শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বজ্রকণ্ঠ "সময়ের সাহসী অনলাইন পত্রিকা", সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকা,রাজশাহী,নিউ ইয়র্ক,লন্ডন থেকে প্রকাশিত। লিখতে পারেন আপনিও। বজ্রকণ্ঠ:” সময়ের সাহসী অনলাইন পত্রিকা ” আপনাকে স্বাগতম। বজ্রকণ্ঠ:: জ্ঞানের ঘর:: সংবাদপত্র কে বলা হয় জ্ঞানের ঘর। প্রিয় পাঠক, আপনিও ” বজ্রকণ্ঠ ” অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ” বজ্রকণ্ঠ:” সময়ের সাহসী অনলাইন পত্রিকা ” কে জানাতে ই-মেইল করুন-ই-মেইল:: [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

Bojrokontho
শুক্রবার ● ৭ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্য » ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্য » ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ
২৮৮ বার পঠিত
শুক্রবার ● ৭ মার্চ ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ

ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ

বজ্রকণ্ঠ ডেস্ক::

বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ইউনাইটেড হাসপাতালে অবহেলা ও অসতর্কতার কারণে নিজের বাবার মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করেছে সন্তান রাকিব উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ওই আবেদনের রিসিভ কপি জাগো নিউজের হাতে এসেছে।

এতে ঘটনার পূর্ণ বিবরণ দিয়ে রাকিব উদ্দিন অভিযোগ করেন, এখনো আমি মাকে আব্বার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানাতে পারিনি। হাসপাতালের অসতর্কতা আর অবহেলায় আমরা তাকে অসময়ে হারিয়েছি। আব্বার বয়স ৮০-এর কাছাকাছি ছিল। এই বয়সে ভালভ রিপ্লেস করার দুটো উপায় ছিল। ওপেন হার্ট সার্জারি করে পুরো বুক কেটে সার্জিক্যাল ভালভ বসানো। আরেকটি ব্যয়বহুল পদ্ধতি হচ্ছে- টাভি (ট্রান্সক্যাথেটার অ্যাওর্টিক ভালভ ইমপ্ল্যান্টেশন)। টাভি এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে পা দিয়ে ফুটো রিং পরানোর মতো করে ভালভ বসানো হয়। এটি ব্যথাহীন বলে দাবি করা হয়।

রাকিব উদ্দিন দাবি করেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরের ২৮ তারিখ টাভির প্রস্তুতির জন্য আব্বার বিভিন্ন টেস্ট করা হয়। তখন এনজিওগ্রামে তার আরও দুটি ব্লক ধরা পড়ে এবং আরও দুটি রিং বসানো হয়। ২০১২ সালে একটি রিং ছিল। তিনটি রিং পরানোর পর টাভি ঝুঁকিপূর্ণ কি না, তাও আমাদের খোলাসা করা হয়নি। ডাক্তার বলেছিলেন, টাভি করা যেতে পারে। এই বয়সে ওপেন হার্ট সার্জারি ঝুঁকিপূর্ণ, যা আগেই আমাদের বলা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর আব্বা ভর্তি হন দুইদিনের পর্যবেক্ষণের জন্য। ৯ তারিখ সকাল ৯টায় টাভি শুরু হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই প্রক্রিয়াটি ডাক্তারদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল না। এতে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। সেদিন দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টার দিকে ডাক্তার আমাদের জানান সব ঠিক আছে। তবে একটি জায়গা থেকে সামান্য রক্তক্ষরণ হচ্ছে, যা স্বাভাবিক। তারপর আব্বাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। হঠাৎ দেখি ডাক্তাররা ছোটাছুটি করছেন। আমার বোন, যিনি ডাক্তার, জোর করে ভেতরে ঢুকে দেখেন আব্বা কলাপস করেছেন। তাকে সিপিআর দেওয়া হয়েছে। চারপাশে রক্ত পড়ে আছে। ওই সময় ডাক্তাররা বলেন, ইন্টারনাল ব্লিডিং বন্ধ হচ্ছে না। কেন বন্ধ হচ্ছে না- এ বিষয়ে তারা কেউ স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি। টাভির প্রত্যাশিত রেজাল্ট না আসায় ওইদিনই রাতেই আব্বার আরেকটি জটিল সার্জারির (ওপেন হার্ট) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেদিন বিকেল ৫টায় তাকে ওটিতে নেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে ওপেন হার্ট সার্জারি করে ব্লিডিং-এর উৎস খুঁজে বের করা হয়। দেখা যায়, টাভির ভালভ বসানোর প্রক্রিয়ায় হার্টে একটি ফুটো হয়েছে, সেখান থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ৯ তারিখ রাতে ডাক্তার স্বীকার করেন, ভালভ বসানোর সময় ওপরের দিকে খোঁচা লেগেছে। এরপর ২৪ ঘণ্টা হার্ট ওপেন রাখার পর ডাক্তাররা ১০ তারিখ রাতে আব্বার ব্লিডিং বন্ধ হওয়ার কথা জানান ও হার্ট বন্ধ করা হয়। কিন্তু ওপেন হার্টের পর আব্বার শরীরে ইনফেকশন, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিলতা দেখা দেয়। পরে তাকে বাইপ্যাপ লাগানো হয়। তবুও তিনি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারছিলেন না।

রাকিব উদ্দিন জানান, তাকে কয়েক ধাপে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়। ৯ ডিসেম্বর রাত থেকে ১৮ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত সিআইসিইউতে ছিলেন। ১৮ তারিখ তাকে রুমে দেওয়া হয়। এখান থেকেই শুরু হয় ইউনাইটেডের চূড়ান্ত রকমের অবহেলা। কোনো সুস্থ মানুষ মেনে নিবে না। যেমন- ক্রিটিক্যাল রোগীকে হুইলচেয়ারে করে বেডে দেওয়া হয়। কোনো ডাক্তার বা নার্স রোগীর ব্যাকগ্রাউন্ড জানতেন না। জুনিয়র নার্সরা দায়িত্বে ছিলেন। সিনিয়র কাউকে রাখা হতো না। ১৮ ও ১৯-এই দুই রাত রুমে থাকার পর আব্বার অবস্থা আরও খারাপ হয়। আব্বার শ্বাসকষ্ট বাড়লে ২০ তারিখে তাকে আবার সিআইসিইউতে নেওয়া হয়। ২০ তারিখ থেকে আব্বা সিআইসিইউতেই ছিলেন। এরপর ডাক্তার আমাদের জানায়, আব্বার চেস্টে ইনফেকশন হয়েছে, কিডনি বিকল হয়েছে, ডায়ালাইসিস লাগবে। অথচ আব্বার আগে কখনো কিডনির সমস্যা ছিল না। ২১ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ বার আব্বার কিডনি ডায়ালাইসিস করা হয়। মোট ১৬ ব্যাগ হোল ব্লাড এবং ১১ ব্যাগ প্লাটিলেট দেওয়া হয় আব্বাকে। এতো রকমের জটিলতা ও রোগীর শরীর পুরোপুরি কলাপস করার পরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো বোর্ড কল করেনি। দৃশ্যত ডাক্তারদের ভেতরে কোনো রকমের সমন্বয় ছিল না।

তার এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাকিব উদ্দিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে বলেন, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ দায়িত্বরতদের অবহেলার জন্য বিচারের আওতায় আনা হোক। চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় যাতে কোনো সন্তানকে আর তার বাবাকে না হারাতে হয়।



বিষয়: #  #  #  #  #  #


স্বাস্থ্য এর আরও খবর

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস
ভূমিকম্পে আহত হয়ে ঢামেকে ভর্তি ১৮ জন ভূমিকম্পে আহত হয়ে ঢামেকে ভর্তি ১৮ জন
আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস, শীর্ষে দিল্লি আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস, শীর্ষে দিল্লি
বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, মশারি ব্যবহারে মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনা বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, মশারি ব্যবহারে মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনা
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি মোকাবিলায় এনআইওএইচ ও রোশ বাংলাদেশের আয়োজনে গোলটেবিল বৈঠক ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি মোকাবিলায় এনআইওএইচ ও রোশ বাংলাদেশের আয়োজনে গোলটেবিল বৈঠক
মাতৃভূমি হার্ট কেয়ারের উদ্যোগে বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ম্যাগাজিন উদ্বোধন মাতৃভূমি হার্ট কেয়ারের উদ্যোগে বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ম্যাগাজিন উদ্বোধন
ডিজিটাল সল্যুশনের মাধ্যমে কৃষি ও ঔষধ শিল্পে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একসাথে কাজ করবে গ্রামীণফোন, মিমপেক্স ও গুডম্যান ডিজিটাল সল্যুশনের মাধ্যমে কৃষি ও ঔষধ শিল্পে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একসাথে কাজ করবে গ্রামীণফোন, মিমপেক্স ও গুডম্যান
বায়ুদূষণের শীর্ষে দোহা, সহনীয় ঢাকা বায়ুদূষণের শীর্ষে দোহা, সহনীয় ঢাকা
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ২৪৮ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ২৪৮
ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরও ২ জনের ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরও ২ জনের

আর্কাইভ

সিলেট শহরের সকল হবিগঞ্জী --- --- --- --- --- --- ---

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
গ্রেফতার দেখানো হলো সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে
শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল করল প্রসিকিউশন
নির্বাচন বানচাল ও অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে: নাহিদ
মানবাধীকার অপরাধ মামলা
ওসমান হাদিকে গুলি: সন্দেহভাজন ফয়সালের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ
শিশু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে লিগ্যাল নোটিশ
‘হাদির সঙ্গে নির্বাচনি প্রচারণায় ছিলেন গুলি করা দুই সন্দেহভাজন’
হাদির হামলাকারীদের ধরিয়ে দিলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ওসমান হাদির অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক: মেডিকেল বোর্ড
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী সন্দেভাজন ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য প্রদানের অনুরোধ