মতিয়ার চৌধুরী,লন্ডনঃ
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখায় ব্রিটেনে বসবাসরত ১২ প্রবাসীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করায় ব্রিটেনে বসবাসরত প্রবাসী বাঙ্গালীদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদান রেখেছেন বা সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন তাদের মূল্যায়ন না করে অত্যন্ত গোপনীয় ভাবে ১২জনকে মুক্তিযোদ্ধা খেতাব দেওয়াতে প্রবাসীরা হতাশ । সমগ্র ব্রিটেনে বইছে প্রতিবাদের ঝঢ়। যদিও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনায় থেকে বলা হচ্ছে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনের সুপারিসের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এদিকে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন ২২জুন ২০২১ প্রেস মিনিষ্টার আশিকুননবী প্রেরিত হাইকমিশনের পক্ষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন এর সাথে হাইকমিশনের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এ বিষয়ে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন অবগত নন। গেল ২৪ জুন বৃহস্প্রতিবার লন্ডন সময় সন্ধ্যে ছয় ঘটিকায় প্রবাসী মানবাধিকার পরিষদ ইউকে নামের একটি সংগঠন এক ভার্চুয়্যাল প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। এই প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে সুষ্টুদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন প্রতিবাদ কারীরা। প্রবাসী মানবাধিকার পরিষদ ইউকের সভাপতি বিশিষ্ট লেখক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক অ্যাডভোকেট শাহ ফারুক আহমদের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারন সম্পাদক আলিমুজ্জামান ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক সাংবাদিক সুজাত মনসুরের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ভার্চুয়্যাল আলোচনায় যোগদেন প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ড. কবীর চৌধুরী, প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক অধ্যাপক অবুল হাসেম, যুক্তরাজ্য প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি শামসুদ্দিন খান, প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শামসু্িদন আহমদ এমািবই, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হরমুজ আলী, বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এ্যাসোইসয়েশনের সেক্রেটরী নূরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সহসভাপতি এম এ রহিম সিআইপি, যুক্তরাজ্য আওয়ামীরীগের সহসভাপতি জালাল উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী, ফিল্ম নির্মাতা মকবুল চৌধুরী, সাংবাদিক সুজাত মনসুর, গবেষক ফারুক আহমদ , আব্দুল হান্নœান , মোবারক আলী সহ আরো অনেকে। প্রতিবাদকারীরা বলেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয় বৃক্ষ রেখে তার ডাল পালাকে মুল্যায়ন করেছে। এই ১২ জনের তালিকায় যাদের নাম এসেছে ১৯৭১ সালে অনেকরই নামগন্ধও খুঁজে পাওয়া যায়নি। বক্তারা বলেন তখন এ্যাকশন কমিটি ষ্টিয়ারিং কমিটি সহ শতাধিক শাখা কমিটির মাধ্যমে ব্রিটিশ বাঙ্গালীলা বিচারপতি আবুসাইদ চৌধুরীর নেতৃত্বে কাজ করেছেন। প্রতিদিনই বিভিন্ন শহরে সভাসমাবেশ করে আন্তর্জাতিক জনমতকে তরান্বিত করেছেন। এছাড়া প্রতিটি বাঙ্গালী নিজে না খেয়ে সপ্তাহের উপর্জিত অর্থ জমা দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ ফান্ডে। যদি তালিকা করতেই হয় করতে হবে সচ্ছতার ভিত্তিতে। বক্তারা বলেন যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রবাস থেকে অবদান রেখেছেন তাদের অনেকেই আজ পরপারে। প্রথম দ্বিতীয় সারির নেতাদের বাদ দিয়ে যে ১২জনকে মুল্যায়ন করা হয়েছে এদের অনেকেই ছিলেন তখন ছাত্র মুল নেতৃত্বে ছিলেননা। বক্তরা বলেন আগর তলা ষঢ়যন্ত্র মামলা থেকে শুরু করে ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশ স্বাধীনের পরও প্রবাসীরা অবদান রেখেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু প্রবাসীদের মূল্যায়ন করে দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রদান করেছিলেন। তার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রবাসীদের প্রতি আন্তরিক। বক্তারা বলেন একটি মহল সরকারের সাথে প্রবাসীদের দূরত্ব সৃষ্টি করতে অত্যন্ত সুকৌশলে একাজটি করেছে। তাদের খুঁজে বের করতে হবে। সেই সাথে এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে যাতে স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবির সুযোগ নিতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকার আহবান জানান।
পাঠকের মন্তব্য