শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বজ্রকণ্ঠ "সময়ের সাহসী অনলাইন পত্রিকা", সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকা,রাজশাহী,নিউ ইয়র্ক,লন্ডন থেকে প্রকাশিত। লিখতে পারেন আপনিও।

Bojrokontho
শনিবার ● ১৭ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » ভিডিও » প্রাথমিত তদন্তের অভিযোগের সত্যতা মিলছে স্কুলে না গিয়েও ২১ মাস ধরে বেতন তুলছেন এক শিক্ষিকা
প্রথম পাতা » ভিডিও » প্রাথমিত তদন্তের অভিযোগের সত্যতা মিলছে স্কুলে না গিয়েও ২১ মাস ধরে বেতন তুলছেন এক শিক্ষিকা
৩৯৬ বার পঠিত
শনিবার ● ১৭ আগস্ট ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

প্রাথমিত তদন্তের অভিযোগের সত্যতা মিলছে স্কুলে না গিয়েও ২১ মাস ধরে বেতন তুলছেন এক শিক্ষিকা

আনোয়ার হোসেন রনি, ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ::
প্রাথমিত তদন্তের অভিযোগের সত্যতা মিলছে স্কুলে না গিয়েও ২১ মাস ধরে বেতন তুলছেন এক শিক্ষিকা
ছাতকে প্রায় ২১ মাস ধরে বিদ্যালয়ে না গিয়েও ঘরে বসে নিয়মিত মাসিক বেতন-ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ইসলাম পুর ইউপির জামুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক সহকারী শিক্ষিকা অনুপমা দাশ লিজার বিরুদ্ধে। এ বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক সহকারী শিক্ষিকা অনুপমা দাশ লিজার বিরুদ্ধে রয়েছে দুনীতি অনিয়ম,স্বজনপ্রীতিসহ দীর্য ২১ মাস ধরেই বিদ্যালয়ে না গিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতাকে ম্যানেজ করে ও তার নিজ বাসা বসে প্রতিমাসে নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করে নিচ্ছেন। এ অনিয়মের ঘটনায় উপজেলাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হচ্ছে।
গত ১৫ আগষ্ট বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ রহমান বাদী হয়ে সহকারি শিক্ষিকা অনুপমা দাশ লিজার বিরুদ্ধে সিলেট প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগীয় পরিচালক,সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার.ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায় সহকারি শিক্ষিকা অনুপমা দাশ লিজা ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাস ২য় মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করেছেন। তার বাচ্চার জন্ম হয়েছে ২০২১ সালের ২৮ মার্চ। সেই অনুযায়ী তার বাচ্চার জন্ম হয় ছুটি নেওয়ার প্রায় ৩ মাস পুর্বে। এর পর তিনি ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৫ মার্চ পর্যন্ত দুই মাস পাঁচ দিন বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে ও ২০২২ সালের ৬ মার্চ থেকে থেকে ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক টানা এক বছর ৯ মাস ৫ দিন তার নিজ কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন শিক্ষিকা লিজা। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারী থেকে একই বছরের গত ২৩ মে পর্যন্ত পুনরায় ৫ মাস ২৩দিন উপস্থিত হলেও একই বছরের ২৬ মে থেকে অদ্যাবধি তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় প্রধান প্রতিমাসে এম আর প্রতিবেদনে উপজেলার শিক্ষা কর্মকতা বিভিন্ন শিক্ষক তথ্যে বিদ্যমান আছে। যে কারণে লেখাপড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিদ্যালয়ের কয়েকশত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষকের বদলি জনিত কারণে ও শিক্ষক সংকটে পড়েছে বিদ্যালয়টি। শিক্ষিকা অনুপম দাস লিজা স্কুলে না গিয়ে উপজেলার দুনীতিবাজ সাবেক শিক্ষা কর্মকতা মাসুম মিয়া ও বতমান দুনীতিবাজ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতা রফিজ মিয়াকে ম্যানেজ করে বেতন ভাতা তুলছেন শিক্ষিকা।
এলাকাবাসী জানায়, সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক ও তার ব্যক্তিগত সহকারি মুশাহিদ আলী, উপজেলা যুবলীগ,ছাত্রলীগ,স্বেচ্চাসেবক লীগ ও আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা, শিক্ষক নেতা প্রনব দাশ মিটু ও আনোয়ার হোসেন সোহাগের শেল্টারের থাকার সুবাদে সাবেক সরকারী দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে না গিয়ে বাসা বাড়ি বসে প্রতি মাসের বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন । এ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবাসি জানায়, অনুপম দাস লিজা তার মনগড়া ছুটি ও ইচ্ছা মতো চলাফেরা করছেন। তাকে কেউ বাঁধা দিলে তার ওপর বিভিন্ন মিথ্যা নানা অভিযোগ দিয়ে শিক্ষা কর্মকতার মাধ্যমে হয়রানি করাতো। যে কারণে এসব বিষয়ে কেউ এতদিন মুখ খুলতে সাহস পায়নি। এ শিক্ষিকার নানা অনিয়ম বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার ঘটনাটি ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবাসি একাধিকবার জেলা -উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতাকে অবগত করলেও সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কমকতা মাসুম মিয়া ও বতমান শিক্ষা কর্মকতা রফিজ মিয়া উল্টা অভিযোগকারীদের দু,শিক্ষা কর্মকতা শিক্ষিকা পক্ষ নিয়ে হয়রানি করতো বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষিকা অনুপম দাস লিজাকে তার ব্যক্তিগত মোবাইল রিসিভ করে সংবাদ কমীর পরিচয় পেয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। এব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ রহমান, এসব ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,শিক্ষা কর্মকতা ম্যানেজ করে সুনামগঞ্জ জেলার শিক্ষক নেতা প্রনব দাশ মিটু ও আনোয়ার হোসেন সোহাগ সঙ্গে সম্পক থাকায় বিদ্যালয়ে না এসে বেতন ভাতা নিয়মিত উত্তোলন করছেন শিক্ষিকা। এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিজ মিয়ার মোবাইল নম্বারের একাধিকবার রিং করে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নিবাহী কমকতা গোলাম মুস্তফা মুন্না,শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন শিক্ষিকা বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে প্রাথমিত তদন্তের অভিযোগের সত্যতা মিলছে। এ দুনীতির সঙ্গে সরাসরি শিক্ষা কর্মকতারা জড়িত রয়েছে।



বিষয়: #  #  #  #  #


--- ---

আর্কাইভ

সিলেট শহরের সকল হবিগঞ্জী --- --- --- --- --- --- ---

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই, তফসিল ডিসেম্বরে: ইসি আনোয়ারুল
শেখ হাসিনাসহ ২৬১ আসামিকে পলাতক দেখিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সিআইডি
সিলেটে বাসার ছাদে মিলল আ.লীগ নেতার রক্তাক্ত মরদেহ
গণপিটুনিতে হত্যা চলছেই, বেড়েছে রাজনৈতিক সহিংসতা ও কারা হেফাজতে মৃত্যু
‘শাপলা কলি’ নয় ‘শাপলা’ চায় এনসিপি
ইসির প্রতীক তালিকায় যুক্ত হলো ‘শাপলা কলি’
ডেঙ্গুতে আরও ৪ মৃত্যু, শনাক্ত সহস্রাধিক
পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার আরও ১৫৭০
নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে থাকবে ১৩ আনসার সদস্য: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সিরাজগঞ্জ কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু