শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বজ্রকণ্ঠ "সময়ের সাহসী অনলাইন পত্রিকা", সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকা,রাজশাহী,নিউ ইয়র্ক,লন্ডন থেকে প্রকাশিত। লিখতে পারেন আপনিও।

Bojrokontho
রবিবার ● ৩০ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » আইন আদালত » বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়ের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ প্রধান বিচারপতির
প্রথম পাতা » আইন আদালত » বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়ের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ প্রধান বিচারপতির
১৭৬ বার পঠিত
রবিবার ● ৩০ মার্চ ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়ের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ প্রধান বিচারপতির

বজ্রকণ্ঠ ডেস্ক::
বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়ের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ প্রধান বিচারপতির

সুপ্রিম কোর্টের অধীনেই বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় হচ্ছে। যা সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় নামে অভিহিত হবে। এই সচিবালয়ের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ থাকবে প্রধান বিচারপতির হাতে। তবে সরকারের কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা দপ্তরের আওতাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে না সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়। সচিবালয়ের জন্য বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় অনুমোদনে প্রধান বিচারপতিকে চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে এ সংক্রান্ত খসড়া প্রণয়ন করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রণীত এই খসড়ার ওপর এরইমধ্যে মতামত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। ঐ মতামত পাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫ নামে খসড়াটি চূড়ান্ত করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

খসড়াটি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পরই রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অধ্যাদেশ জারি হবে। তবে বিদ্যমান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে অধ্যাদেশ জারির প্রক্রিয়া নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলে আইন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র বলছে, মন্ত্রণালয় মনে করছে বিদ্যমান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বহাল থাকাবস্থায় বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার আইন করা হলে তা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে। এমন পরিস্থিতি এড়াতেই সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদের সংশোধন বা সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক বাতিল হলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে মন্ত্রণালয়।

তবে আইনজীবীরা বলছেন, ১১৬ অনুচ্ছেদ বহাল থাকলেও বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় অধ্যাদেশ জারি করতে আইনগত বাধা নাই। এ প্রসঙ্গে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. মাসদার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ১১৬ অনুচ্ছেদ বিচার পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনোক্রমেই বাধা নয়। কারণ সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদের আলোকেই এই সচিবালয় প্রতিষ্ঠার গেজেট জারি হবে।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জৌতির্ময় বড়ুয়া জাগো নিউজকে বলেন, আপাত দৃষ্টিতে কিছুটা পার্থক্য মনে হলেও সংবিধানের মূলমন্ত্র বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকেই বাস্তবায়িত করবে। এটা সংবিধানের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংঘর্ষিক হবে না।

খসড়ায় যা আছে

খসড়ায় বলা হয়েছে, দেশের বিচার প্রশাসন পরিচালনায় সুপ্রিম কোর্টকে সহায়তা প্রদান করার লক্ষ্যে অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনাল এর তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সকল সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়। এই সচিবালয়ের প্রশাসনিক প্রধান হবেন সচিব। যিনি বিচার কর্ম বিভাগে নিযুক্ত অধস্তন আদালত বা ট্রাইব্যুনালের বিচারক বা বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের কোনো সদস্য। তিনি সরকারের সিনিয়র সচিবের সমমর্যাদা ও সুবিধাদি ভোগ করবেন। অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগ, পদায়ন, বদলি, শৃঙ্খলা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় ছাড়াও হাইকোর্ট বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন সকল আদালত বা ট্রাইব্যুনাল এর চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলি নির্ধারণ করবে। সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন সাপেক্ষে রাজস্ব আদালতসমূহ ব্যতীত হাইকোর্ট বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন দেশের সকল অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা, এখতিয়ার, ক্ষমতা ও গঠন নির্ধারণ করবে। অধস্তন আদালত ও সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের বাজেট ব্যবস্থাপনা, অধস্তন আদালত এবং বিচারকগণের নিরাপত্তা তত্ত্বাবধান করবে বলে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে ১১৬ অনুচ্ছেদের রিট নিষ্পত্তির অপেক্ষায়

আদি সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন অ্যাডভোকেট মো. শিশির মনির। গত বছর দায়েরকৃত ঐ রিটের ওপর রুল জারি করে হাইকোর্ট। রুলে বিদ্যমান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। জারিকৃত রুলটি এখন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এই রিটটি যদি হাইকোর্ট আদি সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ পুনর্বহালের নির্দেশ দেয় তাহলে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করতে আইনগত যে বাধা তা দূর হবে জানান আইনজীবীরা। আদি সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘বিচার কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল-নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃঙ্খলা বিধান সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত থাকিবে।’

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘বিচার কর্ম বিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনে রত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল -নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃঙ্খলা বিধান {রাষ্ট্রপতির} ওপর ন্যস্ত থাকিবে।’ সংবিধানের এই অনুচ্ছেদের ফলে বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের পদায়ন, বদলি, পদোন্নতি, ছুটি, শৃঙ্খলা ইত্যাদি নির্বাহী বিভাগের আওতায় থেকে গেছে। এসব কাজ রাষ্ট্রপতির পক্ষে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ কর্তৃক প্রযুক্ত হয়। একইভাবে অধস্তন আদালতের বিচারকদের ওপর সুপ্রিম কোর্ট এবং আইন মন্ত্রণালয় এই দুটি কর্তৃপক্ষের যুগপৎ নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যা দ্বৈত শাসনের অংশ হিসেবে বিচার কর্ম বিভাগের সকল বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় তথা সরকারের ওপর নির্ভরশীল।

এদিকে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে বিচার বিভাগে যে দ্বৈত শাসন চলে আসছে তার অবসান হওয়া দরকার বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। গত ২১ সেপ্টেম্বর দেওয়া অভিভাষণে তিনি বলেন, সংবিধানের ১১৬ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে অধস্তন আদালতের বিচারকগণ বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবেন। কিন্তু বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা ততদিন পর্যন্ত নিশ্চিত হবে না, যতদিন না বিচার বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান দ্বৈতশাসন ব্যবস্থার অবসান না হয়। অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ের যৌথ এখতিয়ার সম্পূর্ণরূপে বিলোপ করে জরুরি ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

এ বিষয়ে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে স্পষ্টত সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা পরামর্শমূলক। সুতরাং বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের মূলনীতি বাস্তবায়ন করতে হলে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শকের ভূমিকার পরিবর্তে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নিশ্চিত করার জন্য সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনতে হবে।



বিষয়: #  #  #  #  #  #  #  #


--- ---

আইন আদালত এর আরও খবর

পর্নোগ্রাফি মামলায় গ্রেফতার যুগলের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন পর্নোগ্রাফি মামলায় গ্রেফতার যুগলের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমান শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমান
দৌলতপুরে মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত দৌলতপুরে মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৫২ কর্মকর্তা বদলি পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৫২ কর্মকর্তা বদলি
ছাতকে পরিবেশ রক্ষায় কঠোর অভিযান, ড্রেজার মেশিন ও বাল্কহেড জব্দ ছাতকে পরিবেশ রক্ষায় কঠোর অভিযান, ড্রেজার মেশিন ও বাল্কহেড জব্দ
চাঁদপুরে কোস্টগার্ডের আয়োজনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায়  গণশুনানি অনুষ্ঠিত চাঁদপুরে কোস্টগার্ডের আয়োজনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় গণশুনানি অনুষ্ঠিত
নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে কোটি টাকার অবৈধ জাল জব্দ নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে কোটি টাকার অবৈধ জাল জব্দ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে বিবৃতি রিকশাচালককে কীসের ভিত্তিতে গ্রেফতার, ধানমন্ডি থানার ওসিকে তলব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে বিবৃতি রিকশাচালককে কীসের ভিত্তিতে গ্রেফতার, ধানমন্ডি থানার ওসিকে তলব
দাউদকান্দিতে কোস্টগার্ডের অভিযানে ২ কোটি ২৩ লক্ষ টাকার অবৈধ চিংড়ি রেণু জব্দ দাউদকান্দিতে কোস্টগার্ডের অভিযানে ২ কোটি ২৩ লক্ষ টাকার অবৈধ চিংড়ি রেণু জব্দ
হাতিয়ায় কোস্টগার্ডের অভিযানে   দেশীয় অস্ত্র গুলিসহ ডাকাত আটক হাতিয়ায় কোস্টগার্ডের অভিযানে দেশীয় অস্ত্র গুলিসহ ডাকাত আটক

আর্কাইভ

সিলেট শহরের সকল হবিগঞ্জী --- --- --- --- --- --- ---

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
‘শাপলা কলি’ নয় ‘শাপলা’ চায় এনসিপি
ইসির প্রতীক তালিকায় যুক্ত হলো ‘শাপলা কলি’
ডেঙ্গুতে আরও ৪ মৃত্যু, শনাক্ত সহস্রাধিক
পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার আরও ১৫৭০
নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে থাকবে ১৩ আনসার সদস্য: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সিরাজগঞ্জ কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
ঐকমত্য কমিশনের শেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত, সুপারিশ পেশ মঙ্গলবার
দুই দশক পর জেইসি বৈঠকে বসল বাংলাদেশ-পাকিস্তান
শাপলা নয়, এনসিপিকে অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে ইসি
ভৈরবকে জেলা দাবিতে রেলপথ অবরোধ, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