

বৃহস্পতিবার ● ২২ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মাসের ভিতরে জামিনে বের হয়ে আসছে চিহ্নিতরা!
মাসের ভিতরে জামিনে বের হয়ে আসছে চিহ্নিতরা!
” হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ডিএনসি’র অভিযানে ৯০০পিছ ইয়াবা ও গাঁজাসহ ব্যবসায়ী গ্রেফতার।।
মাদকে সয়লাব পুরো উপজেলা।অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি।।”
আকিকুর রহমান রুমন:-
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ১৩নং মন্দরী ইউনিয়ন থেকে(ডিএনসি’র) মাদকবিরোধী অভিযানে ৯০০পিছ মরণ নেশা মাদক(ইয়াবা)ও ৫০০গ্রাম গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছেন হবিগঞ্জ মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর(ডিএনসি)।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলো উপজেলার মন্দরী গ্রামের মৃত হিরণ মিয়ার পুত্র মোঃ মনফর মিয়া(৪৮)।
সূত্রে জানাযায়, ২১মে(বুধবার) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হবিগঞ্জের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিদর্শক মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একদল সৈনিক নিয়ে দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে মন্দরী গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ব্যবসায়ীকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তার কাছ থেকে কেশ নগদ ৪১হাজার ৪৫টাকা জব্দ করা হয়েছে।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী মনফর মিয়ার বিরুদ্ধে উপ-পরিদর্শক মোঃ রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য,বানিয়াচং উপজেলা সদরের বেশ কয়েকজন চিহ্নিত ইয়াবা সম্রাট ও ব্যবসায়ীদেরকে ইয়াবাসহ বানিয়াচং থানা পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেন।
অথচ এসব ব্যবসায়ীদের মধ্যে কারও কারও বিরুদ্ধে ৫/৭/এমনকি ১৮টার মতো মাদকসহ চুরি ছিনতাই এর মামলা রয়েছে।
এতোসব মামলা থাকার পরও বানিয়াচং উপজেলা সদরের ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দত্তপাড়া মহল্লার আব্দুল হক মিয়ার পুত্র সাইদুল হক ৩৯২পিছ ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়ে মাস খানেক পর পরই জামিনে বেরিয়ে আসে।
একই ঠিকানার ঠাকুর বাড়ির মুসা শতাধিক এর উপরে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়ে মাসের ভিতরে জামিনে বেরিয়ে আসে।
এছাড়াও তাম্বুলীটুলার কাঠ মেস্তরী মনির,নন্দীপাড়ার মিশুক চালক আলফাজসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ইয়াবাসহ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেন তাদেরকে।
কিন্তু গত বছরের ৫ আগষ্টের পর থেকে এসব মাদক ব্যবসায়ীরা মাদকসহ গ্রেফতার হলেও মাস খানেকের ভিতরে তারা জামিনে বেরিয়ে আসে।
তারপর শুরু হয় তাদের রমরমা ব্যবসা।
আর দিন দিন যেমন বাড়ছে ব্যবসায়ীর সংখ্যা,তেমনি বাড়ছে সেবনকারীর সংখ্যাও।
বর্তমানে পুরো উপজেলা মাদকে যেমন সয়লাবে পরিণত হয়েছে।
তেমনি যুব সমাজও দিন দিন ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও এসব মাদকের টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে চুরি,ছিনতাই,
ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডও বেড়েই চলেছে।
এসব মাদক ও অপরাধ কর্মকান্ডের ঘটনা নিয়ে প্রায় গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হচ্ছে।
তারপরও মাদকের বড় বড় গডফাদার ও অপরাধীরা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে ঐ থেকে।
পুরো বানিয়াচং উপজেলাবাসীকে মাদক ও অপরাধ প্রবণতার হাত থেকে বাঁচাতে হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়ন,ওয়ার্ডের জনগণকে এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং তাদেরকে ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিলেই হয়তো কিছুটা হলেও কমতে পারে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
বিষয়: #মাসের ভিতরে জামিনে বের হয়ে আসছে চিহ্নিতরা!