আনোয়ার হোসেন রনি, ছাতক (সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি::
ছাতক উপজেলা বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিতরন বিভাগের কর্মকতা ও কর্মচারিদের
বিরুদ্ধে মিটার চুরি ও ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগের ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় হচ্ছে। অভিযুক্তরা হলেন,সহকারি প্রকৌশলী মামুদুর হাসান,লাইন সাহাষ্যকারী সেকান্দর আলী,নুর হোসেন,মমিনুল ইসলাম,পিয়ন আক্তারুজ্জামানসহ ৫জনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুনীতির অভিযোগ উঠেছে। এ অনিয়ম দুনীতির ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কতৃপক্ষ ।
এ অফিসে তিন লাইনম্যান,একজন পিয়ন, ও এক প্রকৌশলীর নেতৃত্বে ৫ সদস্য একটি সিন্ডিকেট এ অফিসে গড়ে উঠেছে। এ সিন্ডিকেট চত্রেুর কাছে হাজার হাজার মিটার গ্রাহক ও প্রকৌশলীরা জিন্মি হয়ে পড়েছে।
জানাযায়,ছাতক নোয়ারাই ফিডার ইনচাজ সহকারি প্রকৌশলী মামুদুর হাসানের সহযোগিতা এ সিন্ডিকেট চত্রুরা প্রিপ্রেইড মিটার, সরকারি বরাদ্ধ ফ্রি মিটার টাকা ছাড়া গ্রাহকরা পাচ্ছেন না,পুরাতন এলটি লাইন সংস্কারের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিভিন্ন গ্রাম প্রায় ৫০ লাখ হাতিয়ে নিচ্ছেন এ সিন্ডিকেটরা।
আদের বিরুদ্ধে লাখ টাকা ঘুষ গ্রহন,অনিয়ম ও দুর্নীতির গত বৃহস্পতিবার তিন সদস্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন কতৃপক্ষ। ৩ সদস্য একটি টিম গত শনিবার সকালে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। তদন্ত কমিটি সদস্যরা যোগাযোগ করলে ও তদন্তের স্বাথে তারা কোন নাম ও বক্তব্য দিতে নারাজ।
এ ব্যাপারে অফিসে ষ্টাফ আমির আলী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,লাইনম্যান সেকান্দর,কখনো প্রকৌশলী,কখনো মিটার রিডিংম্যান সেজে দীঘদিন ধরেই গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারনা করে আসছে । এ সিন্ডিকেট চত্রেুর বিরুদ্ধে আমীরসহ ১১জন কর্মচারি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এছাড়া অবৈধ মিটার সংযোগ দিতে গিয়ে নৈনগাও এক গ্রাহক সঙ্গে মারামারির ঘটনায় থানায় মামলা মোকদ্দমা পযন্ত হয়েছিল। তারা রাত ১টা ও ৩ টায় লাইন সাহাষ্যকারী সেকান্দর আলী,নুর হোসেন,মমিনুল ইসলাম,পিয়ন আক্তারুজ্জামান ও সহকারি প্রকৌশলী মামুদুর হাসানের নেতৃত্বে গ্রাহকদের বাড়িতে
গিয়ে মিটার খোলে এনে টেষ্টিং ও টেস্পারিং নামে প্রতিদিন গ্রাহকরা হয়রানি করছেন।
এ সিন্ডিকেট চত্রেুর প্রধান সদস্যা প্রকৌশলীর রুমে বসে অফিসার সেজেই প্রতারনা ও টেবিলের উপর পা তোলে মোবাইল ব্যবহার করেই বিদুৎ গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ আচরন করছে।
এ অফিসের কাউকে মানতে রাজি নয় এ চত্রেুর সদস্যারা । তারা গায়ের জোরে যা ইচ্ছা তা করেই যাচ্ছেন প্রকাশ্যে।
এ লাইনম্যান মমিনুল ইসলাম চার বছর আগে দিনাজপুর জেলার বড় পুকুরিয়া তাপ বিদুৎ কেন্দ্রে তামার তার চুরির অপরাধে সেখান থেকে বদলী হয়ে ছাতকে আসেন।
তদন্ত শূংখলা অধিদপ্তর (বিউবো)র ঢাকা অফিসে মামলা ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ছাতক যোগদানের পর থেকে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন।
