

সোমবার ● ১৯ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » কারও দ্বৈত এনআইডি নেই, ডাটাবেজ পুরোপুরি নিরাপদ: ডিজি
কারও দ্বৈত এনআইডি নেই, ডাটাবেজ পুরোপুরি নিরাপদ: ডিজি
বজ্রকণ্ঠ ডেস্ক::
দ্বৈত জাতীয় পরিচয়পত্রধারী (এনআইডি) ৫৮৬ জনের প্রথমটি রেখে দ্বিতীয়টি বাদ হেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর। অর্থাৎ এনআইডি ডাটাবেজে আর কারও দ্বৈত এনআইডি নেই বলে জানান তিনি।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিবদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব তথ্য জানান।
এএসএম হুমায়ুন কবীর বলেন, দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রধারী ৫৮৬ জনকে আইডেন্টিফাই করেছিলাম সর্বশেষ, তাদের আমরা নিষ্কৃতি দিয়েছি। যেহেতু দুটো ছিল, তাই লক ছিল, তাই কোনোভাবে নাগরিক সেবা নিতে পারছিলেন না। যেহেতু প্রথমটি রেখে দ্বিতীয়টি বাতিল করে দিয়েছি, এখন তাদের প্রথম এনআইডি ওপেন হয়ে গেছে। তারা নাগরিক সেবা পাবেন।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে ৫৮৬ জনের দ্বৈত এনআইডি শনাক্ত হওয়ায় চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বৈত এনআইডিধারীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। দুই সপ্তাহের মাথায় এ সমস্যার সমাধান করা হলো।
ডিজি আরও বলেন, একই ব্যক্তির দুটি এনআইডি বা ভোটার তালিকায় দুটি তথ্য রয়েছে, ইসির সিদ্ধান্তক্রমে প্রথমটি রেখে দ্বিতীয়টি বাতিল করে দিয়েছি। এ মুহূর্তে আমাদের জানামতে দুটি এনআইডি আর কারও নেই। যদি কারও ব্যাপারে আইডেন্টিফাই হয়, এ নিয়মে একই ব্যবস্থা নেবো।
তিনি বলেন, সাড়ে ১২ কোটিরও বেশি নাগরিকের তথ্য রয়েছে ইসির এনআইডি ডাটাবেজে। এ তথ্যভাণ্ডারে কখনো কখনো তথ্যফাঁসের ঘটনাও ঘটেছে। বিদ্যমান পরিস্থিতে তথ্যফাঁসের ঝুঁকি রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান এনআইডি ডিজি।
ডাটাবেজের নিরাপত্তা নিয়ে এএসএম হুমায়ুন কবীর বলেন, আমাদের ডাটাসেন্টার যেহেতু ২৪ ঘণ্টা চলে, এটা মাঝে মাঝে আমরা একটু বন্ধ করি, আবার চালু করি। মেইনটেন্যান্সের জন্য যেমন পরশুদিনও (১৭ মে)) আমরা করেছিলাম, চার ঘণ্টা পর চালু করতে পেরেছি। এ রকম রেগুলার মেইনটেন্যান্স হিসেবে আমরা কাজ করি।
তিনি বলেন, এ ধারাবাহিকতায় ডাটাসেন্টার নিজস্ব জনবল দিয়ে ‘চেক’ করা হয়েছিল কোনো সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে কি না, আপডেটেড রয়েছে কি না।
হুমায়ুন কবীর বলেন, আমাদের অবস্থান থেকে যতগুলো ইনিসিয়েটিভ নেওয়া দরকার, সে ব্যবস্থাগুলো নিয়েছি। এখন আমাদের এ ডাটাসেন্টার পরিপূর্ণ নিরাপদ। এ ডাটাসেন্টার নিয়ে এ মুহূর্তে কোনো রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি না। কিন্তু এটা যেহেতু ডাটাসেন্টার, তাই কোনোভাবেই যেন ডেটা লিক না হয় অথবা অন্য কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য দৈনন্দিন কাযক্রম চলমান।
ভবিষ্যতেও তথ্যভাণ্ডার নিরাপদ রাখতে যত রকম ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিষয়: #এনআইডি #কারও #ডাটাবেজ #ডিজি #দ্বৈত #নিরাপদ #নেই #পুরোপুরি