শিরোনাম:
●   পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার আরও ১৬২০ ●   মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৩৩, হাসপাতালে ৫০ জন ●   দেশের স্বার্থে বন্দর নিয়ে প্রোপাগান্ডা যেন না করে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত ●   আড়াই ঘণ্টা অচল স্টারলিংক, ক্ষমা চাইলেন মাস্ক ●   ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র মেরামতের জন্যই জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে : নাহিদ ইসলাম ●   সুন্দরবনের নদী থেকে আহত কচ্ছপ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ●   রাণীনগরে বিএনপির পার্টি অফিসের জানালা ভেঙ্গে চুরি সংঘটিত ●   রাণীনগরে অপহৃতা কিশোরী উদ্ধার যুবক গ্রেফতার ●   ছাত‌কে লোভী স্বামী‌কে জেল হাজ‌তে প্রেরন ●   নারায়ণগঞ্জে কোস্টগার্ডের অভিযানে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ
ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২
বজ্রকণ্ঠ "সময়ের সাহসী অনলাইন পত্রিকা", সিলেট, বাংলাদেশ। ই-মেইল ঠিকানা:: news@bojrokontho.com অনুগ্রহ করে সংবাদ প্রতিবেদন, ছবি এবং ছোট ভিডিও পাঠান। লগইন করুন: www.bojrokontho.com

Bojrokontho
সোমবার ● ৩ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » ধর্ম » অনিচ্ছায় বমি হলে কি রোজা ভেঙে যায়?
প্রথম পাতা » ধর্ম » অনিচ্ছায় বমি হলে কি রোজা ভেঙে যায়?
৭০ বার পঠিত
সোমবার ● ৩ মার্চ ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

অনিচ্ছায় বমি হলে কি রোজা ভেঙে যায়?

অনিচ্ছায় বমি হলে কি রোজা ভেঙে যায়?অনিচ্ছায় বমি হলে কি রোজা ভেঙে যায়?

কেউ যদি রোজা অবস্থায় ইচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি করে তার রোজা ভেঙে যাবে এবং কাজা আদায় করতে হবে। তবে রোজা অবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে মুখ ভরে বমি হলেও রোজা ভাঙবে না, কাজাও আদায় করতে হবে না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

مَنْ ذَرَعَهُ القَيْءُ، فَلَيْسَ عَلَيْهِ قَضَاءٌ، وَمَنْ اسْتَقَاءَ عَمْدًا فَلْيَقْضِ.

অনিচ্ছাকৃত কারো বমি হয়ে গেলে তার কাজা আদায় করতে হবে না। যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত বমি করে সে যেন কাযা আদায় করে (অর্থাৎ তার রোযা ভেঙে যাবে)। (সুনানে তিরমিজি: ৭২০)

আমাদের দেশে অনেকের ভুল ধারণা আছে যে রোজা অবস্থায় মুখ ভরে বমি হলে রোজা ভেঙে যাবে এবং তার কাজা করতে হবে। অনিচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি হওয়ার পর এ ধারণার কারণে রোজা ভেঙে গেছে মনে করে যদি ইচ্ছাকৃত কিছু খেয়ে ফেলে, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে এবং কাজা ওয়াজিব হবে, কাফফারা ওয়াজিব হবে না।

যে সব কারণে রোজা ভেঙে যায়

১. কেউ যদি ইচ্ছা করে রমজান মাসের দিনের বেলা যৌনমিলন করে অথবা পানাহার করে, তবে তার রোজা ভেঙে যাবে। কাজা করতে হবে, কাফফারাও দিতে হবে।

২. মেয়েদের মাসিক ও সন্তান প্রসবের পরবর্তী ঋতুস্রাবের সময় রোজা রাখা নিষিদ্ধ। রোজাদার অবস্থায় মাসিক শুরু হলে অথবা সন্তানের জন্ম হলে রোজা ভেঙে যাবে। পরবর্তী সময়ে এই রোজা কাজা করে নিতে হবে।

৩. ইচ্ছা করে বমি করলে রোজা ভেঙে যাবে, বমি মুখে চলে আসর পর ইচ্ছাকৃত তা গিলে ফেললে রোজা ভেঙে যাবে, শুধু কাজা করতে হবে।

৪. রমজান মাসের দিনের বেলা ইসলাম ত্যাগ করলে বা মুরতাদ হয়ে গেলে তার রোজা ভেঙে যাবে। ইসলামে আবার ফিরে আসলে ওই রোজাটি কাজা করে নিতে হবে।

৫. কুলি করার সময় অনিচ্ছায় গলার ভেতর পানি প্রবেশ করলে, রাত অবশিষ্ট আছে মনে করে সুবহে সাদিকের পর পানাহার করলে, ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করলে, রোজা স্মরণ থাকা অবস্থায় অজুতে কুলি বা নাকে পানি দেওয়ার সময় ভেতরে পানি চলে গেলে রোজা ভেঙে যাবে, কাজা করে নিতে হবে।

৬. রোজা থাকার কথা ভুলে গিয়ে কোনো কিছু খেয়ে ফেললে রোজা ভাঙবে না। তবে ভুলবশত খাওয়ার পর রোজা ভেঙে গেছে ভেবে ইচ্ছা করে আরো কিছু খেলে রোজা ভেঙে যাবে।

৬. জিহ্বা দিয়ে দাঁতের ফাঁক থেকে একটি ছোলার সমান বা এর চেয়ে বড় কোনো কিছু বের করে খেয়ে ফেললে রোজা ভেঙে যাবে, পরে কাজা করে নিতে হবে।

৭. প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্য কিছু শরীরে প্রবেশ করালে, কান বা নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করালে রোজা ভেঙে যাবে, পরবর্তীতে কাজা করে নিতে হবে।



বিষয়: #  #  #  #  #  #  #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)