শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বজ্রকণ্ঠ "সময়ের সাহসী অনলাইন পত্রিকা", সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকা,রাজশাহী,নিউ ইয়র্ক,লন্ডন থেকে প্রকাশিত। লিখতে পারেন আপনিও।

Bojrokontho
বৃহস্পতিবার ● ৩ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » ইতিহাস ও ঐতিহ্য » নিকট অতীতের ঘরগুলোর দৃশ্য কি চমৎকার?
প্রথম পাতা » ইতিহাস ও ঐতিহ্য » নিকট অতীতের ঘরগুলোর দৃশ্য কি চমৎকার?
৪১১ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ৩ এপ্রিল ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

নিকট অতীতের ঘরগুলোর দৃশ্য কি চমৎকার?

মিজানুর রহমান মিজান ::
নিকট অতীতের ঘরগুলোর দৃশ্য কি চমৎকার?
মানুষ স্বপ্নবিলাশী।পরিবর্তন চায়।পরিবর্তিত পরিবেশ,সমাজ ভাল লাগে।তাইতো বদলায়,বদলাতে এক প্রকার আনন্দ উপভোগ করেন,নেশা জাগে পরিবর্তনে।উৎসুকতা বৃদ্ধি পায়।সেখান থেকেই উৎসাহিত হন বদলাতে,পরিবর্তন করতে।এ পৃথিবী পরিবর্তনশীল।প্র্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে,বদলে যাচ্ছে।পুরাতনের সহিত বসবাস ভালো লাগে না।এক ধরণের একগুয়েমীর সৃষ্টি হয়।চাই নিত্য নুতন।আরেকটু উন্নত,সমৃদ্ধ,অগ্রসর হওয়া।তা হোক সমাজ,পরিবেশ,পোষাক পরিচ্ছদ ইত্যাদি।অনেক কিছু মানুষের অজান্তেই পরিবর্তন হয়ে যায়।বদলে যাবার পর দৃশ্যত: মানুষ অনুভব,অনুভুতিতে,বাস্তবে বুঝেন পরিবর্তন হয়ে গেছে।বৃদ্ধি পায় আকর্ষণ।তা থেকে আকর্ষিত হয়ে এগিয়ে যান আরো সম্মুখের পানে।প্রকৃতিতেও আসে পরিবর্তন, পরিবর্ধন,বদলের আবহাওয়া।বহে সুবাতাস।অনুপ্রাণিত হন অনেকক্ষেত্রে পরিবর্তনের দিকে।যাক আমরা এবার চলে যাব মুল প্রসঙ্গের দিকে।
বিগত ১৯৭০ দশকে আমাদের এলাকায় আমি দেখেছি প্রত্যেকটি গ্রামে উপরের ছবিটির মতো অধিকাংশ বাড়িঘরের চিত্র।খুব নগন্য সংখ্যক ঘরবাড়ি ছিলো টিন,ইট পাথরের তৈরী।কিন্তু আজকের দৃশ্যপট অনেক অনেক পরিবর্তিত,পরিবর্তনশীল,বদলের আবহাওয়ায়।আগেকার দিনে মানুষ ছন,বিন্না জাতীয় উদ্ভিদ দ্বারা গৃহের ছাউনি এবং বন বা আড়া জাতীয় উদ্ভিদ দ্বারা ঘরের বেড়া তৈরী করতেন।পাশাপাশি গৃহগুলো দেখতে খুবই মনোরম,চমৎকার লাগতো।সকলেই তা গ্রহণ,মেনে নিতেন।এক ভাই ছনের গৃহ থেকে উন্নত পরিবেশে যেতে অনেক সময় ভাবনায় পড়ে যেতেন।আমার সহোদর ভাইকে ছনের গৃহে রেখে আমি টিনের বা ইটের গৃহে বসবাস করা বেমানান বলে মনে করতেন অনেকেই।কিন্তু আজ সে ভাবনার পরশ প্রায়ই অনুপস্থিত।আমার যে ভাবে সামর্থ আছে বা হয়েছে।আমি ভিন্নতর পরিবেশ তৈরী করতে বিবেক বাঁধ সাধে না।সহমর্মিতা অনেক ক্ষেত্রে উধাও হয়ে গেছে।আজ উপরোল্লিখিত এলাকায় মোটেই ছনের,বনের বেড়াযুক্ত গৃহ একেবারে উধাও।ইট পাথরের গৃহের কাছে পরাজিত হয়ে যেন বনবাসে চলে গেছে ছন, বনের গৃহ।আবার কেহ কেহ সামর্থ থাকা সত্তেও ছনের গৃহে বসবাস করতেন সৌখিন,সুন্দর ও আরামদায়ক জীবনযাপনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে বা প্রাধান্য দিয়ে।কারন স্বরুপ তখন শুনতে পেতাম অনেকের মুখে।টিন,ইট পাথরের গৃহ থেকে ছনের গৃহে গরম কম লাগার আরামদায়ক বসবাসের উপযোগিতা।করেছেন অনেকে সে মতে বসবাস।তখন বিদ্যুৎ ছিল না।ছিল না অতি আধুনিকতা,যান্ত্রিকতা নির্ভরশীলতা।আজকের প্রজন্মকে এ জাতীয় গৃহ সম্পর্কে বুঝাতে হলে অনেক কাটখড় পোহাতে হবে।বাস্তবতা এক জিনিষ আর বলে বুঝানো আরেক বিষয়।অনেক বেগ পেতে হবে বুঝাতে হলে।স্মৃতির পশরা খোলে গেল আমার এ গৃহের চিত্রটি দেখে।তাই আমার আজকের এ লেখার মুল উপজীব্য বিষয়।ভুলক্রুটি ক্ষমা চাই।



বিষয়: #  #  #  #  #


--- ---

আর্কাইভ

সিলেট শহরের সকল হবিগঞ্জী --- --- --- --- --- --- ---

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
‘শাপলা কলি’ নয় ‘শাপলা’ চায় এনসিপি
ইসির প্রতীক তালিকায় যুক্ত হলো ‘শাপলা কলি’
ডেঙ্গুতে আরও ৪ মৃত্যু, শনাক্ত সহস্রাধিক
পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার আরও ১৫৭০
নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে থাকবে ১৩ আনসার সদস্য: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সিরাজগঞ্জ কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
ঐকমত্য কমিশনের শেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত, সুপারিশ পেশ মঙ্গলবার
দুই দশক পর জেইসি বৈঠকে বসল বাংলাদেশ-পাকিস্তান
শাপলা নয়, এনসিপিকে অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে ইসি
ভৈরবকে জেলা দাবিতে রেলপথ অবরোধ, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