অনেক গ্রাহকের কাছ থেকে নতুন মিটারের জন্য টাকা নিয়ে মিটার না দিয়ে হয়রানি করছেন মাসের পর মাস। ছাতক পৌর শহরের বিশাল একটি এরিয়ার অন্যের নামে ব্যবহার করে তাতিকোনা,বৌলা,মঙ্গলপাড়া ও চরেরবন্দ এলাকায় মিডার রিডিং করে এবং অবৈধ লাইন দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন মাসে বড় অংকের টাকা। সে দিনাজপুর জেলার পাবতীপুর উপজেলার হাবড়া গ্রামে। সেই গ্রামে কোটি টাকা দিয়ে একটি বিশাল বাড়ি ও নিমান করছেন।
তাদের এ সিন্ডিকেট চত্রেুর মুলহোতা হচ্ছেন সহকারি প্রকৌশলী মামুদুর হাসান। ২০২১সালে ২ নভেম্বর মাসে মোজাম্মেল হক
উপ পরিচালক (১)কর্মচারি পরিদপ্তরে বিউবো ঢাকা থেকে সহকারি প্রকৌশলী মামুদুর হাসানকে ছাতক থেকে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল বিদুৎ কেন্দ্রে (বিউবো) সহকারি প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) হিসাবে তাকে বদলী করা হলে ও এখন বহাল রয়েছেন ছাতকে।
একজন পিয়ন আক্তারুজ্জামানের ক্ষমতার দাপটের কাছে অনেক প্রকৌশলী অসহায় হয়ে পড়েছেন। সে তিন যুগের বেশী সময় ধরে একই অফিসে পিয়ন পদে কমরত রয়েছেন। একজন অফিস পিয়ন আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়ম দুনীতি করে রাতারাতি কোটি টাকার মালিক বনেছেন।
সে ছাতক পৌর শহরের তার নামে ১৫শতক জায়গা ত্রুয় করেছেন। বতমানে এ জায়গার দাম প্রায় কোটি টাকার হবে। তার বাড়ি কুমিল্লায়। পিয়ন এতো ক্ষমতার দাপট তার কাছে অফিসের প্রকৌশলীরা তার ক্ষমতার কাছে অসহায়।
এ অফিসের ৫ সদস্য এ সিন্ডিকেট চত্রুরা মিটার খোলে এসে ইচ্ছা মতো বিল দেয়। এ বিলের টাকা নগদ গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। পরে এসব টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে তাদের পকেটে রেখে ভাগ বানোয়ারা করে নেন।
ছাতক বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী মামুদুর হাসান ষ্টোর রুমে ইনচাজ দায়িত্ব নেয়ার পর লাইন সাহাষ্যকারী সেকান্দর আলী,নুর হোসেন,মমিনুল ইসলাম,পিয়ন আক্তারুজ্জামানসহ ৪ জনের মাধ্যমে কাগজপত্র ছাড়াই ষ্টোর রুমে মালামাল বের করে নিয়ে যাচ্ছেন।এসব মালামালের হিসাব ও রয়েছে ব্যাপক গড় মিল।
লাইনম্যান সেকান্দব আলী,নুব হোসেন,মমিনুল ইসলাম,পিয়ন আক্তারুজ্জামান ৪ জনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছে বিদুৎ গ্রাহকরা। এসব অভিযোগ তদন্ত ছাড়াই বিদুৎ অফিস থেকে গায়েব হয়ে যায়।
এদিকে লাইনম্যান সেকান্দব আলীর বিরুদ্ধে অফিসের ১১ জন কর্মচারি বাদী হয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব,সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিতরন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চীপ প্রকৌশলী,প্রশাসন বিভাগীয় প্রকৌশলী, ছাতক বিদ্যুৎ উন্নয়ন বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বরাবরে গত ২ জুন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম গঠন করেন বিদুৎ বিভাগ।
এ সিন্ডিকেট চত্রুরা সঙ্গে পাবলিক প্রতিনিধি হচ্ছে জাকির। ৫ সদস্যদের নেতৃত্বে মিটার চুরি,ঘুস,দুনীতির হয়রানি প্রিপ্রেইড মিটার লক করে লাখ লাখ টাকা বকেয়া বিলে নামে জরিমানা টাকা করেন লুটপাট চলছে।
এ চত্রেুর বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার ক্ষমতা ও নেই। এব্যাপারে সহকারি প্রকৌশলী মামুদুর হাসান ও লাইনম্যান সেকান্দর,মমিনুলইসলাম,নুরহোসেন ও পিয়ন আক্তারুজ্জামানকে একাধিকবার তাদের ব্যক্তিগত মোবাইলের ফোন দিলে ও তারা কেউ রিসিভ করেনি। ##
পাঠকের মন্তব্য