বৃহস্পতিবার ● ১৩ নভেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রবাসে » ইউনুসের শাসনামলে বাংলাদেশে বেড়েছে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড আল জাজিরার প্রতিবেদন
ইউনুসের শাসনামলে বাংলাদেশে বেড়েছে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড আল জাজিরার প্রতিবেদন
মতিয়ার চৌধুরীঃ
![]()
আজ ১৩ নভেম্বর ২০২৫ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা ড. ইউনুসের শাসনামলে বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড, মানবাধিকার লংঘন ও আইনশৃঙ্খরার অবনতি ইত্যাদি নিয়ে “নতুন শাসক পুরনো হত্যাকারী” নামে একটি প্রতিবেদন প্রচার করেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশে হাসিনা বাস্তবতার একটি উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরেছে। ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের এক বছরেরও বেশি সময় পর, নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড. ধর্শন ও গুম বন্ধে ব্যর্থতার জন্য ক্রমবর্ধমান সমালোচনার মুখে পড়েছে।
আল জাজিরা মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর তথ্য উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তত ৪০ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন রাজনৈতিক কর্মী, বিনা পরোয়ানায় আটক ব্যক্তি এবং সন্দেহভাজন অপরাধী—যাদের অনেকেই গোলাগুলিতে নিহত, সরকারী হেফাজতে নির্যাতিত বা পিটিয়ে হত্যাকরা হয়েছে। ধর্মীয় উগ্রবাদের উত্থানও লক্ষনীয়।
উল্লেখযোগ্য বিষয় শুধু সহিংসতার ধারাবাহিকতা নয়, বরং প্রাতিষ্ঠানিক স্থবিরতা যা এই সহিংসতাকে সম্ভব করে তোলে। দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় অনুমোদিত মৃত্যুদল হিসেবে অভিযুক্ত র্যাব (র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন) এখনও সক্রিয়। বিচার বিভাগ এখনও কার্যকর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারেনি। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে প্রতিদিনই সংখ্যালঘু সহ নীরিহ নাগরিকদের ওপর হামলা বা চাঁদাবাজির সময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করে। দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারছেনা। বিচার বিভাগ সহ সরকারী দপ্তর গুলো নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে সরকার সমর্ত্রিতদের দ্বারা।
এই ব্যর্থতা আরও বেদনাদায়ক, কারণ ইউনুসের নেতৃত্ব নৈতিকতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। তাঁর নিয়োগ ছিল স্বৈরতন্ত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক পুনর্জাগরণের ইঙ্গিত। মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটনের সতর্কবাণী, “আমরা বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়তে দেখছি, যা আমাদের প্রত্যাশিত ছিল না।”
এর প্রভাব আরো গভীর। যারা হাসিনার পতনের জন্য জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছিলেন, তাদের জন্য রাষ্ট্রীয় সহিংসতার অব্যাহত উপস্থিতি এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা। ছাত্র মায়দুল হাসানের মতো ভুক্তভোগীদের ভাইরাল সাক্ষ্য—যিনি পুলিশের সামনে ছিনতাই ও অপমানের শিকার হন—জনআস্থার ব্যাপক ক্ষয়কে প্রতিফলিত করে।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে, অন্তর্বর্তী সরকার নৈতিক জবাবদিহির মুখোমুখি। সংস্কার যেন শুধু বাহ্যিক না হয়। তা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এনিয়ে দেশেটির রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে দূরত্ব তৈরী হয়েছে। দেশের সাধারন মানুষের মাঝে শংকা রয়েছে ড. ইউনুসের সরকারের অধীন আদৌ নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। আওয়ামীলীগ সহ দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হয়েছে।
র্যাবকে বিলুপ্ত বা আমূল সংস্কার • গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনকে কার্যকর ক্ষমতা প্রদান রাষ্ট্রীয় সহিংসতার দায়ীদের বিচার নিশ্চিত করা • আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগের প্রতি জনআস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা • এই পদক্ষেপগুলো ছাড়া, গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি শুধু কথার ফুলঝুরি হয়ে থাকবে।
বিষয়: #আল #ইউনুস #জাজিরা #প্রতিবেদন #বাংলাদেশ #বিচারবহির্ভূত #বেড়েছে #শাসনামল




একুশে টিভির সাংবাদিক বিকুল চক্রবর্তীর বৃটেনের কার্ডিফ শহীদ মিনার পরিদর্শন
আজকের শতাব্দী‘র বিশেষ সংখ্যা ড. আনসার আহমেদ উল্লাহ ও কাব্য সংকলন বিলেতে কবিতা লিখার আগে পাঠ উম্মোচন
আল্লামা মুফতী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলীর বৃটেনের কার্ডিফে দাওয়াতি সফর সফল ভাবে সম্পন্ন
লন্ডনে সাবেক এমপি জননেতা আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী-কে বিশাল সংবর্ধনা প্রদান
বিশ্বে আলো ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশের ড. ওয়ালী তাসার উদ্দিন এমবিই,ডিবিএ,জেপি
যুক্তরাজ্যের কার্ডিফে এক খ্রিস্টান নারীর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ
