

সোমবার ● ১২ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বানিয়াচংয়ে ঘটক সেজে স্বর্ণ ও নগদ টাকা চুরি। নারীসহ ২জন গ্রেফতার।
বানিয়াচংয়ে ঘটক সেজে স্বর্ণ ও নগদ টাকা চুরি। নারীসহ ২জন গ্রেফতার।
আকিকুর রহমান রুমন:
হবিগঞ্জ জেলায় বিয়ের ঘটক সেজে অভিনব কায়দায় স্বর্ণ ও টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।
আর এসব হাতিয়ে নেয়া স্বর্ণ শহরে কিছু অসাধু জুয়েলার্স ব্যবসায়ীরা স্বল্পমূল্যে ক্রয় করছেন। গতকাল রবিবার দুপুরে শহরের স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার উষা শিল্পালয়ের মালিক উজ্জল রায়ের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ চোরাই স্বর্ণ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ সময় বেরিয়ে এসে প্রতারণার কাহিনী। সুলেকা আক্তার ওরফে মায়া নামে চক্রের এক সদস্য বিয়ের ঘটক সেজে অভিনব কায়দায় বানিয়াচং উপজেলার পুকড়া ইউনিয়নের কাঠখাল গ্রামে বিয়ের কনে দেখতে যাবার বাহানায় ওই বাড়ির সকল পুরুষদেরকে বলেন, ছেলে কানাডা থেকে আসছে,কোন কারণে বিয়ে ভেঙ্গে গেছে,এখন ছেলে পক্ষ কনে না নিয়ে বাড়ী যাবে না।
বর এখন পুকড়া বাজারে আছে, তাকে নিয়ে আসেন। পরে বাড়ির লোকজন কনে সাজানোর কাজে ব্যস্ত থাকাবস্থায় এবং বাড়িতে পুরুষ না থাকার সুযোগে সুলেকা চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে তাদের অচেতন করে টাকা পয়সা,স্বর্ণ নিয়ে সটকে পড়ে। এদিকে বাড়ির লোকজন পুকড়া বাজারে গিয়ে দেখেন পাত্র দাড়িয়ে থাকার বিষয়টি ছিলো ভূয়া।
পরে তারা বাড়িতে এসে দেখতে পান তাদের বাড়ির মহিলারা প্রতারিত হয়েছেন এবং বাড়ি থেকে থাকা উল্লেখিত জিনিসপত্রসহ বিয়ের ঘটক সাজা মহিলা উধাও। পরে আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে উমেদনগর মাদ্রাসার নিকট থেকে তাকে আটক করা হয়। ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোফজ্জল হক ফরিদ জানান,ওই বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে বিস্তারিত শুনেছি এবং মহিলার কাছ থেকে কিছু স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে টাকা উদ্ধার করা যায়নি। তাকে বানিয়াচং থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। বানিয়াচং থানা পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিভিন্ন স্থান থেকে স্বর্ণ প্রতারণার মাধ্যমে নেয়ার কথা স্বীকার করে এবং শহরের উষা শিল্পালয়ের মালিক উজ্জল রায়ের নিকট বিক্রির কথা জানায়। পরে পুলিশ উজ্জল রায়কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান,এই চক্রটি দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন এলাকায় এমন প্রতারণা করে আসছে। গ্রেপ্তার উজ্জল রায় এবং সুলেকাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে এবং রিমান্ডে এনে আরও রহস্য উদঘাটন করা হবে। এ মামলায় আরও যারা জড়িত তাদেরকে বের করা হবে।
ওসি বলেন-যদিও প্রশাসন থেকে নিষেধ রয়েছে মেমো ও প্রমাণ ছাড়া কোনো স্বর্ণ বেচাকেনা যাবে না। কিন্তু এ নিষেধ আমলে নিচ্ছে না কতিপয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। ফলে চুরি বা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া স্বর্ণ ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য,সপ্তাহ খানেক পূর্বে বানিয়াচং উপজেলা সদরের মধুখানী গ্রাম থেকে ফ্রান্সের জামাই দেখানোর কথা বলে এক বাড়ি থেকে মেয়েকে স্বর্ণ অলংকার দিয়ে সাজানো স্বর্ণ চুরি করে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। চেতনানাশক স্প্রের মাধ্যমে এই মেয়ের কাছ থেকে সবকিছু নিয়ে যায় এই ঘটক মহিলা চক্র।
বিষয়: #গ্রেফতার #ঘটক #চুরি #টাকা #নারীসহ #বানিয়াচংয়ে #সেজে #স্বর্ণ ও নগদ #২জন