শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বজ্রকণ্ঠ "সময়ের সাহসী অনলাইন পত্রিকা", সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকা,রাজশাহী,নিউ ইয়র্ক,লন্ডন থেকে প্রকাশিত। লিখতে পারেন আপনিও। বজ্রকণ্ঠ:” সময়ের সাহসী অনলাইন পত্রিকা ” আপনাকে স্বাগতম। বজ্রকণ্ঠ:: জ্ঞানের ঘর:: সংবাদপত্র কে বলা হয় জ্ঞানের ঘর। প্রিয় পাঠক, আপনিও ” বজ্রকণ্ঠ ” অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ” বজ্রকণ্ঠ:” সময়ের সাহসী অনলাইন পত্রিকা ” কে জানাতে ই-মেইল করুন-ই-মেইল:: [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

Bojrokontho
শনিবার ● ৬ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » সাহিত্য ডাইরি » সাহিত্য ডাইরি - জীবন
প্রথম পাতা » সাহিত্য ডাইরি » সাহিত্য ডাইরি - জীবন
৪৮৯ বার পঠিত
শনিবার ● ৬ জুলাই ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সাহিত্য ডাইরি - জীবন

সাহিত্য, ডাইরি, জীবন
জীবনে প্রথম শারীরিক সম্পর্কে জড়াই যখন আমার বয়স ২০।অবাক হচ্ছেন? অবাক হবার ই বিষয়। বাড়িতে সৎ ভাইয়ের অমানবিক নিযার্তনের শিকার হতাম প্রতিদিন।অনেকটা জেদের বশত বাবাকে রাজি করিয়ে ঢাকাতে ভতি’ হলাম।থাকতাম ধানমন্ডির শুক্রাবাদ এলাকায়।অনেক খেত ছিলাম অইসময়।স্মার্টনেছ বুঝতাম না।মফস্বলের সাদামাটা মেয়ে ছিলাম। বান্ধবিদের সাথে ক্লাসের বিরতিতে কাছের এক শপিং মলে গেলাম।আমার বান্ধবি তানিয়াকে দেখলাম একটা ছেলের সাথে কথা বলতে।কিছুক্ষণ পর ছেলেটিকে এনে পরিচয় করিয়ে দিলো বলল ওর বন্ধু।ছেলেটি বারবার আমার দিকে তাকাচ্ছিলো। আমি ইগনর করছিলাম।কয়েকদিন পরে আবিষ্কার করি ছেলেটি আমার বাসার পাশেই থাকে।শুরু হলো তার আমার পিছনে লাগা।ফেসবুকে বন্ধু হতে চাওয়া,আমার সাথে দেখা করতে চাওয়া,ভাসি’টির গেটে দাড়িয়ে থাকা। মেয়ে মানুষ না না করতে করতেই কখন যেন প্রেমে পড়ে গেলাম।তার অবশ্য আগে একজন প্রেমিকা ছিল।সেই মেয়ে নাকি তার সাথে অনেক বড় প্রতারণা করেছে।দিনের পর দিন ভালোবাসার মিথ্যে অভিনয় করেছে।বলতে যেয়ে ছেলেটা কাদো কাদো হয়ে গেলো। ছেলেটি আমায় অনেক অনুরোধ করলো আমি যেন তার সাথে এরকম কখনো না করি।ছেলেটির নামটাই এখনও বলা হয়নি।ওর নাম ছিল সরন।আর আমি মোনা।এভাবেই চলছিল আমাদের প্রেম।কিছুদিন পর লক্ষ্য করলাম ও আমার একটু বেশিই কাছে আসতে চায়।আমি মফস্বলের মেয়ে এত কিছু তখনও বুঝতাম না।ওর বাবার বাসা ছিল কুমিল্লা কিন্ত পড়াশোনা ছিল ঢাকাতেই। সরন আমার থেকে অনেক স্মার্ট ছিল।একদিন আমায় বলল ওর বন্ধুর জন্মদিন।বাসায় দাওয়াত করেছে সব বন্ধুদের। বলল আমাকেও নিয়ে যাবে।আমি সাজুগুজু করে সরনের সাথে বের হলাম।বন্ধুর বাসা মিরপুরে।বাসায় যেয়ে দেখি তার বন্ধু ছাড়া আর কেউ নেই। আমার একটু ভয় করলো।খানিকক্ষণ পর বন্ধুটি চলে গেলো আমি আরো ভয় পেলাম।আমি বললাম কই তোমার বন্ধুর জন্মদি। অন্য বন্ধুরা কোথায়।সরন বলল একটা প্রব্লেম এর জন্য প্রোগ্রাম বাদ দেয়া হয়েছে।আমি শুনে সাথে সাথে বললাম আমি এখানে থাকবোনা আমাকে নিয়ে চলো।সরন শুনলে আমাকে এক হেচকা টান দিয়ে বিছানায় ফেলে দিলো।অনেক্ষণ ধস্তাধস্তি হলো।আমি চিৎকারে করছিলাম।একসময় সরন আমাকে ছেড়ে দিলো।বলল তুমি এত খেত কেন? ঢাকাতে কমবেশি সব বফ গফ রাই ফিজিক্যাল করে।আমার সব বন্ধুরাও তার গফ দের সাথে করে আর তুমি সত্যি একটা খেত।আমি খুব কান্না করছিলাম।সেই যাত্রায় বেচে যাই।এরপর থেকে সরন আমাকে ইগ্নর করে।কথা বলে না।আমিও একটু এড়িয়ে চলি।একদিন ওর এক বন্ধু মারফত জানতে পারি সরন ঠিকমত ক্লাসে যাচ্ছে না,খাওয়া দাওয়া করছে না,সবসময় মনমরা হয়ে থাকে।শুনে কেমন যেন মায়া হলো।সরনকে ফোন দিয়ে দেখা করতে বললাম।আমি ওকে দেখে চমকে উঠলাম।কেমন উশকোখুষকো চেহারা হয়েছে।সরন আমার কাছে অইদিনের জন্য মাফ চাইল এটাও বলল তার আগের গফ এর সাথে তার ফিজিক্যাল রিলেশন ছিলো তাই তার চাহিদাটা এখনও রয়ে গিয়েছে। আমি সরনকে বললাম তুমি আমার সবকিছু পাবে কিন্ত তার আগে আমাকে বিয়ে করতে হবে।সরন কিছুটা চুপ হয়ে গেলো বলল ভেবে দেখি একটু।কয়েকদিন পর আমার ফাইনাল পরীক্ষার ছুটিতে গ্রামে গেলাম।সপ্তাহের মত কাটিয়ে আবার ঢাকায় ফিরছি। সরন ফোন দিয়ে বলল আমাকে বাসস্ট্যান্ডেে নিতে আসবে।বাসস্ট্যান্ড নামার পর সরন আমায় বলল হোসটেলে পরে যেও আজ আমরা বিয়ে করব।আমি কি বলব বুঝতে পারছিলাম না।সরন বলল প্লিজ না করোনা।আমি সব ব্যবস্থা করে রেখেছি।যাই হোক এক কাজি এসে বিয়ে পড়ালো ওর এক বন্ধুর বাসায়।আমরা বিয়ের পর কক্সবাজার গেলাম।সবকিছু যেন সপ্ন মনে হচ্ছি। এভাবেই চলছিল দিন।এরপর লক্ষ্য করলাম সরনের ফোন প্রায়ই বিজি থাকে সারারাত বিজি।আমাকে বলে তার বাবা,তার বন্ধু বিদেশ থেকে ফোন দেয়।দিনের পর দিন চলছে এরকম।আমি ওর ফোন দেখতে চাইলে বলে মোবাইল পাসো’নাল জিনিস।এসব দেখা যাবেনা আমি কি কখনো তোমার ফোন দেখতে চাইছি? আসলে তুমি খেত ই থেকে গেলে।খুব কান্না করেছিলাম অইদিন।এরপর অনেকের মুখে শুনতাম সরন অন্য মেয়ে নিয়ে ঘুরে। একদিন হাতেনাতে ধরাও পেলাম।সেদিন ও আমাকে রাস্তায় সবার সামনে থাপ্পড় মেরে অপমান করে তাড়িয়ে দিয়েছিলো। আমি তখন পাগলের মতো অবস্থা।আমি সরনকে বললাম আমাকে ডিভোস’দাও।সে এটা শুনে আমাকে এড়িয়ে চলে ফোনধরে না। পরের পর্ব শুলো মিস না করতে চাইলে আইডিতে ফলো দিয়ে রাখুন।

