

শনিবার ● ২১ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » হত্যা মামলা » আল্লারদর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক রিমেলকে হত্যা চেষ্টার আসামীকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মানব বন্ধন
আল্লারদর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক রিমেলকে হত্যা চেষ্টার আসামীকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মানব বন্ধন
দৌলতপুর প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মেহেদী হাসান রিমেল গত ৬ জুন বিকেলে সাদীপুর গ্রামে নিজ জমি দেখতে গিয়ে পূর্ব শত্রতার জেরে প্রতিপক্ষের ধারাল অস্ত্রের আঘাকে মারাত্মক জখম এবং আহত হন। ২১ জুন শনিবার সকাল ১০টায় আল্লারদর্গা বাজার প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষক মেহেদী হাসান রিমেলকে হত্যা চেষ্টার আসামীকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মানব বন্ধন করেছে ছাত্র-জনতা।
জানাযায় প্রতিপক্ষ আসামি সাদীপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল ইলিয়াস বিপন (৩৫) পিতা-মৃত-মহাব্বত আলী, ওৎ পেতে থাকা আসামি বিপন, রিমেলকে দেখে তাকে খুন করার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে, শিক্ষক রিমেল হাত দিয়ে প্রতিরোধ করতে গেলে তার দুই হাতে কব্জি ও তালু মারাত্মকভাবে রক্তাত্ব জখম হয় এবং সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তার আত্মচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এলে আসামি বিপণ পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানায় গত ৯ জুন একটি মামলা দায়ের করা হয়, মামলা নম্বর- ১৬, ১৫ দিন পার হলেও আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। রিমেলের পরিবার এ ব্যাপারে শঙ্কা প্রকাশ করছে, মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকী দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে আল্লারদর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা ও এলাকাকাসী। এ ব্যাপারে বিচারের দাবিতে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে, মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন আক্তার আলি, রাসেল লস্কর,মানুদ পারভেজ, পল্টু খন্দকার প্রমূখ। বক্তারা বিষয়টি উদ্ধোতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, পুলিশ আসামী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও ধরছেনা, বরং বাদীদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে, বক্তারা জানান প্রসাশন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরবর্তীতে কঠিন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
দৌলতপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকদের সংবাদ সম্মেলন
দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিয়ে প্রচারিত একটি সংবাদ কে কেন্দ্র করে স্বাস্থকেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
একটি বে-সরকারী টিভি চ্যানেল সহ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসা সেবার করুন দশা উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
শনিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন আরএমও ডাঃ সামছুল আরেফিন। আরএমও ডাঃ সামছুল আরেফিন বলেন, সংবাদটিতে আমাকে ্যাক্তিগতভাবে হেয় করার চেষ্টা হয়েছে। আমরা প্রতিদিন ৫ থেকে ৬‘শ রোগীর সেবা প্রদান করে থাকি। এখানে অবহেলা বা স্বজনপ্রীতি বা স্বেচ্ছাচারিতার কোন সুযোগ নেই।
৩৫ জন চিকিৎসকের সেবা আমরা ৭/৮জনে কিভাবে দিয়ে আসছি সেটা বলা দুরহ ক্যাপার। তাছাড়া আমার স্ত্রী‘র মালিকানাধীন ক্লিনিকে আমি নীতিমালা অনুযায়ী সরকারী দায়িত্ব পালন শেষে এবং ছুটির দিনে রোগী দেখি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, উপজেলার প্রায় ৬/৭ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র কেন্দ্র এটি। এখানে ৩৫ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন আমিসহ মাত্র ৮ জন। এই ৮ জন চিকিৎসক দিয়ে এত বড় জনগোষ্ঠির সেবা দিতে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। সেখানে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি ঘটতেই পারে। কিন্তু সংবাদটিতে আমাদের সে বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছে। আমি নিজে চেম্বারে উপস্থিত থাকা সত্বেও আমার সাথে কোন কথা বলা হয়নি।
আরএমও ডাঃ সামছুল আরেফিনের বিরুদ্ধে বলা হলেও তিনিও তখন তার কক্ষে রোগী দেখছিলেন। কিন্তু তার সাথেও কথা বলা হয়নি। তাই আমাদের কাছে মনে হয়েছে সংবাদটি পক্ষপাতদুষ্ট। এসময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক, সেবিকা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে আল শেফা প্রাইভেট ক্লিনিকের পরিচালক ডাঃ তানজিনা জাহান বিথির কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি নিজে সহ এখানে অনেক চিকিৎসক রোগী দেখেন। দৌলতপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আরএমও ডাঃ সামছুল আরেফিনও সরকারী দায়িত্ব পালন শেষে এখানে প্রাকটিস করেন। তিনি মনে করেন, হয়ত কোন ব্যবসায়ীক প্রতিপক্ষ বিষয়টিকে মেনে নিতে পারেনি।
বিষয়: #আল্লারদর্গা #বিদ্যালয় #মাধ্যমিক #শিক্ষক