সোমবার ● ১০ নভেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » নবীগঞ্জ » নবীগঞ্জে জন সম্মূখে এক শিক্ষককে ক্ষমা চাওয়া ও স্টাম্পে মুছলেখার ঘটনা প্রকাশ করায় ১ সাংবাদিক সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নবীগঞ্জে জন সম্মূখে এক শিক্ষককে ক্ষমা চাওয়া ও স্টাম্পে মুছলেখার ঘটনা প্রকাশ করায় ১ সাংবাদিক সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
![]()
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে জাতীয় দৈনিক সমকাল ও দৈনিক খোয়াই পত্রিকার পত্রিকার নবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি এবং নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম.এ আহমদ আজাদ সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২০২৫ আওতায় মামলা দায়ের হয়েছে। নবীগঞ্জ
উপজেলার গোপলার বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মারজান আহমেদ গত শুক্রবার নবীগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। উক্ত মামলায় সাংবাদিক ছাড়াও আরও কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে। এ আইনে দেশের প্রথম সাংবাদিক হিসাবে এম এ আজাদ আসামী হলেন।
জানাযায়, উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের গোপলার বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়া ভুল করায় অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শাস্তি দেওয়ার জের ধরে গত (৪ নভেম্বর) শ্রেণি কক্ষে সালিশ বসিয়ে ইংরেজী শিক্ষক মারজান আহমদকে শিক্ষার্থী ও শতাধিক অভিভাবকদের সামনে করে ক্ষমা চাওয়ানো হয় এবং স্টাম্পের মধ্যে ঐ শিক্ষকের মুচলেকা নেওয়া হয়। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসইবুকে পোস্ট করায় ছড়িয়ে পড়ে দেশ- বিদেশে। এ বিষয়টি অনেকে শিক্ষক হেনস্থার প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্টটি শেয়ার করেন। এতে মুহুর্তের মধ্যেই শিক্ষকের ভিডিওটি চতুরদিকে ভাইরাল হয়ে যায়।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও নবীগঞ্জ উপজেলা পজিব কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ, দেবপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম ও জেলা এনসিপির কর্মী পরিচয় দেওয়া আরিফ আহমদ, সিলেট মহা নগর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক শাহ জাহান আলী, স্থানীয় ইউপি সদস্য, প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন সালিশ বিচারে উপস্থিত ছিলেন। সালিশ বিচারে শিক্ষকের ক্ষমা চাওয়া ও স্টাম্পে মুছলেখা দেয়ার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে অপরাধীরা মম সৃষ্টি করে শিক্ষার্থীদের নানান ভানে প্ররোচিত করে সাংবাদিক আজাদকে গ্রেফতারের দাবীতে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দফায় বিক্ষোভ করে ঢাকা- সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করানো হয়। পরে। শুক্রবার রাতে এম. এ আহমদ আজাদ সহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে হেনস্থার শিকার শিক্ষক নবীগঞ্জ থানায় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের আওতায় মামলা দায়ের করেন। এবং। তিনির জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আরেকটি সাধারণ ডায়েরীও করেন।
শতসহস্র ছাত্র জনতার উপস্থিতিতে একজন শিক্ষককে জনসম্মুখে লাঞ্চিত করা হলো। এই নেক্কারজনক জনক ঘটনাটি ভাইরাল হয়ার কারণে স্কুল পরিচালনা কমিটির সহ শিক্ষকদের মধ্যে প্রশাসনিক দূর্বলতা প্রকাশিত হয়। এ নেক্কারজনক ঘটনার পাপকে ঢাকতে গিয়ে একজন সাংবাদিক সহ আরো কয়েকজনকে বলির পাটা বানিয়ে কতিপয় দূনীতিবাজরা লাঞ্চিত করা শিক্ষককে চাপের মুখে ফেলে থানায় মামলা দায়ের করায়। এই মামুলি বিষয়কে কেন্দ্র করে কিছু দূনীতিবাজরা মম সৃষ্টি করে জন সম্মূখে শিক্ষক লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি সারাদেশের শিক্ষক, শিক্ষিক, ছাত্র সমাজ সহ সুশিল সমাজের মানুষের বিবেককে নাড়া দেয়। এতে, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে অপরাধীরা অন্যদিকে বিষয়টির মোরঘুরানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। প্রকৃত সালিশ বিচারকরা তাদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রায় কার্যকর করে। এই বিষয়টি উপস্থিত সাংবাদিক সহ অন্যান্যরা প্রকাশ করে। আর এই ভিডিও প্রকাশকে কেন্দ্র করে মামলা ও হুলিয়া জারি করে সংবাদ মাধ্যমের গলা চেপে ধরার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের নিরাপত্তাহূনতায় ও মামলা মোকদ্দমায় আসামী করে চরম ভাবে হেনস্তা করছে। বর্তমান সময়ে দূনীতিবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাংবাদিকরা! এটাই তার উজ্জ্বল এক দৃষ্টান্ত। উক্ত মামলা ও হয়রানির ঘটনায় নবীগঞ্জের কর্মরত সাংবাদিকরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এবং সাংবাদিক এম এ আহমদ আজাদ সহ অন্যান্যদের উপর দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানান।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, ডিজিটাল সুরক্ষা অধ্যাদেশের দুইটি ধারায় মামলাটি গত শনিবার রাতে এফআইআর ভুক্ত হয়েছে। এবং আহমদ আজাদ মামলার প্রধান আসামী করা হয়। সে।ফেসইবুকে এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করার অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী শিক্ষক মারজান আহমেদ জানান, আমি মামলা মোকদ্দমা করতে চাইনি। পরিস্থিতি আমার অনুকুলে না থাকায় আমি একটি জিডি করতে চেয়েছিলাম। আমি।এখানের স্থানীয় বাসিন্দা নয়। আমি জেলা থেকে এসে এখানে চাকুরী করতেছি। আমাকে নানান চাপে ফেলে মামলাটি দায়ের করানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক নেতাদের ভাষ্যমতে ফেসইবুকে ভিডিও আপলোড করার দায়ে যদি সাংবাদিক আজাদ অপরাধ করে থাকেন, তাহলে যারা সামাজিক বিচারের নামে একজন শিক্ষককে প্রকাশ্যে শতশত মানুষ ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে যারা ঐ শিক্ষককে দাঁড় করিয়ে ক্ষমা চাওয়ানো হয়েছে তাহলে তারাও সমান অপরাধী। বিচার বা গ্রেফতার করতে হলে বিচারক যারা ছিলেন তাদের সবাইকেও তো আইনের আওতায় আনা দরকার।
বিষয়: #এক #করা #ক্ষমা #ঘটনা #চাওয়া #জন #নবীগঞ্জ #প্রকাশ #বিরুদ্ধে #মামলা #মুছলেখা #শিক্ষক #সম্মূখ #সহ #সাংবাদিক #স্টাম্প




মব সৃষ্টি করে গোপলার বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষককে লাঞ্চিত!
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে পূর্ব শত্রুর জের ধরে জুম্মার নামাজের সময় কুপিয়ে হত্যা! রাতেই ঘাতক রাসেল র্যাবের হাতে আটক
অবুঝ ১৫ মাসের শিশুকে প্রাণে হত্যার হামলা
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সদরঘাট এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে নবীগঞ্জের দুই মাদক ব্যবসায়ীকে ইয়াবা ও গাঁজা সহ গ্রেফতার।।
হবিগঞ্জের সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে দেশি মদ- মদের ওয়াস ১৫২ লিটার সহ গ্রেফতার-১
নবীগঞ্জে অনলাইন প্রেসক্লাবের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।
নবীগঞ্জে ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বিজয় উদযাপন কনসার্ট ও পুরস্কার বিতরণ
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে পুলিশের কাছ থেকে আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনায় র্যাবের হাতে ২৮ জন গ্রেফতার
নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল শান্তি পূর্ণভাবে সম্পন্ন। ৫ পদের বিপরীতে ১৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা
