও থানা পুলিশের মধ্যে এক ভয়াবহ আন্দোলন হয়।
এই আন্দোলনে সাংবাদিক,পুলিশ ও ছাত্র জনতাসহ প্রাণ হারিয়েছেন ১০জন।
পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছিলেন শতাধিক এর উপরে।
আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতা বানিয়াচং থানায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে টাকা,পয়সা,অস্ত্র, গুলাবারুদ লুটপাটসহ সবকিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করে ফেলেন।
এবং এক সাংবাদিক ও পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেন আন্দোলনকারীগন।
আর পুলিশের গুলিতে নিহত হন ৮জন। মোট ১০জনের প্রানহানীর ঘটনা ঘটে। এদিকে থানা আগুন ও পুলিশ নিহতের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ হতে ১টি মামলা হয়। অন্যদিকে নিহত পরিবারের পক্ষে এক নিহত শিশুর পিতা ৯জনকে হত্যার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন।
এর পর থেকে আস্তে নিহত আহতদের পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্রুনাল সহ সাবেক এমপি,উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদেরকে আসামীকে করে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়।
এসব মামলায় দেশের বাহিরে থেকেও বিদেশে অবস্থানকারী রেমিট্যান্স যুদ্ধা ও আওয়ামীলীগের কয়েক শত নেতাকর্মীদের আসামী করা হয় এসব মামলায়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত সত্য ঘটনার মিথ্যা ৯ মার্ডার মামলার আসামী হিসাবে ইতিমধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, দুই ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ও আহাদ মিয়াসহ আওয়ামীলীগ,
ছাত্রলীগসহ বেশকিছু নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
অন্যদিকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরিদ আহমেদ গ্রেফতারের পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি এজাহার ভুক্ত আসামী হওয়ার পরও বছরের কাছাকাছি সময় কিভাবে চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
থানা পুলিশ বলেছেন তিনি পলাতক ছিলেন।
গ্রেফতারকৃত চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ এর খুঁটির জোর কোথায় এবং কারা তাকে সেল্টার দিয়ে এলাকায় রেখে চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করিয়াছে এই প্রশ্ন সহকারে নানান আলাপ আলোচনা সমালোচনা চলছে এলাকা সহ পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনে।
বিষয়: #আন্দোলন #ছাত্র #বানিয়াচং #বিরোধী #বৈষম্য #হবিগঞ্জ