

বৃহস্পতিবার ● ২১ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সুনামগঞ্জ-৫ আসন: মনোনয়ন নিয়ে মিলন ও মিজানমুখোমুখি!
সুনামগঞ্জ-৫ আসন: মনোনয়ন নিয়ে মিলন ও মিজানমুখোমুখি!
ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
আগামী ত্রয়োদশ (১৩তম) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রূপরেখা ও সুনির্দিষ্ট দিন-ক্ষণ ঘোষণা না হলেও সুনামগঞ্জ ৫ আসনে ছাতক দোয়ারাবাজারে সভা-সমাবেশ ও গণংযোগ শুরু করেছেন বিএনপি,জাপা,জামায়াত,খেলাফত মজলিস, মাঠে নেই,ইসলামি আন্দোলন, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনকে ঘিরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে নতুন সমীকরণ। এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন বিএনপির সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান। দুজনের বিরুদ্ধেই রয়েছে একাধিক মামলা, আর এ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। কেন্দ্রিয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক,সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের বিরুদ্ধে বর্তমানে ১৬টি মামলা চলছে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থেকেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজপথের আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্রসৈনিক। সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তিনি দলে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন।সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন শুধু সাংগঠনিক রাজনীতিতেই নয়, গণমাধ্যমেও সক্রিয়। বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে তিনি নিয়মিত অংশগ্রহণ করে সাবেক আওয়ামীলীগ সরকারের সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছেন। তার স্পষ্টভাষী সমালোচনামূলক বক্তব্যের কারণে তিনি দলে ও কর্মীদের মাঝে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
ছাতক পৌর বিএনপির যুন্ম আহবায়ক সামছুর রহমান বাবুল,উত্তর খুরমা বিএনপি আহবায়ক আব্দুল আজিজ,শ্রমিক দলের নেতা চেরাগ আলী,জেলা শাখার সেচ্চাসেবক দলের সদস্য বাহার উদ্দিন শাহী,দিলোয়ার হোসেন,যুবদলের জহির মিয়া,আব্দুস সাক্তারসহ সমর্থকরা দাবি করেন— রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, সাহসী ভূমিকা এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতা মিলনকে এই আসনে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরছে।সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, তরুণ সমাজকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা এবং উন্নয়নমুখী চিন্তাভাবনা।
অন্যদিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধেও তিনটি মামলা রয়েছে। তবে স্থানীয় পর্যায়ে তৃণমূলের সাথে নিবিড় যোগাযোগ এবং মানুষের দুঃসময় পাশে থাকার জন্য তিনি পরিচিত। দীর্ঘদিন উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি স্থানীয় রাজনীতিতে নিজের অবস্থান শক্ত করেছেন। এব্যাপারে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি সদস্য সুনামগঞ্জ জেলা জজকোটের এপিপি আব্দুল আহাদ ও সেচ্চাসেবক দলের উপজেলা নেতা মাসুক আহমদসহ তার সমর্থকরা দাবি করেন, নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব হিসেবে মিজানই হতে পারেন এ আসনের উপযুক্ত প্রার্থী।
সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা এবং মিজানের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা থাকলেও উভয় পক্ষই নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মামলা থাকা বাংলাদেশের রাজনীতিতে খুব নতুন কিছু নয়। বরং অনেক সময় এসব মামলাই নেতাদের “আন্দোলনের সৈনিক” হিসেবে পরিচিতি দেয়। সাবেক এমপি মিলনের ক্ষেত্রে বিষয়টি স্পষ্ট— আন্দোলন, মামলা ও রাজনৈতিক ত্যাগ তাকে সমর্থকদের চোখে আরও দৃঢ় করেছে। ফলে তৃণমূল পর্যায়ে তারও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে সাবেক এমপি মিলন ও মিজানের মুখোমুখি অবস্থান স্থানীয় রাজনীতিকে সরগরম করে তুলেছে।সাবেক এমপি মিলনের দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে অবস্থান ও টকশোতে সরব উপস্থিতি তাকে সামনে এগিয়ে রাখছে। অন্যদিকে, মিজানের স্থানীয় ভিত্তি, তৃণমূল সংযোগ ও তরুণ প্রজন্মের প্রতি আকর্ষণ তাকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলেছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি কোন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে— তা নিয়েই এখন মূল আলোচনায় ছাতক-দোয়ারাবাজারে। তবে ভোটারদের প্রত্যাশা, যেই প্রার্থীই আসুক না কেন, তিনি যেন জনগণের দুঃখ-দুর্দশার সমাধান, উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির পক্ষে কার্যকর ভূমিকা রাখেন। এ আসনে জামায়াতে প্রাথী হয়েছেন সাবেক পিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল সালাম আল মাদানী,খেলাফত মজলিসের প্রাথী হাফিজ মাওলানা আব্দুল কাদির ও জাপা প্রাথীর জাহাঙ্গীর আলম।এদের নামে ব্যানার পোষ্টার বিলবোডে ব্যাপক প্রচার ও প্রচারনা ও গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে।
বিষয়: #আসন #মনোনয়ন #মিজান #মিলন #মুখোমুখি #সুনামগঞ্জ