

সোমবার ● ২৩ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ছাতকে গাইনি ডাক্তার ও ফার্মেসির বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি নামে সিন্ডিকেটের অভিযোগ
ছাতকে গাইনি ডাক্তার ও ফার্মেসির বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি নামে সিন্ডিকেটের অভিযোগ
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ::
ছাতকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি ডাক্তার সংকট থাকার সুযোগ নিয়ে ডাক্তার ফাতেমা-তুজ-জোহরা এবং ছাতক ট্রাফিক পয়েন্টের নীপা ফার্মেসির বিরুদ্ধে এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সাধারন রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়, দুর্ব্যবহার, টিকিট বাণিজ্য, ভেজাল ওষুধ বিক্রি এবং জোরপূর্বক ওষুধ কেনার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা রোগীরা। আগত সাধারণ রোগীরা সিরিয়াল নম্বার নিয়ে নানা হয়রানি ও সিন্ডিকটের মাধ্যমে সিরিয়াল দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি ডাক্তার সংকট না থাকার এ সুযোগ নিয়ে ডাক্তার ফাতেমা-তুজ-জোহরা এবং ছাতক ট্রাফিক পয়েন্টের নিপা ফার্মেসি মিলে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে না প্রতারনা ও তালবাহানা করার অভিযোগ উঠে এসেছে।
নীপা ফার্মেসিতে ডাক্তার ফাতেমা-তুজ-জোহরা সপ্তাহে তিনদিন চেম্বার করেন। এসময় রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নিচ্ছেন ফার্মেসি কর্তৃপক্ষ। ডাক্তারের বিরুদ্ধে পেশাগত নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে, যেখানে তিনি হাসপাতালের শূন্যতার সুযোগ নিয়ে নিজের একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছেন।
অন্যদিকে, নিপা ফার্মেসির বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ফার্মেসির কর্মীরা দুর্ব্যবহার, টিকিট বাণিজ্য, ভেজাল ওষুধ বিক্রি এবং রোগীদের জোরপূর্বক ওষুধ কেনার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন।
এ ব্যাপারে সানী দাস ও আব্দুল হুক সাফওয়ান সহ একাধিক ভুক্তভোগীরা সিরিয়াল এগিয়ে দেওয়ার জন্য টাকা চাওয়া এবং প্রতিবাদ করলে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এব্যাপারে ফার্মেসির মালিকের ছেলে একজন সিনিয়র সহকারী সচিব হওয়ায় আওয়ামীলীগ ও বতমান সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। যা তাদের বেপরোয়া আচরণের মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই পুরো ঘটনায় ডাক্তার ফাতেমা-তুজ-জোহরা এবং নিপা ফার্মেসি উভয়কেই সমান ভাবে দায়ী করেন রোগীরা। চিকিৎসকের নৈতিক স্খলন এবং ফার্মেসির আর্থিক লোভ ও ক্ষমতার দাপট—এই দুইয়ের সমন্বয়েই ছাতকে স্বাস্থ্যসেবায় এমন করুণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। এব্যাপারে ডা. ফাতেমা-তুজ-জোহরা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ফার্মেসির মালিক সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণ করে। এব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না, ফার্মেসীর মালিক ভালো বলতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, কেউ যদি আমাকে বা ফার্মেসি কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্য প্রাণিতভাবে ডিস্টার্ব করে মনে করেন অন্য ফার্মেসিতে চেম্বার করবো । ছাতকে চেম্বার করতে আমার কষ্ট হয়। নিজের এলাকার প্রতি ভালোবাসার কারণেই তিনি ছাতকে চেম্বার করি। এব্যাপারে নিপা ফার্মেসি কর্তৃপক্ষের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কল রিসিভ করেন নি তারা।
এব্যপারে ছাতক বাজার ফামেন্সি ব্যবসার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লিটন দাস,এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ২৯ বছর ধরে ব্যবসা পরিচালনা করছি। আমার ফার্মেসিতেও ডাক্তার আসেন। কখনও সিরিয়াল বা কোনও বিষয়ে সমস্যা হয়নি। কিন্তু, কি কারণে নীপা ফার্মেসিতে বার বার সমস্যা হয় তা সঠিক বলতে পারবো না। ফার্মেসির মালিকের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো। এব্যপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নুসরাত আরেফিন এই বিষয়টি ডাক্তার ফাতেমার ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে উল্লেখ করেছেন এবং অভিযোগ থাকলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলামও লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের করা হবে।
বিষয়: #গাইনি #ছাতক #ডাক্তার