শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বজ্রকণ্ঠ "সময়ের সাহসী অনলাইন পত্রিকা", সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকা,রাজশাহী,নিউ ইয়র্ক,লন্ডন থেকে প্রকাশিত। লিখতে পারেন আপনিও।

Bojrokontho
বুধবার ● ২৬ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয়ে সংসদে সরব মাহবুবউল আলম হানিফ
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয়ে সংসদে সরব মাহবুবউল আলম হানিফ
২৮৪ বার পঠিত
বুধবার ● ২৬ জুন ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয়ে সংসদে সরব মাহবুবউল আলম হানিফ

বজ্রকণ্ঠ নিউজঃ
সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয়ে সংসদে সরব মাহবুবউল আলম হানিফ
সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয়ে জাতীয় সংসদে কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বৈধ আয়ের টাকা দিয়ে কেউ কোটি টাকার গরু কিংবা ১৫ লাখ টাকার ছাগল কোরবানি দিতে পারেন না। এটা যারা করেছেন তাদের অবৈধ আয় আছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, দুর্নীতি সরকারের সমস্ত অর্জন ম্লান করে দিচ্ছে। জিরো টলারেন্স নীতির পরেও দুর্নীতি দমন করতে পারেনি বা দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দুর্নীতি-অনিয়ম দায়ী উল্লেখ করে হানিফ বলেন, বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়, বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। যেই বাজারে দুর্নীতির অবাধ প্রবাহ থাকে, সেই বাজার কোনোদিন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সেটা সম্ভব না।

তিনি বলেন, এবার দুটি ঘটনা সারা দেশে আলোচিত হয়েছে। একটা গরু এক কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে। এটা কারা কিনলো? কেন কিনলো? বৈধ আয়ে এটা কিনতে পারে না। অবৈধ উপায়ে যাদের আয়— তারা খামখেয়ালিভাবে এভাবে কিনতে পারে। একটা ছাগল কিনলো ১৫ লাখ টাকা দিয়ে। এটা কারা করতে পারে? যাদের অবৈধ আয় আছে তারা। বৈধ আয়ে কখনও টাকা পানিতে ফেলতে পারে না। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে দুর্নীতিটাকে আগে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

হানিফ বলেন, সরকারি কর্মচারীদের দফায় দফায় বেতন বাড়ানো হয়েছে। তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তারপরও কেন দুর্নীতি হবে? আজকে দুর্নীতির কথা উঠলে সকলে প্রথমে আঙ্গুল দেখায় রাজনীতিবিদদের দিকে। রাজনীতিবিদরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এটা দেশে প্রচলন আছে। অথচ সংসদ সদস্যদের মধ্যে মন্ত্রী ছাড়া কারও নির্বাহী ক্ষমতা নেই। তারা কীভাবে দুর্নীতি করবে? দুর্নীতি হয় সরকারের উন্নয়ন ও কেনাকাটায়। সেখানে একজন রাজনীতিবিদের সুযোগ কোথায়, যদি সরকারি কর্মকর্তারা তার সঙ্গে জড়িত না থাকে। ২০১৮ সালে জনপ্রশাসনে তথ্য এসেছিল, একহাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জমা আছে। এরকম হাজার হাজার মতিউর আছেন। দফায় দফায় বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। তারপরেও দুর্নীতি কমানো সম্ভব হয়নি। দুর্নীতির বিধি-বিধানকে বরং আরও নমনীয় ও শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। নামমাত্র দণ্ড দিয়ে তাদের চাকরিতে বহাল রাখার সুযোগ রাখা হয়েছে।