মেসেজ এর উত্তর করে না।এর মাঝে প্রায় শুনি সরন মেয়ে নিয়ে এখানে গেছে সেখানে গেছে।সরন নিজেই একদিন আমাকে ফোন দিয়ে দেখা করতে চাইলো।আমিও গেলাম।কিছুক্ষন চুপ থেকে বলল জানি আমার কিছু খারাপ অভ্যাস আছে।আমি চাই সেগুলি থেকে বের হতে। আর এর জন্যই আমার তোমাকে দরকার অনেক তুমিই পারবে আমাকে ফেরাতে।আমি কতক্ষণ মুতি’র মত চুপ করে থাকলাম।এরপর বললাম ওকে আমি তোমার পাশে থাক। এরপর ভালোই চলছিলো।ওকে নামাজ পড়তে বলতাম।ও অনেকটাই বাধ্য হতে লাগল,আমিও সস্তি পেলাম।একদিন বলল চলো কক্সবাজার ঘুরে আসি।রাজি হলাম।ওখানে যেতে যেতে রাত হলো সরন ক্লান্ত ছিলো ঘুমিয়ে পড়লো হোটেলে যেয়ে।মাঝরাতে ওর ফোনে মেসেজ আসতে লাগলো বারবার।আমি সরনের মোবাইল লক কোড জানি অনেকবার খুলতে দেখেছি, কিন্ত আমি কখনও খুলি নি।সাহস করে খুললাম একটা মেয়ে লিখেছে জান গত পরশু রাতে তোমার সাথে যা হয়েছে আমি ভুলতে পারছিনা,তোমার শরীরের গন্ধ আমার নাকে লেগে আছে।আমার ত মাথা পাগল অবস্থা।আমি ওর সব মেসেজ, পিকচার ঘাটতে লাগ্লাম।আমি যা দেখলাম ভাষায় প্রকাশ করার মত না।অগনিত মেয়ের সাথে তার ফিজিকাল রিলেশন, সেক্স ভিডিও।আমি ভয়ে কাপতে লাগলাম এ কার সাথে শুয়ে আছি আমি।গত ১ সপ্তাহে ৩/৪ টা মেয়ের সাথে ওর ফিজিক্যাল হয়েছে।আমি হাউমাউ করে কাদতে শুরু করলাম।আমার কান্নাকাটির শব্দে সরন ঘুম থেকে জেগে৷ গেল।উঠেই দেখল ওর ফোন আমার হাতে।ওর আর বুঝতে বাকি রইলোনা।অনেক চড় থাপ্পড় লাথি পড়লো আমার শরীরে।অকথ্য ভাষায় গালাগালি।পরদিন আমি অনেক জর,গায়ে ব্যথা নিয়ে একাই ঢাকায় চলে আসি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে সংগৃহীত



বিষয়: #


সাহিত্য ডাইরি এর আরও খবর

মৃত্যু বার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজ মৃত্যু বার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজ
বরেণ্য ছড়া সাহিত্যিক সাব্বির আহমেদ সেন্টুর জন্মদিনে শুভেচ্ছা ও সাহিত্যিক অবদান বরেণ্য ছড়া সাহিত্যিক সাব্বির আহমেদ সেন্টুর জন্মদিনে শুভেচ্ছা ও সাহিত্যিক অবদান
ছড়াকার মিলু কাসেম: সিলেটের সাহিত্য-সংস্কৃতির উজ্জ্বল এক নক্ষত্রের বিদায় ছড়াকার মিলু কাসেম: সিলেটের সাহিত্য-সংস্কৃতির উজ্জ্বল এক নক্ষত্রের বিদায়
বিশ্বনা‌থে সাহিত্যচর্চা ও সমাজসেবায় অনন্য মিজানুর রহমান মিজান! বিশ্বনা‌থে সাহিত্যচর্চা ও সমাজসেবায় অনন্য মিজানুর রহমান মিজান!
ড. মুমিনুল হক একাডেমির নতুন কমিটির আত্বপ্রকাশ। ড. মুমিনুল হক একাডেমির নতুন কমিটির আত্বপ্রকাশ।
‘অঞ্জলি লহ মোর’ ম্যুরাল ভাঙচুর, ১২০ জনের প্রতিবাদ ‘অঞ্জলি লহ মোর’ ম্যুরাল ভাঙচুর, ১২০ জনের প্রতিবাদ
এক্সিবিশন এবং বই প্রকাশনীর মাধ্যমে শেষ হচ্ছে “গঙ্গাবুড়ি-রিভার হেরিটেজ প্রকল্প” চলবে ২৫ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত এক্সিবিশন এবং বই প্রকাশনীর মাধ্যমে শেষ হচ্ছে “গঙ্গাবুড়ি-রিভার হেরিটেজ প্রকল্প” চলবে ২৫ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত
বাংলার শব্দচাষী’র আয়োজনে মহান  স্বাধীনতা দিবস ও ঈদ সংখ্যা ২০২৫ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন  ও সাহিত্য আড্ডা বাংলার শব্দচাষী’র আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস ও ঈদ সংখ্যা ২০২৫ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও সাহিত্য আড্ডা
সময় আমাদের শিখিয়ে দেয়, কল্পনার চেয়ে বাস্তবতা কত কঠিন সময় আমাদের শিখিয়ে দেয়, কল্পনার চেয়ে বাস্তবতা কত কঠিন
প্রেম করেছো নিজের ইচ্ছায় প্রেম করেছো নিজের ইচ্ছায়

আর্কাইভ

সিলেট শহরের সকল হবিগঞ্জী --- --- --- --- --- --- ---

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
গ্রেফতার দেখানো হলো সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে
শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল করল প্রসিকিউশন
নির্বাচন বানচাল ও অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে: নাহিদ
মানবাধীকার অপরাধ মামলা
ওসমান হাদিকে গুলি: সন্দেহভাজন ফয়সালের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ
শিশু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে লিগ্যাল নোটিশ
‘হাদির সঙ্গে নির্বাচনি প্রচারণায় ছিলেন গুলি করা দুই সন্দেহভাজন’
হাদির হামলাকারীদের ধরিয়ে দিলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ওসমান হাদির অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক: মেডিকেল বোর্ড
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী সন্দেভাজন ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য প্রদানের অনুরোধ