

সোমবার ● ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » তথ্য-প্রযুক্তি » জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘরের উদ্যোগে ‘ব্লাড মুন’ উদযাপন
জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘরের উদ্যোগে ‘ব্লাড মুন’ উদযাপন
বজ্রকণ্ঠ, তথ্য-প্রযুক্তি ::
গত সপ্তাহে বেশ আলোচনায় ছিলো ব্লাড মুন। ব্যক্তিগত,সামাজিক, সরকারি, বেসরকারি সকল পর্যায়েই এ ব্লাড মুন দেখা নিয়ে ছিলো নানান আয়োজন। জেনে আসবো ব্লাড মুন নিয়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের উদ্যোগের কথা।
চন্দ্র গ্রহণ মূলত একটি মহাজাগতিক ঘটনা। নিজ নিজ কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবী যখন চাঁদ ও সূর্যের মাঝে চলে আসে তখনই মূলত চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। ঘুরতে ঘুরতে একই সরলরেখায় আসলে পৃথিবীর ছায়ার জন্য চাঁদে সূর্যের আলো পৌঁছায় না অর্থাৎ সাময়িক সময়ের জন্য চাঁদ দৃশ্যপট থেকে কিছু সময়ের জন্য আংশিক বা সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে যায়। চাঁদের এ আংশিক বা সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে যাওয়াকেই আমরা চন্দ্রগ্রহণ বা লুনার একলিপ্স বলি।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে ব্লাড মুন বেশ আলোচিত হচ্ছে। দেশ ও দেশের বাইরে নানারকম আয়োজনের মাধ্যমে মানুষ এ মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে। দেশে গত (রোববার, ৭ সেপ্টেম্বর) দেখা যাওয়া ব্লাড মুন দেখা নিয়ে আয়োজন ছিলো জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের উদ্যোগে।
আয়োজনের অংশ হিসেবে ছিলো জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক বিজ্ঞান বক্তৃতা ও কুইজ। পাশাপাশি জাদুঘরের প্রশাসনিক ভবনের ছাদে দুইটি টেলিস্কোপ দিয়ে সর্বসাধারণের জন্য এ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়।
সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ছুঁয়ে ছড়িয়ে যায়। সেই আলো আবার পৃথিবীতে আসার পথে অন্য সব রঙ হারিয়ে লাল রঙটি এসে আমাদের চোখে পৌঁছায়, কারণ এ রঙের আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি। আর এ কারণে চাঁদ অনেকটা রক্তিম দেখায় তাই একে ‘ব্লাড মুন’ বলা হয়।
সময়ের বিবর্তনে ও ভৌগলিক অবস্থানভেদে লুনার একলিপ্স বা চন্দ্রগ্রহণের পেছনে অনেক কল্পকাহিনী শোনা যায়। শোনা যায় নানান কুসংস্কারের কথা, শোনা যায় প্রেমিকের সঙ্গে তুলনা। এর বাইরেও কত শত মানুষ চন্দ্রাহত হয়ে চাঁদের মোহে জীবন কাটিয়ে দেয়। তবে একজন বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষের জন্য এটাই বাস্তব যে চন্দ্রগ্রহণ আদতে মহাবিশ্বের এক অদ্ভুত সুন্দর নৈমিত্তিক ঘটনা।
বিষয়: #উদযাপন #উদ্যোগ #ছবি #জাতীয় #জাদুঘর #বিজ্ঞান #ব্লাড #মুন #সংগৃহীত