হানিফ বলেন, জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হলে তাদের গ্রেফতারে অনুমতি নেওয়া লাগে না। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে একই ধরণের মামলা হলে তাকে গ্রেফতারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিতে হয়। সরকারি কর্মচারী আইন-২০১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি করতে উৎসাহিত করেছে। সরকারি চাকরিজীবীরা ১ বছরের কম শাস্তি পেলে চাকরি থেকে অব্যাহতি পাবেন না। তাকে তিরস্কার, বিভাগীয় শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। যা সুশাসনের সহায়ক না। অথচ স্থানীয় প্রতিনিধিদের এরাই তাৎক্ষণিক বরখাস্ত রাখার ক্ষমতা রাখে। এই আইনের কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন তাদের আইনের আওতায় আনতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটা কার্যত অপরাধী সুরক্ষা আইন হিসাবে বিবেচিত। তিনি আইনটি পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করেন।

বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে জানিয়ে সরকার দলীয় এ সংসদ সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রীও দুর্নীতিকে বরদাশত করেন না। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দফায় দফায় বেতন বাড়ানো হয়েছে। সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। অথচ তারা দুর্নীতি করে। কিন্তু দুর্নীতির অপরাধে তাদের শাস্তি হয় না। উল্টো তারা পদোন্নতি পায়, পেনশন পায়। তাদের জন্য আইন সহজ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে আমাদের হলফনামা দিতে হয়, সমস্ত সম্পদের বিবরণ দিতে হয়। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তাদের হলফনামা দিতে হয় না। আমার প্রস্তাব থাকবে চাকরিতে নিয়োগের সময় হলফনামা বাধ্যতামূলক এবং প্রতি পাঁচ বছর পর বা পদোন্নতির সময় হলফনামা দিতে হবে। যাতে তার সম্পত্তির পরিমাণ জাতি জানতে পারে।

১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগের বিরোধিতা করে হানিফ বলেন, আমি বৈধভাবে আয় করলে ৩০ শতাংশ কর দিতে হয়, আরেকজন অবৈধ, অপ্রদর্শিত আয় করে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করবে এটাকে যৌক্তিক মনে করি না। এতে অনেকেই ট্যাক্স দিতে অনীহা প্রকাশ করবে। তারা ভাববে এই বছর অপ্রদর্শিত রেখে আগামী বছর ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করবো। সে কারণে এক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা দেখি দফায় দফায় বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়। যার ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে তা করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে।

স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে হানিফ আরও বলেন, ২০১৮ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক তথ্যে এসেছে, সেখানে প্রায় এক হাজার দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ জমা পড়েছে। এটা শুধু অভিযোগ জমা পড়েছে। এমন কত ঘটনা সামনেই আসে না। কিন্তু তাদের বিচার হয়েছে কি? হয়নি।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে প্রয়োজন ছিল সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতি। বাজেটে এর প্রতিফলন দেখেছি। উন্নয়ন ঋণ বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণভাবে ধার্য করা হয়েছে। এতে ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশে ব্যাংক ঋণ বেড়েছে। কিন্তু বৈশ্বিক ও আন্তর্জাতিকভাবেও ঋণের সুদের হার বেড়েছে। চড়া সুদে ঋণ নিয়ে যদি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করতে হয় তাহলে অর্থনীতির উপর চাপ সৃষ্টি হবে।



বিষয়: #  #  #  #  #  #  #  #  #


--- ---

আর্কাইভ

সিলেট শহরের সকল হবিগঞ্জী --- --- --- --- --- --- ---
নুরের গণঅধিকার পরিষদ ছাড়ল ৫৯ নেতা
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৪০
৫ মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে জামিন দিতে রুল
মেট্রোরেল দুর্ঘটনা তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি
অক্টোবরের ২৫ দিনে প্রবাসী আয় ছাড়াল ২ বিলিয়ন ডলার
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাক যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
উপদেষ্টা পরিষদের সভা নভেম্বরেই শেষ: তথ্য উপদেষ্টা
বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে আনা হচ্ছে ৪ দেশের বিশেষজ্ঞ টিম
দৌলতপুরে বিদেশি পিস্তল ও মাদকসহ যুবদল নেতা আটক
নভেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান, আশা সালাহউদ্দিনের