নিজস্ব প্রতিবেদক:::
এ কেমন নিলজ্জ ও বেহায়াপা? মেয়ের স্বামীর বাড়িতে এসে মেয়ের বাবা তার মেয়েকে নানান লোভ লালসা দেখিয়ে সৌদিআরব পাঠানোর নাম করে ২টি অবুঝ সন্তান রেখে স্বামীর অনুমতি ছাড়াই বিদেশে পাঠিয়ে দেন! এ ঘটনায় স্বামী সহ তার পরিবারের লোকজন সমাজের বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার কানাঘুষা শুরু হয়েছে। স্বামী নানান দুঃচিন্তায় দিন যাপন করছেন। এমন কি ২ সন্তানের জনক তার স্ত্রী ও সন্তানের জন্য রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মামলার বিবরন ও আহত ব্যাক্তির সূত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজলোর ৫নং আউশকান্দি ইউনিয়নের (বেরী) গ্রামের বর্তমান বাসিন্দা দেওতৈল গ্রামের মৃত লেবু মিয়ার পুত্র কাসেম মিয়া (৩০)। সে বিগত ১২ বছর পূর্বে কুর্শী গ্রামের মোঃ শামছু মিয়ার কন্যা সুনেছা বেগমকে বিয়ের করেন কাসেম। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্ত জীবন সুখেই কাটছিল। এমন কি তাদের ৮ বছরের একটি কন্যা সন্তান চাঁদনী আক্তার ও এক বছরের সামিয়া আক্তার সহ ২টি ঔরসজাত শিশুও রয়েছে। এর মধ্যে কাসেমের শশুর শামছু মিয়ার কু-দৃষ্টি পড়ে তার মেয়ের উপর। সে আমার স্ত্রীকে সৌদিআরব পাঠানোর জন্য নানান প্রলোভন দিলে আমার স্ত্রী রাজি হয়ে আমার অনুমতি ছাড়াই আমার স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়ে তার বাবার বাড়ি কুর্শিতে চলে যায়। পরে আমার শশুর গোপনে আমার স্ত্রীকে সৌদিআরব পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে গত এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ শুক্রবার রমাজান মাসে। স্বামী কাসেম তার স্ত্রী বিদেশ যাওয়ার খবর শুনে সাথে সাথে ঐ দিন সন্ধা বেলায় তার ঔরসজাত ২টি অবুঝ শিশুকে নিয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ডালিম আহমদ এর কাছে কান্না জড়িত কন্ঠে বিষয়টি খুলে বলেন। ওসি সাথে সাথে একজন পুলিশ অফিসারকে এ বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দিন। এবং স্থানীয় মেম্বারকে সাথে দিয়ে স্বামী কাসেমকে নিয়ে শশুর বাড়ি যান দিলকাছ মেম্বার। সেখানে গিয়ে তার স্ত্রীর কথা জিঞ্জাস করলে তারা বলেন- সে তো বিদেশে চলে গেছে। এরপর সবাই চলে আসেন সেখান থেকে। পরদিন আবার নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ এসেও কুর্শিতে কাসেমের বউকে বাড়িতে পায়নি। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। ফিঙ্গারের কারণে ৩দিন সৌদিআরব এয়ারপোর্ট থেকে আবার বাংলাদেশে ফিরে আসতে হলো সুনেছা! এ খবর শুনে স্বামী কাসেম তার ঔরসজাত ২টি সন্তানকে নিয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে গিয়ে এর বিচার চাইলে তিনি তাদের কথা শুনে বলেন, আপনারা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে যান। আমরা বিষয়টি দেখতেছি। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওসির নিদের্শে কুশি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য দিলকাছ মিয়া সহ আরো কয়েকজন লোক সাথে নিয়ে কামেস তার শশুর বাড়িতে গিয়ে তার বউকে না পেয়ে শশুর বাড়ি থেকে খালি হাতে ফিরে আসতে হলো। এ বিষয়টি নিয়ে স্বামী কাসেম কুর্শি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান, ইউপি সদস্য দিলকাছ, সাংবাদিক, রাজনীতিবৃদ সহ সর্ব সাধারণকে অবগত করলে তারা একটি সামাজিক বিচার পঞ্জায়েতের ব্যবস্থা করেন। কোন কারণ ছাড়াই গত বুধবার বিকালে মেম্বার দিলকাছ ও কাসেমের তার শশুর শামছু মিয়ার পায়ে ধরিয়ে বাংলা বাজার একটি খেলার ফাকেঁ ক্ষমা চাওয়ান নিরপরাধ স্বামী কাসেমকে স্থানীয় চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান! এরপর চেয়ারম্যান রায় দেন যে, আগামী রবিবার ১২টার সময় কুর্শি ইউনিয়ন অফিসে এ বিষয়টি মিমাংশার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এরপর দিনই বৃহস্প্রতিবার (১৯ মে) বেলা ২টার দিকে শেরপুর টু নবীগঞ্জ রোডস্থ মহা সড়কের পাশ্ববর্তী মায়দুল মিয়ার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসাবাস করে আসছিলাম। বাসা থেকে বের হয়ে দেখি একটি সিএনজি যোগে কয়েকজন লোক ঘুরা ফেরা করতেছে এবং আমাকে ফলো করছে।
এ সময় আমি বাজারে আসছিলাম। হটাৎ করে ঐ সিএনজিটি আমার সামনে এসে দাড়ায়। এতে সিএনজি থেকে শামছু মিয়া, জসিম মিয়া, আলতাফ মিয়া, হেলাল মিয়া সহ আরো কয়েকজন লোক আমার মুখে চাপ দিয়ে হেলাল খাঁঁঁনের সিএনজি গাড়িতে তুলে জোর পূূর্বক তারা সবাই এ জোট হয়ে আমাকে নিয়ে যায় কুর্শি তাদের বাড়িতে। কিন্তু বাড়ি যাওয়ার পূর্বেই রাস্তায় কাসেমকে নামিয়ে লাতি, কিল ঘুষি দিয়ে তাদের বাড়ির ওঠানে নিয়ে ফেলে শামছুর হাতে থাকা রামদা দিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দ্যেশে এলোপাতারি কুপালে সে রক্তাক্ত অবস্থায় মাঠিতে লুটে পড়ে চিৎকার শুরু করে। এতে আশপাশের লোকজন কাসেমের চিৎকার শুনে এগিয়ে আসছে অল্পের জন্য সে রক্ষা পায়। রামদার কুবটি লক্ষ্যভ্রষ্ট ডান পায়ের হাটুতে পড়ার কারণে মাথাটি অল্পের জন্য রক্ষা পায়। এবং মাথায় কাসেমের ৫টি সেলাই ও হাটুতেও মারাক্তক জখমী হয়েছে। এ সুযোগে আলফাছ মিয়া কাসেমের গলায় দা ধরে তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল সেট যার মূল্য প্রায় ১৫হাজার টাকা ও নগদ কিছু টাকাও নিয়ে যায়। ওঠানে ফেলে আসামী তাদের ইচ্ছা মতো সুনেছা বেগম, পাখি বেগম, আলফাছ মিয়া ও সামেলা বেগম সহ অন্যান্যরা বেধরক ভাবে কিল, ঘুষি, লাথি, মোড়া মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে লিলাফুলা জখম করে। কাসেমকে তার শশুর বাড়ির লোকজন মারে আর কয় পূনঃরায় বিদেশ পাঠানোর জন্য আমি ৩শ টাকার স্টাম্পে দস্তখত দিতে। আমার দস্তখত খাড়া নাকি আমার স্ত্রীকে আর বিদেশ পাঠানো যাবেনা। আমি তাদের আকুতি মিনতি করে বললেও তাদের মনে একটুও দয়া মায়া হয় নাই। আমাকে মারে আর বলে দস্তখত দেওয়ার জন্য। দস্তখত না দেওয়ার কারণে তারা আমার উপর আরো ক্ষিত হয়ে বাকবিতন্ডের জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আমাকে প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে যায় তারা। যে, যদি দস্তখত না দেই তাহলে তারা আমাকে যেকোন সময় মেরে ফেলবে। এরই জের ধরে গত বুধবার সন্ধায় উলুকান্দি ভূমিনপাড়ায় আমার বাড়ি ঘর না থাকায় উলুকান্দি গ্রামের মসন মিয়ার বাড়ির পশ্চিম দিকে তিনি আমাকে একটি ঘর নির্মান করে থাকার জন্য বলেন। এতে আমি অনেক কষ্ট করে মানুষের কাছ থেকে হাত পেতে একটি ঘর নির্মান করি। সেই ঘরটিও আমার প্রাষন্ড শশুর শামছু মিয়া আমার চোখের সামনে ভেঙ্গে নিয়ে যায়। তখন আমার কিছুই করার ছিলনা। কারণ তাদের অনেক লাটিয়াল বাহিনী সহ দেশীও অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে উপস্থিত ছিল। এমনকি স্থানীয় লোকজনও বিষয়টি দেখেছেন। কেউ কোন প্রতিবাদ করার সাহস পান নি। এবং তারা শাসিয়ে বলে যায় যদি এসব বিষয় কারো কাছে বিচার দিবে বা মামলা মোকদ্দমা করবে-তাহলে তকে প্রাণে হত্যা করে কুকুর দিয়ে খাবামো বলে নানান হুমকি ধামকি দেয়! এ খবরে আমার আত্মীয়- স্বজনকে কাসেমের বাড়িতে মোবাইল ফোনে তার শশুর বাড়ির লোকজনকে জানালে এক পর্যায়ে তারা কাসেমের শশুর বাড়ি কুর্শিতে গিয়ে তাকে