শিরোনাম:
●   ভোলায় কোস্টগার্ডের অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ ৮ ডাকাত আটক ●   গর্ভবতী নারীর চিকিৎসায় এগিয়ে এলো কোস্টগার্ড ●   দিনে ‘অচল’ ড্রেজার রাতে সচল ●   হবিগঞ্জের সাবেক ডিসি, এডিসি ও ২ ভূমি কমিশনার সহ ৪ কর্মকর্তার ১ বছরের কারাদণ্ড ●   সেনাবাহিনীর হাতে ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারি আটক ●   সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বিশেষে অভিযানে রুবেল হত্যাকারীসহ গ্রেফতার-৩ ●   জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ স্কাউটদের স্মরণে মাধবপুরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত ●   ৫০ বোতল ভারতীয় ইস্কফ সিরাপ সহ আটক ১ ●   সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে নিহত-১ ●   দৌলতপুর উপজেলায় ‘জুলাই পুনর্জাগরণের সমাজগঠনে লাখো কণ্ঠে শপথ পাঠ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও শপথ অনুষ্ঠিত হয়েছে
ঢাকা, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২
বজ্রকণ্ঠ "সময়ের সাহসী অনলাইন পত্রিকা", সিলেট, বাংলাদেশ। ই-মেইল ঠিকানা:: news@bojrokontho.com অনুগ্রহ করে সংবাদ প্রতিবেদন, ছবি এবং ছোট ভিডিও পাঠান। লগইন করুন: www.bojrokontho.com

Bojrokontho
মঙ্গলবার ● ১৫ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » ইতিহাস ও ঐতিহ্য » হাজার বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখের ভাষা ‘বাংলা’
প্রথম পাতা » ইতিহাস ও ঐতিহ্য » হাজার বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখের ভাষা ‘বাংলা’
১৫৬ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১৫ অক্টোবর ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

হাজার বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখের ভাষা ‘বাংলা’

বজ্রকণ্ঠ অনলাইন
হাজার বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখের ভাষা ‘বাংলা’হাজার বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখের ভাষা ‘বাংলা’
হাজার বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখের ভাষা ‘বাংলা’কে কেড়ে নিয়েছিল দক্ষিণ ভারত থেকে আগত সেন রাজারা। সেন রাজাদের হিন্দু পণ্ডিতরা নির্দেশ জারি করেছিল, ‘যারা বাংলা ভাষা বলবে ও শুনবে তারা রৌরব নামক নরকে যাবে।’ ওই সময় তুর্কি বংশোদ্ভূত ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজি নির্যাতিত বাঙালিদের মুক্ত করতে এগিয়ে আসেন এবং ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৮ জন ঘোড়সওয়ারি নিয়ে সেন রাজাকে পরাজিত করে বাংলাকে স্বাধীন করেন। বক্তারা বলেন, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজির বাংলা বিজয়ের মাধ্যম সেই দিন শুধু ভূমির বিজয় হয়নি, সঙ্গে মুক্ত হয়েছিল বাঙ্গালিদের মুখের ভাষা ‘বাংলা’।
ভাষাবিদ দীনেশ চন্দ্র সেন বলেন, ‘মুসলমান সম্রাটরা বর্তমান বঙ্গ-সাহিত্যের জন্মদাতা বললে অত্যুক্তি হয় না। বঙ্গ-সাহিত্য মুসলমানদেরই সৃষ্ট, বঙ্গ-ভাষা বাঙালি মুসলমানের মাতৃভাষা।’ অধ্যাপক ও গবেষক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যদি বাংলায় মুসলিম বিজয় ত্বরান্বিত না হতো এবং এ দেশে আরও কয়েক শতকের জন্য পূ্র্বের শাসন অব্যাহত থাকত, তবে বাংলা ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যেত এবং অবহেলিত ও বিস্মৃত-প্রায় হয়ে অতীতের গর্ভে নিমজ্জিত হতো।’
মধ্যযুগে মুসলিম শাসকদের রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা ভাষার যে সাহিত্যচর্চা শুরু হয়, তার মাধ্যমে বাংলা ভাষা একটি পরিপূর্ণ ভাষা হিসেবে আত্মপ্রকাশের যোগ্যতা অর্জন করে।
বাংলা ভাষাকে কলুষিত করার চেষ্টা যুগে যুগে আরও হয়। ১৮শ’ সনে ব্রিটিশরা কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করে বাংলা ভাষার আরবি ও ফারসি শব্দ বাদ দিয়ে সংস্কৃত শব্দ প্রবেশের উদ্দেশ্যে সাহিত্যচর্চা শুরু করে। তারা দেখাতে চায়—বাংলা ভাষার সঙ্গে মুসলমানদের কোনো সম্পর্ক নেই।
মুসলিমদের হেয় প্রতিপন্ন করতে প্রচার করা হয়, বাংলা ভাষায় প্রথম কুরআন মাজিদ অনুবাদ নাকি গিরিশ চন্দ্র সেন করেছেন। অথচ ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দে গিরিশ চন্দ্র সেনের অনুবাদের বহু আগে ১৮০৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা ভাষায় কুরআন মাজিদের আংশিক অনুবাদ করেন মাওলানা আমিরুদ্দিন বসুনিয়া। এরপর ১৮৩৬ খ্রিষ্টাব্দে মৌলবি নাঈমুদ্দিন পূরো কুরআনের বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন করেন। অথচ এ ইতিহাস প্রচার করা হয় না।
সুত্র: খন্দকার কামরুল হুদা, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও শেখ মুজিব, ১৯৯৫, পৃ. ৩২, বাংলাপিডিয়া
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে সংগৃহীত



বিষয়: #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)