

সোমবার ● ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হত্যা মামলার পলাতক আসামীকে নিয়ে সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদী বালি মহালের সীমানা নির্ধারণ করলেন তাহিরপুরের এসিল্যান্ড
হত্যা মামলার পলাতক আসামীকে নিয়ে সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদী বালি মহালের সীমানা নির্ধারণ করলেন তাহিরপুরের এসিল্যান্ড
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা :
হত্যা মামলার পলাতক আসামি রুবেল কে সাথে নিয়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের যাদুকাটা নদী বালি মহাল-১ এর সীমানা নির্ধারণ করলেন তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরুখ আলম শান্তনু। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যাদুকাটা নদীর উৎসমুখ লাউড়েরগড় সীমান্ত এলাকার বারেকটিলায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং ইজারাদার ও তাদের প্রতিনিধিদের নিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহিরপুর মোঃ শাহরুখ আলম শান্তনু হত্যা মামলার পলাতক আসামি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গণযোগাযোগ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক শাহ রুবেল আহমেদ কে সাথে নিয়ে যাদুকাটা নদী বালু মহালের সীমানা নির্ধারণ করে দিচ্ছেন এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার খবর প্রচারিত হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বিএনপি,এনসিপি ও জামাত নেতৃবৃন্দ এবং পরিবেশ আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর ২টি বালুমহাল নিয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলমান। চুড়ান্ত শুনানির জন্য আগামী ২৬/১০/২০২৫ তারিখ নির্ধারণ করা আছে এবং ইজারা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখতে উচ্চ আদালতের পক্ষ হতে জেলা প্রশাসনকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে । তারপরও জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ হত্যা মামলার পলাতক আসামি ছাত্র লীগের ক্যাডার শাহ রুবেল আহমেদের নামে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে ইতিমধ্যে তাকে যাদুকাটা নদী বালিমহালের দখলদেহী সমজিয়ে দিয়েছেন। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহিরপুর মোঃ শাহরুখ আলম শান্তনু হত্যা মামলার পলাতক আসামি ছাত্র লীগের ক্যাডার শাহ রুবেল আহমেদ কে সাথে নিয়ে যাদুকাটা বালু মহালের সীমানা নির্ধারণ করে আইন লঙ্গন করেছেন।
এ বিষয়ে রীট পিটিশনার খোরশেদ আলম বলেন,মহামান্য সুপ্রিম হাইকোর্টে আগামী ২৬ অক্টোবর শুনানি হওয়ার আগ পর্যন্ত বর্ণিত দুটি বালিমহালের সকল কার্যক্রম আইনত অবৈধ । কারণ বিষয়টা বিচারাধীন। জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ ব্যক্তিগত লাভের জন্য কোন অবৈধ সিদ্ধান্ত নিলে তার গায়ে বর্তাবে। মামলার আসামী শাহ রুবেল আহমেদ কে সাথে নিয়ে বালুমহালের সীমানা নির্ধারনে কিভাবে গেলেন, জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরুখ আলম শান্তনু বলেন,জেলা প্রশাসন হতে যাদুকাটা নদী বালি মহাল-১ ও ২ এর ইজারাদার যথাক্রমে নাসির আহমেদ ও শাহ রুবেলকে দখল পজিশন সমজিয়ে দেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে। আমরা সেই আদেশ পালন করেছি মাত্র। এখানে কে হত্যা মামলার আসামী তা আমি জানিনা। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চেয়ে ইজারাদার শাহ রুবেল আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি।
উল্লেখ্য ঢাকার গুলশান থানার হত্যা মামলা নং ২৮ তাং ২৫ এপ্রিল ২০২৫ইং। ঐ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১নং ও শাহ রুবেল আহমদকে ৮১ নং আসামী করা হয়েছে।
বিষয়: #আসামী #পলাতক #মামলা #যাদুকাটা #সুনামগঞ্জ #হত্যা