তাদের কবল থেকে রক্ষা করে নবীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত কাসেম কিছুটা সুস্থ্য হয়ে বিজ্ঞ লোকজনের সাথে বিষয়টি আলাপ আলোচনা করলাম তারা আমার এই করুণ কাহিনী শুনে বলেন, এর পূর্বে যখন থানায় অভিযোগ দিয়ে কাজ হয়নি তাহলে তুমি আদালতের সরনাপন্ন হও। পরে কাজ কাম করে ও আমার বিষয়টি বিভিন্œ মানুষের সাথে আলাপ করলে তারা আমাকে নানান রকম সাহায্য সহযোগীতা করায় গতকাল সোমবার (২৩ মে) বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কগ আদালত হবিগঞ্জে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করি।
ঐ এলাকায় ঘুরে খোজ নিয়ে শামছুলেরর সর্ম্পকে অনেকেই জানাযায় যে, সে এলাকায় নারী পাচার কারির সদস্য। সে অসহায় মধ্য বৃত্ত, বিধবা নারী সহ উঠতি বসয়সি যুবতিতের টাকার লোভ দেখিয়ে দেশের বাহিরে পাচার করার খবর পাওয়া গেছে। এমন কি তার ৬টি কন্যা সন্তান রয়েছে। এর গত বছর খানেক পূর্বে তার সকল ছোট ২ মেয়েকে সৌদিআরব পাঠায়। এবং ৩য় মেয়ে পাখির প্রথমে কান্দিগাও বিয়ে হয়। সেই সংসারে পাখির ১টি ছেলে ও ১টি মেয়ে রয়েছে। পরে পাখির বাবা সেখান থেকে কাবিনের টাকা নিয়ে সেই স্বামীর ঘর থেকেও ছাড়িয়ে আনে। এরপর আবার পাখির বাবা পাখিকে আরেকটি বিয়ে দেন হবেগঞ্জে। সেখানেও পাখির একটি মেয়ে জান্নাত নামের রয়েছে। বিদেশ পাঠানোর নামে করে সেখান থেকেও ছাড়িয়ে আনেন ঐ পাষন্ড পিতা। এই পাখিকে বিদেশ পাঠানোর জন্য তার এটি পাসপোট তৈরী হয়ে গেছে। শামছুর বিরোদ্ধে এলাকায় অভিযোগের শেষ নেই! সে নিরহ মানুষের জায়গা জমি আত্মৎ করে জোরপূর্বক দখল করে। কেউ তার বিরোদ্ধে কথা বলেতে গেলেই তার স্বামী পরিত্যক্ত মেয়েদের দিয়ে মামলার হুমকি দিলে কেহই আর আগ রাড়াতে চাননা। অপরদিকে, আমার ভিটে মাটি নেই, ঘর বাড়িও নই। এসব দেখে ও শুনে উলুকান্দি গ্রামের মসন মিয়া তার বাড়িতে একটি ঘর তৈরী করে থাকার জন্য তিনি বলেন। এতে আমি অনকে কষ্ট করে তিনির বাড়িতে একটি টিন সেটের ঘর তৈরী করি। সেখানে আমার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে প্রায় ১বছর ৩মাস বসবাস করি। আমাদের ছোট একটি সাজানো সংসার বিদেশ যাওয়া নিয়ে আমি এখন নিঃস্ব। যার বাড়িতে ঘর তৈরী করে থাকতাম সেই বাড়ি থেকে আমার ঘরটিও শশুর শামছু মিয়া নিয়ে যান। এরপর আমার আর থাকার কোন জায়গা না থাকায় অবশেষে পয়েটস্থ মায়দুল মিয়ার একটি ঘরে বাড়া নিয়ে বসবাস করছি। দিন-রাত আমার মনের মধ্যে নানান ভয় বিরাজ করে।
উল্লেখ্য যে, অসহায় দিন মজুর কাসেম মিয়া (৩০)। তারা দীর্ঘদিন এক যুগ ধরে স্ব-পরিবারে আউশকান্দি এলাকায় শান্তি পূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছে। কাসেম একজন চানাচুর বিক্রেতা। এবং সে সিজনকালিন কাচা মালেরর ব্যবসাও করে থাকে। সে জীবিকার তাগিদে প্রতিদিনই বিভিন্ন হাট বাজারে চানাচুর বিক্রয় করে যা আয় রোজগার করে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছে। উক্ত মারামারি ও প্রাণে হত্যার ঘটনার মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসিকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ- কুর্শি ও আউশকান্দি এলাকার সচেতন মহলের মধ্যে আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনা ও তীব্র নিন্দান ঝড় বইছে। এদিকে, আহত কাসেম মিয়ার অবস্থা তেমন ভাল নয়। তার মাথা ও শরীরে প্রচন্ড আঘাতের চিহৃ রয়েছে। সে দেশের প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছে। সে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। ্উপরোক্ত আসামীরা যে কোন সময় সুযোগ পেলেই আমাকে মেরে ফেলতে পারে।
পাঠকের মন্তব্য