

মঙ্গলবার ● ১৭ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ছাতকে নৌপথে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মালামাল বাজেয়াপ্ত
ছাতকে নৌপথে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মালামাল বাজেয়াপ্ত
ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের ছাতকে নৌ পথে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মালামাল বাজেয়াপ্ত করেছে।
গত সোমবার (১৬জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গনেশপুরস্থ পিয়াইন নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন।এ অভিযানে সময় থানার পুলিশ না যাওয়ার ঘটনা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। দুজন আনছার বাহিনী নিয়ে অভিযান পরিচালনা শুরু করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তরিকুল ইসলাম।
গত ১৬ জুন বিকালে সরকারী কাজে নদী পথ পরিদর্শনে বের হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম। পরিদর্শনকালে ইসলামপুর ইউনিয়নের গোয়ালগাওস্থ পিয়াইন নদীতে অনুমোদিত অবৈধ ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে ইউএনওর উপস্থিতি টের পেয়ে ড্রেজার মেশিন ও নৌকা রেখে আসামীরা পালিয়ে যায় এবং নদীতে থাকা অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসময় আনসার সদস্য ও নৌ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে জব্দকৃত মালামাল বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম। জব্দকৃত মালামাল তালিকা হলো ৬সিলিন্ডার ইঞ্জিন যুক্ত ২টি স্টিল নৌকা, ৪সিলিন্ডার ইঞ্জিন যুক্ত ১টি স্টিল নৌকা ও ৪সিলিন্ডার যুক্ত ভাসমান ড্রাম ২টি।
জানা যায়,গত এক সপ্তাহ যাবৎ বালু খেকো চক্র অস্ত্রের মহড়া দিয়ে দিনরাত অবৈধ ভাবে বোমা মেশিন ও ড্রেজার দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন করে দেদারসে নদীতে বালু উত্তোলন বিক্রি করছে। পুলিশ সাদা পোশাকের প্রতিদিন এসব নৌকা থেকে চাদা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। কৌশল পাল্টিয়ে এখন দিনের বদলে রাতে তোলা হচ্ছে বালু। আগে এইসব বালু মহলে নেতৃত্ব দিতেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।গত ৫ আগস্টের পর তারা পালিয়ে যাওয়ার পর এখন জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় চলছে বালু উত্তোলন। প্রতিদিন একেকটি পয়েন্টে ১৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত বালু বিক্রি হচ্ছে। বালু বিক্রির টাকার একটি অংশ চলে যায় স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন মহলের পকেটে। ড্রেজারের পাশাপাশি শ্যালো ও বোমা মেশিন দিয়ে বালুমহালের ৫০-৬০ ফুট নীচ থেকে বালু উত্তোলন করে আসছে। গভীরতা বেড়ে যাওয়ার কারণে সনাতন পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করতে না পারায় এতে কর্ম হারিয়েছেন হাজার শ্রমিকরা। আর ভাঙন হুমকিতে রয়েছে নদী তীরের ৫ শতাধিক বাড়িঘর ও স্থাপনা এবং কয়েকশ’ একর ফসলি জমি। ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গ্রামগুলো হচ্ছে, দৌলতপুর, নাছিমপুর, শারপিননগর, রহিমের পাড়া, সোনাপুর, কাজিরগাও, পুর্ব লুভিয়া, চাইরগাও, রহমতপুর দারোগাখালি বাহাদুরপুর গোয়ালগাও,ও নোয়াগাও সহ প্রায় ২০টি গ্রামের রাস্তা ঘরবাড়ি, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রায় ৯ শতাধিক বাড়িঘর নদী ভাঙ্গন ও হুমকির মুখে পড়েছে। এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন সরকারী কাজে নদী পথ পরিদর্শনেকালে অবৈধভাবে অন নুমোদিত ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন দেখে অভিযান পরিচালনা করি।এসময় থানার ওসিকে মোবাইল ফোনে পুলিশ পাঠানো বলা হলে তিনি পুলিশ দেয়নি। তবু ও পুলিশ ছাড়া তিনি অভিযান করেন। আটককৃত মালামাল বাজেয়াপ্ত করা হয়। জনস্বার্থে বালু ও পাথর সম্পদ রক্ষাকরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।#
বিষয়: #অভিযান #অর্ধ #আদালত #কোটি #ছাতক #টাকা #নৌপথ #প্রায় #বাজেয়াপ্ত #ভ্রাম্যমাণ #মালামাল