শিরোনাম:
ঢাকা, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বজ্রকণ্ঠ "সময়ের সাহসী অনলাইন পত্রিকা", সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকা,রাজশাহী,নিউ ইয়র্ক,লন্ডন থেকে প্রকাশিত। লিখতে পারেন আপনিও।

Bojrokontho
শনিবার ● ৯ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ৯ মার্ডার মামলার আসামি উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রেখাছ মিয়া গ্রেফতার।।
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ৯ মার্ডার মামলার আসামি উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রেখাছ মিয়া গ্রেফতার।।
৪৪৩ বার পঠিত
শনিবার ● ৯ নভেম্বর ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ৯ মার্ডার মামলার আসামি উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রেখাছ মিয়া গ্রেফতার।।

আকিকুর রহমান রুমন:-
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ৯ মার্ডার মামলার আসামি উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রেখাছ মিয়া গ্রেফতার।।হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ৯ মার্ডার মামলার আসামি উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রেখাছ মিয়া গ্রেফতার।।

হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশের হাতে নাইন মার্ডার মামলার আসামি উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও সাবেক ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়াকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ।
৯ নভেম্বর (শনিবার) বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের যাত্রাপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামন থেকে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)কবির হোসেনের নির্দেশে বেলা আড়াইটার দিকে ৯ মার্ডার মামলার আইও এসআই জাহাঙ্গীর মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ১০২নং আসামি বানিয়াচং উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও সাবেক ৪ নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়াকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়।
গ্রেফতারের সাথে সাথে এর সত্যতা নিশ্চিত করতে মামলার আইও এসআই জাহাঙ্গীর মিয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এই মামলায় এ পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর মধ্যে ৫ জন হবিগঞ্জ কারাগারে রয়েছেন।
মামলার প্রয়োজনে রিমান্ডের দরকার মনে করলে রেখাছ মিয়ার জন্যও আবেদন করতে পারেন তিনি।
তবে এখন তিনি এর বেশি বলতে পারবেননা বলেও জানান।
সময় করে আরও তথ্য লাগলে তিনি দিবেন।
গ্রেফতারকৃত রেখাছ মিয়া যাত্রা পাশা মহল্লার মৃত লাল মিয়ার পুত্র।
উল্যেখ্যে,গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী এক দফা ছাত্র আন্দোলনকারীদের সাথে থানা পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে।
এক পর্যায়ে সংঘর্ষটি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের নিভৃত করতে গুলি চালায়।
এতে শিশু বাচ্চাসহ ৮জনের প্রানহানী ঘটে এবং শতাধিক এর উপরে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের হামলায় এক সাংবাদিক ও এক পুলিশ সদস্য’র প্রানহানী ঘটে।
এই পুলিশ আন্দোলনকারীর সংঘর্ষে ১০জনের প্রানহানীর ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও আন্দোলনকারীগন থানা ভাংচুর লুটপাট ও আগুন দিয়ে সবকিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেন।
এবং থানার সকল পুলিশ সদস্যদের দীর্ঘ ১৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।
অবশেষে ১৩ ঘন্টা পর সেনাবাহিনী অবরুদ্ধ থানার ছাঁদের উপর আশ্রয় নেওয়া সকল পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেন।
কিন্তু এসময় আন্দোলনকারীগন এক পুলিশ সদস্যর উপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
নিহত পুলিশ সদস্য ছিলেন সন্তুশ দাস চৌধুরী।
এর পূর্বে দুপুরের দিকে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও সেনাবাহিনীর সামনে আন্দোলনকারীগন সুহেল আখঞ্জি নামের এক সাংবাদিককে গণধোলাইয়ের মাধ্যমে হত্যা করা হয়।
এদিকে এতোসব প্রানহানীর ঘটনার ১৬ দিন পর ২২ আগষ্ট পুলিশের গুলিতে নিহত শুরু হাসানের পিতা ছানু মিয়া বাদী হয়ে নিহত ৮ পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে আওয়ামীলীগের সাবেক দুই এমপি,সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যান,ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ১৬০ জনকে নামীয় আসামি দিয়ে এবং অঞ্জাত ৩০০ জনসহ মোট ৪৬০ জনকে আসামি করে একটি ৯ মার্ডারের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটির আইও হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় এসআই জাহাঙ্গীর মিয়াকে।
তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ১৬০ জন নামীয় আসামীদের মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার নিয়ে এনিয়ে মোট ৬ জন গ্রেফতার করা হয়েছে এই মামলায়।
মামলার আইও ১৭ অক্টোবর সংবাদকর্মী রায়হান উদ্দিন সুমন ও ১৯ অক্টোবর আওয়ামীলীগ নেতা আরজু মিয়াকে গ্রেফতার করেন।
পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করেন তিনি।
এছাড়া এই মামলার আরও ৩ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এর মধ্যে মামলার ২ আসামিকে ঢাকা উত্তরা র‍্যাব-১ এর অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ১০ অক্টোবর র‍্যাব-১ এর অভিযানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মক্রমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আহাদ মিয়া গ্রেফতার হন।
১৭ অক্টোবর র‍্যাব-১ এর অভিযানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজান মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।

অন্যদিকে ১৯ অক্টোবর হবিগঞ্জ সদর থানার একটি হত্যা মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন পুকড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আরজু মিয়া।
পরে তাকেও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
কিন্তু যুবলীগ সভাপতি আফরুজু মিয়াকে বানিয়াচংয়ের নাইন মার্ডার মামলায় শোন এরেস্ট দেখানো হয়েছে।

বর্তমানে রেখাছ মিয়াকে গ্রেফতার নিয়ে বর্তমানে ৬ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর মধ্যে ৫জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।



বিষয়: #  #  #  #


--- ---

আর্কাইভ

সিলেট শহরের সকল হবিগঞ্জী --- --- --- --- --- --- ---

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
ডেঙ্গুতে আরও ৪ মৃত্যু, শনাক্ত সহস্রাধিক
পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার আরও ১৫৭০
নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে থাকবে ১৩ আনসার সদস্য: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সিরাজগঞ্জ কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
ঐকমত্য কমিশনের শেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত, সুপারিশ পেশ মঙ্গলবার
দুই দশক পর জেইসি বৈঠকে বসল বাংলাদেশ-পাকিস্তান
শাপলা নয়, এনসিপিকে অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে ইসি
ভৈরবকে জেলা দাবিতে রেলপথ অবরোধ, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ
নুরের গণঅধিকার পরিষদ ছাড়ল ৫৯ নেতা
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৪০